জার্সবার্গ সুড়ঙ্গ

স্থানাঙ্ক: ৫৯°১৭′০৩″ উত্তর ১০°২৪′২২″ পূর্ব / ৫৯.২৮৪১° উত্তর ১০.৪০৬১° পূর্ব / 59.2841; 10.4061
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জার্সবার্গ সুড়ঙ্গ
নির্মাণের শেষ পর্যায়ে উত্তরের প্রবেশদ্বার, ওভারহেড তারে স্থাপন করার আগে
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
রেলপথভেস্টফোল্ড রেলপথ
অবস্থানফ্রোডেসেন, টনসবার্গ, নরওয়ে
স্থানাঙ্ক৫৯°১৭′০৩″ উত্তর ১০°২৪′২২″ পূর্ব / ৫৯.২৮৪১° উত্তর ১০.৪০৬১° পূর্ব / 59.2841; 10.4061
শুরুটমসবাকেন
শেষফ্রেডেগাটা
ক্রিয়াকলাপ
চালু হয়৭ নভেম্বর ২০১১
মালিকনরওয়েজীয় জাতীয় রেল প্রশাসন
কারিগরি বৈশিষ্ট্য
রেলপথের দৈর্ঘ্য১,৭৫০ মি (৫,৭৪০ ফু)
ট্র্যাক সংখ্যাদ্বি-ট্র্যাক
ট্র্যাক গেজ১,৪৩৫ মিলিমিটার (৪ ফুট   ইঞ্চি)
বিদ্যুতায়ন১৫ কেভি  ১৬.৭ হার্জ এসি
কার্যকর গতিবেগ২০০ কিমি/ঘ (১২০ মা/ঘ)

জার্সবার্গ সুড়ঙ্গ (নরওয়েজীয়: Jarlsbergtunnelen) ১,৭৫০-মিটার (৫,৭৪০ ফুট) দীর্ঘ একটি দ্বি-ট্র্যাক বিশিষ্ট রেল সুড়ঙ্গ, যা নরওয়ের টনসবার্গে ফ্রেডেসেনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। ভেস্টফোল্ড রেলপথে অবস্থিত, সুড়ঙ্গটি বার্কেকার থেকে টেনসবার্গ পর্যন্ত ৭.৮ কিলোমিটার (৪.৮ মাইল) দ্বি- ট্র্যাক বিশিষ্ট উচ্চ-গতির বিভাগের অংশ হিসাবে নির্মিত হয়। এটি টনসবার্গ স্টেশনের ঠিক উত্তরে অবস্থিত এবং ফ্রেডেগাটা এবং টমসবাকেনের মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে। ২২৩ মিটার (৭৩২ ফুট) দীর্ঘ একটি কংক্রিটের কালভার্ট থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ সুড়ঙ্গটি বিস্ফোরিত হয়। ১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে সুড়ঙ্গের পরিকল্পনা শুরু হয়। বেশ কয়েকটি রেলওয়ে আগ্রহী গোষ্ঠী সম্পূর্ণ রেলপথের আধুনিকীকরণ করার সম্পূর্ণ পরিকল্পনা ছাড়াই উন্নত ট্র্যাকের বিচ্ছিন্ন অংশটি তৈরির বিরুদ্ধে পরামর্শ প্রদান করে। ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং নতুন বিভাগ ও সুড়ঙ্গটি নভেম্বর ২০১১ সালে খোলা হয়। এটি আধুনিকীকরণ করা ভেস্টফোল্ড রেলপথের চতুর্থ বিভাগ।

বিশেষ উল্লেখ[সম্পাদনা]

