ডাফরিন রিপোর্ট
ডাফরিন রিপোর্ট উনিশ শতকের শেষার্ধে দাখিল করা একটি সরকারি প্রতিবেদন। বাংলার নিম্নশ্রেণীর গ্রামীণ জনগণের অবস্থা এই রিপোর্টে উঠে আসে। ভাইসরয় লর্ড ডাফরিনের নামানুসারে প্রতিবেদনের নাম ডাফরিন রিপোর্ট রাখা হয়। রিপোর্টের সরকারি শিরোনাম ছিল রিপোর্ট অন দ্য কন্ডিশন্স অব লোয়ার ক্লাসেস অব পপুলেশন ইন বেঙ্গল। প্রতিবেদন দাখিল করার পর রাজনৈতিক কারণে স্পর্শকাতর বিবেচনা করে তা গোপন রাখা হয়।[১]
অনুসন্ধান[সম্পাদনা]
প্রতিবেদন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বাংলার প্রায় ১০০টি গ্রাম জরিপ করা হয়। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে কৃষক, কারিগর, শ্রমিক ও ভিক্ষুক এই চারভাগে বিভক্ত করা হয়।[১]
ফলাফল[সম্পাদনা]
জরিপে দেখা যায় যে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ২৬% পরিবার ভূমিহীন বা প্রান্তিক কৃষক এবং তাদের জীবিকা দিনমজুরি। জরিপ অনুযায়ী পশ্চিমাঞ্চলীয় এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলাসমূহে দারিদ্রের অনুপাত সবচেয়ে বেশি এবং উত্তর ও পূর্বাঞ্চলীয় জেলাসমূহে দারিদ্রের অনুপাত সর্বনিম্ন ছিল। এই অনুপাত ছিল নিম্নরূপ:[১]
জেলা | অঞ্চল | পরিমাণ |
---|---|---|
মেদিনীপুর | পশ্চিম | ৪৩% |
মালদহ | পশ্চিম | ৪২% |
মুর্শিদাবাদ | পশ্চিম | ৩৭% |
চট্টগ্রাম | দক্ষিণপূর্ব | ২৩% |
ময়মনসিংহ | উত্তর | ৪% |
ত্রিপুরা | পূর্ব | ৬% |
নোয়াখালী | পূর্ব | ৬% |