দেব্রেচেন
দেব্রেচেন | |
---|---|
শহর | |
ডাকনাম: "The Calvinist Rome", Cívis City | |
দেব্রেচেনের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৪৭°৩১′৪৮″ উত্তর ২১°৩৮′২১″ পূর্ব / ৪৭.৫২৯৯৭° উত্তর ২১.৬৩৯১৬° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
কাউন্টি | Hajdú-Bihar |
সরকার | |
• মেয়র | লাজোস কোসা |
আয়তন | |
• মোট | ৪৬১.২৫ বর্গকিমি (১৭৮.০৯ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ১২১ মিটার (৩৯৭ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১৩) | |
• মোট | ২,০৪,৩৩৩ হ্রাস |
• ক্রম | দ্বিতীয় |
• জনঘনত্ব | ৪৪২.৫৩/বর্গকিমি (১,১৪৬.১/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | cívis |
সময় অঞ্চল | CET (ইউটিসি1) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | CEST (ইউটিসি+2) |
Postal code | ৪০০০ |
এলাকা কোড | ৫২ |
ওয়েবসাইট | www |
দেব্রেচেন (হাঙ্গেরীয় ভাষায়: Debrecen; হাঙ্গেরীয় উচ্চারণ: [ˈdɛbrɛtsɛn] () )হাঙ্গেরির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এটি হাঙ্গেরির উত্তরের সমতলীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক কেন্দ্র। ১৮শ শতকে এটি হাঙ্গেরির সবচেয়ে বড় শহর ছিল।[১] এটি হাঙ্গেরির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।[২] ১৮৪৮ থেকে ১৮৪৯ সালে হাঙ্গেরীয় বিপ্লবের সময় এটি দেশটির রাজধানী ছিল। এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকেও এটি রাজধানী ছিল।
সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]১৫৩৮ সালে বিখ্যাত ক্যালভিনিস্ট কলেজ স্থাপন ও সংস্কারের ফলে ১৬শ শতাব্দী থেকে দেব্রেচেন হাঙ্গেরির প্রধান সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। কলেজটি একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়। কমিউনিস্টদের ক্ষমতালাভের কারণে ১৯৪৯/১৯৫০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির বেশ কয়েকটি বিভাগ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া সেসময় অনেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। বর্তমানে এটি দেব্রেচেন বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ভবন এর স্থাপত্যশৈলীর জন্য সুপরিচিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ইউরোপের অন্যতম গবেষণাকেন্দ্রিক বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়।
দেব্রেচেন এর সঙ্গীত পরিবেশের জন্যেও বিখ্যাত। হাঙ্গেরির অন্যতম জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ট্যাঙ্কসাপডা দেব্রেচেনভিত্তিক। এই শহরে একটি সঙ্গীত বিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে অনেক শিক্ষার্থী সঙ্গীট বিষয়ে অধ্যায়ন করে। বছরের বিভিন্ন সময় দেব্রেচেন বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
খেলাধুলা
[সম্পাদনা]দেব্রেচেন-এর ফুটবল ক্লাব, দেব্রেচেনি ভিএসসি সাপ্রতিককালে হাঙ্গেরির সবচেয়ে সফল ফুটবল ক্লাব। ২০০৪ থেকে ২০১২ পর্যন্ত প্রত্যেক মৌসুমে ক্লাবটি হাঙ্গেরির জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেছে। দেব্রেচেনে রয়েছে একটি ১০০০০ সিটের ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট স্টেডিয়াম। এছাড়া এখানে একটি নতুন বৃহৎ স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে স্থানীয় সরকার। ২০১৪ সালের মার্চে এটি উন্মুক্ত করা হয়। দেব্রেচেন সাপ্রতিককালে বেশ কয়েকটি খেলাধুলার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Dezső Danyi-Zoltán Dávid: Az első magyarországi népszámlálás (1784-1787)/The first census in Hungary (1784-1787), Hungarian Central Statistical Office, Budapest, 1960
- ↑ Antal Papp: Magyarország (Hungary), Panoráma, Budapest, 1982, আইএসবিএন ৯৬৩ ২৪৩ ২৪১ X, p. 860, pp. 463-477
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]