সুড়ঙ্গ'সহ বার্কেকার–টনসবার্গ বিভাগের মানচিত্র

জার্সবার্গ সুড়ঙ্গ টনসবার্গের শহরের কেন্দ্রের ঠিক উত্তরে ফ্রেডেসেন হয়ে একটি পাহাড়ের মধ্যদিয়ে প্রায় উত্তর-দক্ষিণে অগ্রসর হয়। উত্তরের প্রবেশদ্বারটি টমসবাকেনে কাউন্টি রোড ৩৫ এর পাশেই অবস্থিত এবং দক্ষিণ প্রবেশদ্বারটি শহরের কেন্দ্রস্থলের ফ্রেডেগাটাতে অবস্থিত। সুড়ঙ্গটির ঠিক দক্ষিণে টনসবার্গ স্টেশন অবস্থিত।[১] সুড়ঙ্গটি ১,৭৫০ মিটার (৫,৭৪০ ফুট) দীর্ঘ, যার মধ্যে ১,৫৬০ মিটার (৫,১২০ ফুট) বেডরকের মাধ্যমে বিস্ফোরণের দ্বারা নির্মাণ করা হয়[২] এবং ২২৩ মিটার (৭৩২ ফুট) অংশ কংক্রিটের কালভার্ট। টানসবার্গের প্রবেশপথটি ৭৩ মিটার (২৪০ ফুট) দীর্ঘ।[৩]

জার্সবার্গ সুড়ঙ্গ বার্কেকার এবং টনসবার্গের মধ্যে ভেস্টফোল্ড লাইনের ৭.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ (৪.৮ মাইল) দ্বি-ট্র্যাক অংশের দক্ষিণতম অংশ গঠন করে।[২] এটি ১৫ কেভি ১৬.৭ হার্জ এসি দ্বারা বিদ্যুতায়িত[৪] একটি এনএসআই-৬৩ সংকেত ব্যবস্থা যুক্ত[৫] এবং এটি প্রতি ঘণ্টা ২০০ কিলোমিটার (১২০ মাইল) গতির রেলের জন্য নির্মিত।[৬] ক্রসকাটটি জরুরি অবস্থার প্রস্থান হিসাবে কাজ করে।[২] নরওয়েজীয় কাউন্টি রোড ৩০০-এর একটি জোড়া-টিউব সুড়ঙ্গ ফ্রেডেসেন সুড়ঙ্গের ২.৫ থেকে ৩.৫ মিটার (৮ ফুট ২ থেকে ৯ ফুট ১০ ইঞ্চি) উপরে দিয়ে রেলওয়ের সুড়ঙ্গটি অতিক্রম করে।[৭] সুড়ঙ্গের একক ক্রসকাট জরুরি অবস্থার প্রস্থান হিসাবে কাজ করে।[২] রেলপথটি নরওয়েজীয় জাতীয় রেল প্রশাসনের মালিকানাধীন এবং রক্ষণাবেক্ষণের অধীন।[৬]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৮১ সালে একটি ন্যারো-গেজ রেলপথ হিসাবে ভেস্টফোল্ড রেলপথটি চালু হয়। যদিও পরে স্ট্যান্ডার্ড গেজে রূপান্তরিত হয় এবং বিদ্যুতায়িত হয়, তবে লাইনটি দুর্বল ধারণক্ষমতা ও অনেকগুলি বক্ররেখা ধরে রাখে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Svingheim, Njål (১ ডিসেম্বর ২০১১)। "A modern Vestfold Line"Norwegian National Rail Administration। ৭ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১২ 
  2. Lysne, Arne (২৮ মার্চ ২০১০)। "Bygger i bjerge"Tønsbergs Blad (Norwegian ভাষায়)। ৯ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১২ 
  3. Evensen, Trine Bratlie (২১ জানুয়ারি ২০১১)। "Tønsberg: siste storstøp på Jarlsbergtunnelen" (Norwegian ভাষায়)। Norwegian National Rail Administration। ১০ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১২ 
  4. Tørrestad, Yngve (৭ নভেম্বর ২০১১)। "Vestfoldbanen åpnet etter seks uker, men ikke uten problemer"Norwegian Broadcasting Corporation (Norwegian ভাষায়)। ৭ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১২ 
  5. Grue, Øystein (২০১১)। "Trives med fullt "trøkk"" (পিডিএফ)Jernbanemagasinet (Norwegian ভাষায়)। Norwegian National Rail Administration। ১০ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১২ 
  6. Homleid, Ådne। "Barkåker – Tønsberg"Byggeindustrien। ১১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১২ 
  7. Fagerheim, Freddy S. (২১ মে ২০১০)। "Sprenging og stenging i Frodeåsen" (Norwegian ভাষায়)। Norwegian National Rail Administration। ৮ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]