তাকাশি হিবিকি

তাকাশি হিবিকি (জন্ম ১৯৬৩) হলেন একজন জাপানি বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলী। তিনি পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং সিটি ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের তাপীয়-তরল প্রকৌশল বিভাগের এর চেয়ার অধ্যাপক।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

হিবিকি ১৯৬৩ সালে জাপানের কিয়োটোতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। এরপর ১৯০৯ সালে তিনি তার পিএইচডি ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে অধ্যাপক তাকাশি কাতায়ামার তত্ত্বাবধানে করেন।

কর্মজীবন

১৯৯০ সালে পিএইচডির কাজ শেষ করার পর হিবিকি কিয়োটো ইউনিভার্সিটির রিসার্চ রিঅ্যাক্টর ইনস্টিটিউটে একজন সহকারী অধ্যাপকের পদে যোগ দেন। পরে ১৯৯৭ সালে তিনি সহযোগী অধ্যাপকের পদে উন্নীত হন। ২০০৬ সালে হিবিকিকে পারডু ইউনিভার্সিটির স্কুল অব নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পূর্ণ অধ্যাপক হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। ২০১৮ সালে তিনি প্রফেসর ইমেরিটাস হন। হিবিকি বর্তমানে সিটি ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের তাপীয়-তরল প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ার প্রফেসর। হংকং সরকার হিবিকিকে গ্লোবাল স্টেম প্রফেসরশিপ পদ দিয়েছে।

১৯৯৪ সালে হিবিকি সর্বপ্রথম একটি স্থির তাপীয় নিউট্রন রশ্মি ব্যবহার করে একটি উচ্চ রেজোলিউশনযুক্ত নিউট্রন রেডিওগ্রাফি কৌশল তৈরি করেন। এই কৃতিত্বের জন্য তিনি জাপানের পারমাণবিক শক্তি সোসাইটি থেকে ১৯৯৫ সালের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রচেষ্টা পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব মাল্টিফেজ ফ্লো- মৌলিক গঠনমূলক সমীকরণের উপর একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেন। এই সমীকরণগুলি মিশিমা-হিবিকি সমীকরণ নামে পরিচিত। ১৯৭৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব মাল্টিফেজ ফ্লো- এ প্রকাশিত সমস্ত গবেষণাপত্রের মধ্য তার গবেষণাপত্রটি প্রথম স্থান অধিকার করে। তিনি হিবিকি-ইশি সমীকরণ নামে পরিচিত ইন্টারফেসিয়াল এরিয়া ট্রান্সপোর্ট সমীকরণ তৈরি করেন। এই সমীকরণটি একটি বাণিজ্যিক কম্পিউটেশনাল তরল গতিবিজ্ঞানের কোডে প্রয়োগ করা হয়েছে। তিনি থার্মো-ফ্লুইড ডায়নামিক্স অব টু-ফেজ ফ্লো বইটির সহ-লেখক।

স্বীকৃতি এবং পুরস্কার

১৯৯৫ সালে জাপানের পারমাণবিক শক্তি সোসাইটি তাকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রচেষ্টা পুরস্কার প্রদান করে। ২০০১ সালে জাপানের মাল্টিফেজ ফ্লো সোসাইটি তাকে প্রিমিনেন্ট মনোগ্রাফ অ্যাওয়ার্ড দেয়। ২০০১ সালে আমেরিকান নিউক্লিয়ার সোসাইটি তাকে একজন তরুণ প্রকৌশলী হিসাবে ইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। ২০০৫ সালে জাপান সোসাইটি ফর মাল্টিফেজ ফ্লো তাকে গবেষণা ও উন্নয়ন পুরস্কার দিয়ে সম্মান জানায়। ২০০৭ সালে অ্যাটমিক এনার্জি সোসাইটি অব জাপানের থার্মাল-হাইড্রলিক্স ডিভিশন তাকে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়। ২০১০ সালে জাপানিজ সোসাইটি ফর মাল্টিফেজ ফ্লো তাকে প্রিমিনেন্ট মনোগ্রাফ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। ২০১১ সালে হিট ট্রান্সফার সোসাইটি জাপান থেকে তিনি বিশিষ্ট পরিষেবা পুরস্কার পান। ২০১১ সালে তিনি আমেরিকান নিউক্লিয়ার সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন।২০১৫ সালে জাপান সোসাইটি অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স থেকে সর্বশ্রষ্ট গবেষণাপত্রের পুরস্কারটি পান। ২০১৫ সালে হিবিকিকে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্লোবাল অ্যালামনাই ফেলো প্রদান করা হয়। ২০১৬ সালে জাপানের অ্যাটমিক এনার্জি সোসাইটি তাকে পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কার প্রদান করে। ২০১৮সালে জাপানিজ সোসাইটি ফর মাল্টিফেজ ফ্লো তাকে প্রিমিনেন্ট মনোগ্রাফ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মান জানায়