জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া
শিল্প | পাটের ব্যবসা |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭১ |
সদরদপ্তর | ১৫ এন, নেলি সেনগুপ্ত সরণি, ৭ম তলা (পূর্বে লিন্ডসে স্ট্রিট) কলকাতা, ৭০০০৮৭, পশ্চিমবঙ্গ , ভারত |
বাণিজ্য অঞ্চল | ভারত |
প্রধান ব্যক্তি |
|
পণ্যসমূহ | পাট |
মালিক | ভারত সরকার |
কর্মীসংখ্যা | ৩৭৪ |
ওয়েবসাইট | www |
জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (জেসিআই) ১৯৭১ সালে ভারত সরকার কর্তৃক একটি মূল্য সমর্থন সংস্থা হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল, যাতে কমিশন ফর এগ্রিকালচারাল কস্ট অ্যান্ড প্রাইস (সিএসিপি) দ্বারা প্রণীত সুপারিশের ভিত্তিতে ভারত সরকার প্রতি বছর ঘোষিত ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে (এমএসপি) কোনো পরিমাণগত সীমা ছাড়াই কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচা পাট/মেস্তা সংগ্রহের জন্য একটি স্পষ্ট আদেশ ছিল। এটি মধ্যসত্বভোগীদের হাতে শোষণ থেকে পাট চাষীদের রক্ষা করে। সংস্থার মূল উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন নয় বরং পাট চাষে নিয়োজিত প্রায় ৪০ লাখ পরিবারের স্বার্থ রক্ষার একটি সামাজিক কারণ, যাদের অধিকাংশই ক্ষুদ্র অথবা প্রান্তিক কৃষক। তাই বাজারে জেসিআই-এর উপস্থিতি কাঁচা পাটের দামে স্থিতিশীলতা প্রদান করে।
পটভূমি
[সম্পাদনা]প্রথাগতভাবে ভারতে পাটের ব্যবসা মধ্যস্বত্বভোগীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, মিলগুলি পাটের যা মূল্য প্রদান করে ও কৃষকরা যা মূল্য পায় তার মধ্যে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। পাট শিল্পটি চাষকৃত এলাকায় দ্রুত পরিবর্তন ও আবহাওয়ার প্রভাবের কারণে পাটের দাম ও সরবরাহে ব্যাপক ওঠানামা করে। এক বছরের উচ্চমূল্যের কারণে পরের বছর অতিরিক্ত রোপণ ও অত্যধিক সরবরাহ ঘটে পারে। উৎপাদক ও ফসল ব্যবহারকারী মিল উভয়ই এই ওঠানামার ভুক্তভোগী হয়। অনিশ্চিত সরবরাহের কারণে ও আংশিকভাবে ভারত সরকার কর্তৃক আরোপিত উচ্চ রপ্তানি শুল্কের জন্য আন্তর্জাতিক ব্যবহারকারীরা অনেক অংশে সিন্থেটিক ফাইবারে স্থানান্তরিত হয়েছে। এই কঠিন বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারা মিলগুলোর কার্যক্রম সরকারকে গ্রহণ করতে হয়েছে।[১] দাম স্থিতিশীল করার, মিলগুলির জন্য মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্যে একটি মজুত তৈরি ও কৃষকদের ন্যায্য অর্থমূল্য নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় জেসিআই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Kumar 1994, পৃ. 116।
- ↑ Kumar 1994, পৃ. 117।