তারাবেন প্রেমচাঁদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তারাবেন প্রেমচাঁদ

তারাবেন প্রেমচাঁদ ছিলেন একজন ভারতীয় সমাজকর্মী, নারী ভোটাধিকার পন্থী এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন কর্মী।[১] তিনি সর্বভারতীয় মহিলা সম্মেলন বা অল ইন্ডিয়া উইমেন্স কনফারেন্সের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি একটি কমিটির সদস্য ছিলেন যা ভারতে সার্বজনীন ভোটাধিকারের উপর একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন রচনা করেছিল। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি শিল্পপতি মানিকলাল প্রেমচাঁদকে বিয়ে করেছিলেন।[১]

তারাবেন প্রেমচাঁদ ভারতে নারী ভোটাধিকার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পাঞ্জাব অঞ্চলে কাপুরথালা রাজ্যের রাজকুমারী অমৃত কৌর, নাল্লামুথু রামামূর্তি এবং লক্ষ্মী মেননের সাথে তিনি প্রকাশ্যে সার্বজনীন ভোটাধিকারের পক্ষে সওয়াল করেন এবং ভারতে প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকারের জন্য লর্ড লোথিয়ান এবং সাইমন কমিশনের কাছে ব্যক্তিগত প্রতিনিধিত্ব করেন এবং মহিলাদের ভোট মঞ্জুর করেন।[২] তিনি অল ইন্ডিয়া উইমেন্স কনফারেন্সের ও সদস্য ছিলেন এবং ১৯৩১ সালে ভারতে সার্বজনীন ফ্র্যাঞ্চাইজি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করার জন্য সম্মেলন দ্বারা গঠিত একটি কমিটিতে নিযুক্ত হন। তিনি হংসা মেহতা, মার্গারেট কাজিন্স, ফয়েজ ত্যাগী, হিল্লা রুস্তমজি ফারদুনজি, শরীফা হামিদ আলী, মালিনী সুখতাঙ্কর এবং লক্ষ্মীবাই রাজওয়াদের সাথে এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেন এবং এটি দ্বিতীয় গোল টেবিল সম্মেলনে জমা দেন, সার্বজনীন ভোটাধিকারের আহ্বান জানান এবং লিঙ্গ বা ধর্মের ভিত্তিতে পৃথক নির্বাচকমণ্ডলীর বিরোধিতা করেন।[৩]

তারাবেন প্রেমচাঁদ হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান শ্রদ্ধানন্দ আশ্রমের কাজের সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। এই সংগঠনটি অনাথ ও নিঃস্ব শিশুদের যত্ন দিতে সহায়তা করেছিল।[১] ১৯৩৪ সালে তিনি জরিনা কুররিমভয়, বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত, লেডি তনুমতী গিরিজা প্রসাদ এবং আনাসুয়াবেন রমনিকলাল পারিখের সাথে জ্যোতি সংঘের ট্রাস্টি হিসেবে নিযুক্ত হন। গুজরাটের বর্তমান রাজধানী আহমেদাবাদে মহিলাদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান প্রদানের জন্য ভারতীয় মহান নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী তথা মহাত্মা গান্ধীর সহায়তায় এই জ্যোতি সংঘ নামের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৪] তিনি জৈন ধর্মের নারীদের সংগঠন জৈন মহিলা পরিষদের সভাপতি ছিলেন এবং সমতার নীতির ভিত্তিতে সংগঠনের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।[৫] ১৯৩৮ সালে তিনি ভারতে গোহত্যা সংক্রান্ত মতামত অনুযায়ী ধর্মীয় ভিত্তিতে উত্তর প্রদেশে গবাদি পশুর জন্য কসাইখানা বন্ধ করার জন্য প্রকাশ্যে প্রচারণা চালিয়েছিলেন।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

 

  1. Verma, Amrit (১৯৭৬)। Indian Women Through The Ages। Great Indian Publishers। পৃষ্ঠা 182। 
  2. Kaushik, Vijay Kumari (১৯৯৮)। Women's Rights and World Development (ইংরেজি ভাষায়)। Sarup & Sons। পৃষ্ঠা 302। আইএসবিএন 978-81-7625-015-3 
  3. Basu, Aparna (২০১৭-০৭-২৭)। "Women's Struggle for the Vote: 1917-1937" (ইংরেজি ভাষায়): 128–143। ডিওআই:10.1177/037698360803500106 
  4. Basu, Aparna (১৯৯৫)। "A Nationalist Feminist: Mridula Sarabhai (1911-1974)*": 7। ডিওআই:10.1177/097152159500200101 – Sage-এর মাধ্যমে। 
  5. "Urgent Needs for Sacrifices: Mrs. Premchand's Appeal"The Times of India। ১ জুন ১৯৫১। প্রোকুয়েস্ট ৫১৭৯৬৬৬৪৩ 
  6. "Cow Slaughter in Holy Places"The Times of India। ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩৮। প্রোকুয়েস্ট ৩২৫৬৩৯০৮৩