তিজান আন-নূর আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা
তিজান আন-নূর আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা | |
---|---|
প্রদানের কারণ | কুরআন মুখস্থকরন ও তেলওয়াত করা |
পৃষ্ঠপোষক | জিমটিভি
কাতার সরকার আওকাফ ও ইসলামি বিষয়ক মন্ত্রণালয় |
তারিখ | ২০১৩ |
দেশ | কাতার |
পুরস্কার | ১ম: ৫০০,০০০ কাতারি রিয়াল
২য়: ৩০০,০০০ কাতারি রিয়াল ৩য়: ১০০,০০০ কাতারি রিয়াল[১] |
ওয়েবসাইট | www |
কাতার তিজান আন-নুর আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার হল একটি আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার যা প্রতিবছর কাতারের জিম টেলিভিশন (আল জাজিরা চিলড্রেনস চ্যানেল) দ্বারা আয়োজিত হয়ে থাকে।[২][৩] শুধুমাত্র ৯-১৩ বছর বয়সী শিশুরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারে।[৪] প্রতিযোগিতাটি বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণকারীদের আকৃষ্ট করেছে, এটিকে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কোরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতায় পরিণত করেছে।[২][৫] আয়োজনটি বিভিন্ন উপায়ে কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।[৬] এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য শিশুদের মধ্যে উচ্চতর ও নৈতিক মূল্যবোধের অর্জনে উদ্বুদ্ধ করা, পাশাপাশি আরবি ভাষার সঠিক ব্যবহার প্রচার এবং শিশুদের কুরআন অধ্যয়ন ও তেলওয়াতে উৎসাহিত করা। বাছাইকৃত আলেমদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এবং কুরআনে বিশেষজ্ঞ পণ্ডিতরা স্বরধ্বনির নিয়ম, শব্দের গুণমান ও কার্যকারিতা এবং তেলাওয়াতের ধরন অনুসারে অংশগ্রহণকারীদের মূল্যায়ন করে।[৭]
এই প্রতিযোগিতায়, প্রথম স্থান বিজয়ী ৫০০,০০০ কাতারি রিয়াল, দ্বিতীয় স্থান এবং তৃতীয় স্থান বিজয়ীরা যথাক্রমে ৩০০,০০০ কাতারি রিয়াল এবং ১০০,০০০ কাতারি রিয়াল পেয়ে থাকে।[১]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
২০১৩ সালে, ৫৪টি দেশের ১৩০০ জনের বেশি শিশু এই আয়োজনে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিল।[৮] মরক্কোর ১৩ বছর বয়সী দোহা এই সেশনে বিজয়ী হয়।[৯]
২০২২ সালে, ৪৮টি দেশের কুরআন মুখস্থকারীরা আকৃষ্ট হয়েছিল, যেখানে ১৬টি আরব দেশ ৬৮১ জন তেলাওয়াতকারীর সাথে অংশগ্রহণ করেছিল।[১] এবং আওকাফ এবং ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের এই সংস্করণে স্পনসর করেছিলো।
উদ্দেশ্য[সম্পাদনা]
এই পুরস্কারের উদ্দেশ্য হল আল্লাহর কুরআনের সেবা করা এবং নিম্নোক্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে কুরআনের দক্ষতার সাধারণ স্তরকে উন্নত করা।
- শিশু প্রজন্মকে তাদের ধর্মের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং তাদের ইসলামী বিশ্বাস ও লক্ষ্যের প্রতি তাদের কর্তব্য উপলব্ধি করা।
- কুরআনের উল্লেখযোগ্য মুখস্তদের সম্মান করা।
- ইসলামের খেদমতে মুসলিম বিশ্বের কাছে নিজের দেশকে উপস্থাপন করা।[৪]
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
- শেখ জসিম বিন মোহাম্মদ আল থানি জাতীয় পবিত্র কোরআন প্রতিযোগিতা
- দুবাই আন্তর্জাতিক পবিত্র কোরআন পুরস্কার
- পবিত্র কোরআনের জন্য মুহাম্মদ ষষ্ঠ পুরস্কার
- ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের আন্তর্জাতিক পবিত্র কোরআন প্রতিযোগিতা
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ "Awqaf sponsors Katara's Holy Quran Recitation Award"। Qatar-Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮।
- ↑ ক খ "Tijan Al Noor opens door for 'Qur'an Recitation Contest'"। Saudigazette (English ভাষায়)। ২০১২-০৯-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮।
- ↑ "Al Jazeera Children's Channel's Holy Quran Recitation Contest "Tijan Al Noor" opens door for submission"। ILoveQatar.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮।
- ↑ ক খ قرآن, iqna ir | خبرگزاری بین المللی (১৫ এপ্রিল ২০১৫)। "نفرات برتر مسابقات بینالمللی قرآنی «تیجان النور» در قطر معرفی شدند"। fa (ফার্সি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮।
- ↑ iqna.ir (১৫ এপ্রিল ২০১৫)। "Winners of Int'l Quran Competition in Qatar Announced"। en (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮।
- ↑ "- الموقع الرسمي لتلفزيون ج | ﺗﻠﻔﺰﻳﻮﻥ ﺝ"। الموقع الرسمي لتلفزيون ج | ﺗﻠﻔﺰﻳﻮﻥ ﺝ - (আরবি ভাষায়)। ২০২১-১০-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮।
- ↑ "Al-Jazeera names winners of Qur'an recitation contest"। Gulf-Times (আরবি ভাষায়)। ২০১৩-০৮-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮।
- ↑ "Al-Jazeera names winners of Qur'an recitation contest"। Gulf-Times (আরবি ভাষায়)। ২০১৩-০৮-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮।
- ↑ "JCC Announces Winners of 'Tijan Annour' Quran Recitation Contest"। Marhaba Qatar (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৮-০৫। ২০১৬-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- অফিসিয়াল প্রতিযোগিতার লিঙ্ক ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে