টিনিয়া ভার্সিকালার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টিনিয়া ভার্সিকালার
প্রতিশব্দডার্মাটোমাইকোসিস ফুরফুরেসিয়া,[১] পিটাইরাইসিস ভার্সিকালার,[১] টিনিয়া ফ্লাভা,[১] লোটা
বিশেষত্বচর্মবিজ্ঞান

টিনিয়া ভার্সিকালার এক রকম চর্মরোগ যা প্রকৃতপক্ষে ছত্রাকের ইনফেকশন। ছত্রাকের আক্রমণে মানুষের ত্বকের চেহারা পরিবর্তি হয়ে সাদা সাদা ছোপ দেখা যায়। সাদা ছোপের রং হালকা বা গাঢ় হতে পারে। এ রোগ সংক্রামক নয়। এতে কোনো ব্যথাও অনুভূত হয় না। তবে ত্বকের বিবর্ণ অবস্থা দেখে আক্রান্ত ব্যক্তির মন খারাপ হতে পারে। আক্রান্ত স্থানে হালকা চুলকানি হতে পারে। ত্বক মরে উঠে যেতে পারে।

ইংরাজীতে এর অপর নাম পিটাইরিয়াসিস ভার্সিকালার (pityriasis versicolor) বা টিনিয়া ভার্সিকালার (Tinea versicolor)। গ্রীষ্মকালে বেশি হয়। চামড়ায় ঘাম বেশী জমা হলে ম্যালাসেজিয়া ফারফার (পূর্বেকার নাম পিটাইরোস্পোরাম অরবিক্যলার ) নামীয় ছত্রাক খুব বৃদ্ধি পায়।[২][৩] এই ছত্রাক সাধারণ ত্বকেও থাকতে পারে কিন্তু এত বেশি না। টিনিয়া ভারসিকল বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘ ছুলি ’, ‘ছইদ’ বা ‘কদম’ ইত্যাদি নানা নামে পরিচিত চর্মরোগ।

লক্ষণ ও উপসর্গ[সম্পাদনা]

টিনিয়া ভার্সিকালার সাধারণত গা কালো স্কিনটোনযুক্ত মানুষের মধ্যে হাইপোপিগমেন্টেশন সৃষ্টি করে।
পুরুষের মধ্যে পিটাইরিয়াসিস ভার্সিকালার এবং তার ত্বকের ইলেকট্রন মাইক্রোগ্রাফ গোলাকার মালাসেসিয়া স্পোর (S) দেখাচ্ছে।[৪]

এই অবস্থার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ত্বকের মাঝে মাঝে সূক্ষ্ম স্কেলিং একটি অতিমাত্রায় ছাইয়ের মতো আঁশ তৈরি করে
  • ফ্যাকাশে, কালো স্কিন টোন, বা গোলাপী রঙের, একটি লালচে আন্ডারটোন যা রোগীর অতিরিক্ত গরম হওয়ার সময় অন্ধকার হতে পারে, যেমন গরম ঝরনা বা ব্যায়ামের সময় / পরে। ট্যানিং সাধারণত প্রভাবিত অঞ্চলগুলিকে পার্শ্ববর্তী ত্বকের সাথে আরও স্পষ্টভাবে বিপরীত করে তোলে।[৫]
  • তীক্ষ্ণ দাগ[৬]

পিটাইরিয়াসিস ভার্সিকালার গরম, আর্দ্র জলবায়ুতে বা যাদের প্রচুর ঘাম হয় তাদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়, তাই এটি প্রতি গ্রীষ্মে পুনরাবৃত্তি হতে পারে।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Rapini, Ronald P; Bolognia, Jean L.; Jorizzo, Joseph L (২০০৭)। Dermatology: 2-Volume Set। St Louis: Mosby। পৃষ্ঠা Chapter 76। আইএসবিএন 978-1-4160-2999-1 
  2. Morishita N; Sei Y. (ডিসেম্বর ২০০৬)। "Microreview of pityriasis versicolor and Malassezia species"। Mycopathologia162 (6): 373–76। এসটুসিআইডি 30397515ডিওআই:10.1007/s11046-006-0081-2পিএমআইডি 17146580 
  3. Prohic A; Ozegovic L. (জানুয়ারি ২০০৭)। "Malassezia species isolated from lesional and non-lesional skin in patients with pityriasis versicolor"। Mycoses50 (1): 58–63। এসটুসিআইডি 25493290ডিওআই:10.1111/j.1439-0507.2006.01310.xপিএমআইডি 17302750 
  4. Ran Yuping (২০১৬)। "Observation of Fungi, Bacteria, and Parasites in Clinical Skin Samples Using Scanning Electron Microscopy"। Janecek, Milos; Kral, Robert। Modern Electron Microscopy in Physical and Life Sciences। InTech। আইএসবিএন 978-953-51-2252-4ডিওআই:10.5772/61850 
  5. "What to Avoid While Treating Tinea Versicolor"। ২০১৩-০৭-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-০৫ 
  6. Pityriasis versicolor | DermNet New Zealand. Dermnetnz.org. Retrieved on 2016-10-14.


বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]