জুমানা হাদ্দাদ
জুমানা হাদ্দাদ (আরবি: جمانة حداد) (জন্ম: ডিসেম্বর ৬, ১৯৭০) লেবাননের লেখিকা, বক্তা, সাংবাদিক এবং নারী অধিকার কর্মী।[১] তিনি তার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য অ্যারাবিয়ান বিজনেস ম্যাগাজিনে পর পর চার বছর বিশ্বের ১০০ শক্তিশালী আরব নারীদের মধ্যে অন্যতম একজন হিসেবে স্থান পান (২০১৭ সালে ৩৪তম অবস্থানে ছিলেন)।[২] তিনি ত্রৈমাসিক আরবি ভাষার পত্রিকা 'জাসাদ' এর প্রতিষ্ঠাতা। হাদ্দাদ মুক্ত অভিব্যক্তি ও সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা বিষয়সমূহ তুলে ধরার জন্য ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে আলহুররা নামক নতুন কার্যক্রম চালু করেন।[৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আন-নাহার পত্রিকার সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। জুমানা হাদ্দাদ মার্চ লেবাননের উপদেষ্টা বোর্ডে আছেন।[৪]
২০০৯ সালে তিনি লেবাননের চলচ্চিত্র নির্মাতা জোকেলিন সাব এর 'ওয়্যাট'স গোইং অন?’ ছবিতে সহ-রচনা এবং অভিনয় করেছেন।[৫]
২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে ৩৯ বছরের কম বয়সী ৩৯ জন আকর্ষণীয় আরবীয় লেখকদের মধ্যে তিনি একজন নির্বাচিত হন।[৬]
২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে তিনি কবিতা লেখার জন্য ইতালির পেসকারব্রুজজো ফাউন্ডেশন থেকে উত্তর-দক্ষিণ অঞ্চলীয় আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন।[৭]
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি নীল মহানগরী আল মাজিদি ইবনে ধাহের আরব সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।[৮]
২০১০ সালের অগাস্ট মাসে তিনি ইতালির পোরতো রেকানাতি থেকে রোডোল্ফো জেনটিলি পুরস্কার লাভ করেন।[৯]
২০১২ সালের নভেম্বরে, ইতালির কাতানিয়াতে তিনি সাংবাদিকতার জন্য কুতুলি পুরস্কার পান।[১০]
২০১৩ সালের জুলাই মাসে তিনি ভূমধ্যসাগরীয় নেপলস শহরের মেয়র লুইজি দে ম্যাজিস্ট্রিস দ্বারা নেপলস শহরের জন্য সম্মানসূচক সংস্কৃতি ও মানবাধিকার দূত হিসেবে নিযুক্ত হন।[১১]
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ইতালির আকুইটার্মের আর্চিকালচারা ফাউন্ডেশন থেকে 'ক্যারিয়ার পোয়েট্রি পুরস্কার' এ ভূষিত হন।[১২]
২০১৮ সালে তিনি লেবাননের সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনের রাত্রে একটি টিভি চ্যানেল জানায় যে তিনি জয়লাভ করেছেন, তবে পরের দিন সকালে কর্তৃপক্ষ জানায় যে তিনি আসলে পরাজিত হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে নির্বাচনে জালিয়াতির জন্য তিনি আসন জিততে পারেননি এবং তার জন্য তিনি সাংবিধানিক পরিষদের কাছে একটি আপিল জমা দেন।[১৩] তবে তার আপিল দশজন বিচারকের মধ্যে মাত্র তিনজন সমর্থন করায় তা খারিজ হয়ে যায়।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]জুমানা একটি রক্ষণশীল সিরিয়াক অর্থোডক্স পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার দুই ছেলের সঙ্গে বৈরুতে বসবাস করেন। তিনি একজন নাস্তিক এবং ধর্মীয় সমালোচক।[১৪][১৫][১৬][১৭][১৮]
মতামত
[সম্পাদনা]জুমানা হাদ্দাদ একজন নারীবাদী (তিনি নিজেকে তৃতীয় তরঙ্গের নারীবাদী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন)। তিনি সমতা, মানবাধিকার, স্বতন্ত্র স্বাধীনতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কাজ করার একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি লেবাননে এবং আরব বিশ্বে হোমোফোবিয়ার বিরুদ্ধে তার কর্মকাণ্ডের জন্যও পরিচিত।[১৯][২০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "contributor"। banipal.co.uk। ২০০৮-০৫-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-০১।
- ↑ "2017List of most influential Arab women"।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৮ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৯।
- ↑ "About Us - March Lebanon"। marchlebanon.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-০১।
- ↑ Jim Quilty। "The World Book Capital'scinematic ambassador on Beirut"। The Daily Star Newspaper - Lebanon। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-০১।
- ↑ "Archived copy"। ২০১৮-০৮-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২৯।
- ↑ "Fondazione Pescarabruzzo"। fondazionepescarabruzzo.it। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-০১।
- ↑ "Home"। Blue Metropolis। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-০১।
- ↑ "ix premio Rodolfo gentili da"। ning.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-০১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Alla poetessa Joumana Haddad il Premio Maria Grazia Cutuli"। Live Sicilia। ২০১৫-০১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-০১।
- ↑ "La scrittrice Joumana Haddad ambasciatrice onoraria di Napoli - Napoli - Repubblica.it"। Napoli-La Repubblica। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-০১।
- ↑ "Premio alla carriera Città di Acqui 2014 a Joumana Haddad"। tuononews.it। ২০১৫-১২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-০১।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৯।
- ↑ "Sex and the Souk"। nytimes.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-০১।
- ↑ Aida Edemariam। "Joumana Haddad: 'I live in a country that hates me'"। the Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-০১।
- ↑ Joumana Haddad (২৬ মার্চ ২০১৩)। "Why am I an atheist?"। mmedia.me। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-০১।
- ↑ Kaelen Wilson-Goldie। "Joumana Haddad: A writer who loves to be hated"। thenational.ae। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৮-০১।
- ↑ Joumana Haddad। "Political program"। ৮ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৯।
- ↑ https://lareviewofbooks.org/article/doomed-to-survive-but-not-live-an-interview-with-joumana-haddad/#!
- ↑ https://www.middleeastsight.org/single-post/2019/04/22/Interview-with-Joumana-Haddad-The-best-is-yet-to-come[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]