দেকনি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

দেকনি বা দেখনি একটি আধা-শাস্ত্রীয় গোয়ান নৃত্যকলা যা ভারতের গোয়া রাজ্যে উদ্ভূত হয়েছে। এটি একটি জনপ্রিয় লোকনৃত্য যা ঐতিহ্যগতভাবে গোয়ার গ্রামীণ এলাকায় নারীদের দ্বারা ধর্মীয় উৎসব, বিবাহ এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়।[১][২]

দেকনি শব্দটি কোঙ্কনি ভাষা থেকে উদ্ভুত যা গোয়ার স্থানীয় ভাষা। এর আক্ষরিক অর্থ হল "গ্রামের একটি মেয়ে" এবং নৃত্যের এই শৈলী গোয়ার গ্রামের জীবনের সরলতা এবং সৌন্দর্যকে প্রতিফলিত করে।[১]

দৃষ্টিনন্দন অংগ সঞ্চালনা, ছন্দময় পায়ের কাজ এবং প্রাণবন্ত সঙ্গীত দেকনি নাচের বৈশিষ্ট্য। নর্তকীরা বৃত্তাকার সমুহে একে অপরের হাত ধরে এই নৃত্য পরিবেশন করে।[১] বাদ্যকাররা ঘূমট, ঢোল এবং কাসলে-এর মতো ঐতিহ্যবাহী গোয়ান বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নাচে যোগ্য সংগত করে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সম্ভবত প্রথম দেকনির উল্লেখ পাওয়া যায় ১৮৬৯ সালে। কার্লোস ইউজেনিও ফেরেইরা (১৮৬০-১৯৩২) এর হানভ সাইবা পোল্টোদি ভেটাম [৩] সবচেয়ে পরিচিত দেকনি গানগুলির মধ্যে একটি। এটি প্রথম ১৮৯৫ সালে প্যারিসে এবং তারপর ১৯২৬ সালে গোয়ায় টিপোগ্রাফিয়া রেঞ্জেল দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। এই গানে যে গল্পটি চিত্রিত করা হয়েছে তা হল দুই মন্দিরের নর্তকীকে নিয়ে, যারা দামুর বিয়েতে যেতে চায় এবং তারা নৌকার মাঝিদের কাছে আসে তাদের নদী পার করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তখন নদী উত্তাল হয়ে পড়ায় নৌকার মাঝি রাজি হয়না। নর্তকীরা তখন নৌকার মাঝিকে তাদের সোনার গয়না উপহার দেয়; কিন্তু নৌকার মাঝি তাতেও রাজি হয়না। তাই নর্তকীরা নৌকার মাঝির মনোরঞ্জনের জন্য নৃত্য পরিবেশন করে এবং মাঝি তাদের নদী পার করে দেয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

এই গানের অনুপ্রেরনাতেই পরিচালক রাজ কপুর তার ববি সিনেমার বিখ্যাত গান না মাংগু সোনা চান্দি রচনা করেছিলেন।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]