জাহাঙ্গীর আলম (গাজীপুরের রাজনীতিবিদ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাহাঙ্গীর আলম
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২য় মেয়র
কাজের মেয়াদ
২৭ জুন, ২০১৮ – নভেম্বর ২০২১
প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা
পূর্বসূরীএম. এ. মান্নান
উত্তরসূরীআসাদুর রহমান কিরণ (ভারপ্রাপ্ত)
জায়েদা খাতুন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1979-05-07) ৭ মে ১৯৭৯ (বয়স ৪৪)
গাজীপুর, বাংলাদেশ
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
পিতামাতামোঃ মিজানুর রহমান (পিতা) জায়েদা খাতুন (মাতা)
পেশাব্যবসা

জাহাঙ্গীর আলম হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও ব্যাবসায়ী। তিনি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২য় মেয়র ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে তিনি জুলাই ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে ১ম বারের মত নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশননের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অনারেবল টেক্সটাইল এন্ড কম্পোজিট লিমিটেড এবং জেড আলম অ্যাপারালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।[১]

জন্ম ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

জাহাঙ্গীর আলম ৭ মে ১৯৭৯ সালে গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে উর্ত্তীর্ণ হয়ে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারী কলেজ থেকে স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।[২]

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গাজীপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি গাজীপুর সদর ও টঙ্গী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন।

জুলাই ২০১৮ সালে, জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৩] নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪,০০,০১০ ভোট পেয়েছিলেন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী হাসান উদ্দিন সরকার ‘ধানের শীষের’ প্রতীক নিয়ে ১,৯৭,৬১১ ভোট পেয়েছিল।

নভেম্বর ২০২১ সালে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের নিয়ে একটি মন্তব্যের অডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাধারণ সদস্য পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।[৪] বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। তার কিছুদিন পর ঐ একই বছরের ২৫শে নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে অপসারণ করে।[৫] ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে ক্ষমা করা হয়।[৬] ২০২৩ সালের গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়া এবং নিজের প্রার্থিতা বাতিল হলেও তার মাকে নিয়ে নির্বাচনে থাকায় তাকে ১৫ মে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।[৭][৮]

বৈবাহিক জীবন[সম্পাদনা]

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়ক জাহাঙ্গীর আলম ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ১৮ তারিখ কাজী রাজিয়া সুলতানা জয়ীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহ পরবর্তী সময়ে বিশেষ কোন মান অভিমান মিডিয়াতে প্রকাশ না পেলেও হঠাৎ করে তার স্ত্রী কাজী সুলতানা জয়ী জাহাঙ্গীর আলমকে ৩০ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিঃ তালাকের [৯] নোটিশ পাঠান। এতে তার স্ত্রী কারন হিসেবে উল্লেখ করেন মানসিক নির্যাতন, অত্যাচার ও নিয়মিত ভরণপোষণ না দেওয়া সংসারে অশান্তি ইত্যাদি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "জাহাঙ্গীরের টাকা অস্ত্র শিক্ষা সব বেড়েছে"প্রথম আলো। ১৭ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  2. "ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে নগরপিতা"সময় ট্রিবিউন। ২০১৮-০৬-২৮। ২০১৮-০৯-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৬ 
  3. "গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলেন জাহাঙ্গীর আলম"যুগান্তর। ২৭ জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  4. "গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার"bangla.bdnews24.com। ২০২১-১১-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২১ 
  5. "বহিষ্কার, এরপর গাজীপুরের মেয়র পদও হারাতে পারেন জাহাঙ্গীর আলম"বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০২৩ 
  6. "শর্তসাপেক্ষে জাহাঙ্গীরকে ক্ষমা করে দিলো আওয়ামী লীগ"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০২৩ 
  7. "জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০২৩ 
  8. "জাহাঙ্গীরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার"মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মে ২০২৩ 
  9. "সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরকে তালাকের নোটিশ পাঠালেন স্ত্রী"বাংলানিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০২৩