জাতীয় উন্নত শিল্প বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান

স্থানাঙ্ক: ৩৬°০৩′৩৭″ উত্তর ১৪০°০৭′৫৯″ পূর্ব / ৩৬.০৬০২৪° উত্তর ১৪০.১৩৩১০° পূর্ব / 36.06024; 140.13310
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এডভান্সড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি
産業技術総合研究所

ওডাইবার এআইএসটি সম্মুখ
গবেষণা প্রতিষ্ঠান রূপরেখা
গঠিত২০০১
পূর্ববর্তী গবেষণা প্রতিষ্ঠান
  • এজেন্সি অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি
সদর দপ্তরটোকিও, জাপান
কর্মী২,৯৪৯
গবেষণা প্রতিষ্ঠান নির্বাহী
  • ইশিমুরা কাজুহিকো, সভাপতি
মূল বিভাগঅর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়
ওয়েবসাইটaist.go.jp

উন্নত শিল্প সম্পর্কিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জাতীয় প্রতিষ্ঠান, বা, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (産業技術総合研究所, Sangyō Gijutsu Sōgō Kenkyū-sho), বা, AIST হল একটি জাপানি গবেষণা কেন্দ্র যার সদর দপ্তর টোকিও]তে অবস্থিত। এর বেশিরভাগ কর্ম অঞ্চলই ইবারাকি প্রশাসনিক অঞ্চলের সুকুবা আইজ্ঞান নগর এবং সমগ্র জাপান জুড়ে বেশ কয়েকটি শহরে অবস্থিত। ইনস্টিটিউটটি আর্থ-সামাজিক চাহিদা পূরণের জন্য বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশল জ্ঞানকে একীভূত করতে পরিচালিত হয়। এটি ২০০১ সালে অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বাধীন প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত একটি নতুন পরিকল্পিত আইনি সংস্থার দ্বারা গঠিত হয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বর্তমান অবয়বে এআইএসটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এর পূর্বসূরি প্রতিষ্ঠানগুলি ১৮৮২ সাল থেকে দেশটিতে কাজ করছে। ২০১৫ সালে এটি আন্তর্জাতিক পরিমাপবিজ্ঞান সহযোগিতা কার্যালয় সহ জাপানে ৪০টিরও বেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বেশ কয়েকটি শাখা পরিচালনা করেছে।[১]

লক্ষ্য[সম্পাদনা]

  1. গবেষণা ক্ষেত্রগুলির বিস্তৃত সুযোগ অন্বেষণ করে এবং বহুমুখী ক্ষেত্রগুলিতে উদ্ভাবনের প্রচারের জন্য বহুবিভাগীয় বিষয়গুলিকে একীভূত করে উন্নত গবেষণা যা বিশ্ব বাজারে জাপানি শিল্পগুলির প্রতিযোগিতাকে শক্তিশালী করে এবং নতুন শিল্প তৈরি করে৷
  2. আন্তঃবিষয়ক এবং বিপ্রতীক-বিষয়ক গবেষণা যা সমাজের বর্তমান এবং ভবিষ্যত চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ-পরিসরে সরকারী নীতির পরিকল্পনা করতে সক্ষম সগুলি করে।
  3. এআইএসটি-এর দায়িত্বের অধীনে বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশল গবেষণার উচ্চ মান উন্নয়ন ও বজায় রাখার মাধ্যমে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিযোগিতামূলকতা বজায় রাখে এবং শক্তিশালী করে এধরণের মৌলিক গবেষণা করে।

মৌলিক গবেষণা[সম্পাদনা]

ইনস্টিটিউট বৈজ্ঞানিক এবং প্রকৌশল জ্ঞান ব্যবহার এবং একীভূত করার চেষ্টা করে যা বহুমুখী এবং অত্যন্ত জটিল আর্থ-সামাজিক চাহিদা মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত এবং যা সময়ের সাথে সাথে দ্রুত পরিবর্তিত হয়।

এআইএসটি সেই ধরনের গবেষণাকে টাইপ-২ ধরণের মৌলিক গবেষণা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে, যেটি একাধিক শাখাকে একীভূত করে এবং সমন্বিত জ্ঞান ব্যবহারের জন্য পদ্ধতি তৈরি করে; অন্যদিকে, প্রথাগত মৌলিক গবেষণাকে টাইপ-১ ধরণের মৌলিক গবেষণা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, যা প্রাকৃতিক ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণ করে এমন অভিনব নিয়ম, আইন এবং নীতির সন্ধান এবং আবিষ্কার করে।

এআইএসটি সম্পূর্ণ গবেষণা সম্পন্নে, টাইপ-১ ধরণের মৌলিক গবেষণা থেকে শুরু করে নিবিড় টাইপ-২ ধরণের মৌলিক গবেষণা পরিচালনার মাধ্যমে, পণ্যের উন্নয়ন পর্যন্ত তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।

এআইএসটি-এর প্রতিটি ইউনিট একটি সমন্বিত গবেষণা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার উপর তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় যা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পটভূমির গবেষকদের সমাজের চাহিদা মোকাবেলার জন্য দৃশ্যকল্প-ভিত্তিক গবেষণা প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম করে।

কর্মী[সম্পাদনা]

ইনস্টিটিউটটিতে বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড এবং দক্ষতার স্তরের গবেষকদের নিয়োগ করা হয় যারা ইনস্টিটিউটের তিনটি প্রধান লক্ষ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদী নিয়ে গবেষণা করে। এর কর্মী সংখ্যা নিম্নরূপ:

  • গবেষক: ২,২৮৮ জন
    • স্থায়ী গবেষক: ২,০৪৬ জন
    • স্থায়ী-মেয়াদের গবেষক: ২৪২ জন
  • প্রশাসনিক কর্মী: ৬৬১ জন
  • সর্বমোট কর্মচারীর সংখ্যা: ২,৯৪৯ জন (১ এপ্রিল ২০১২ তারিখের হিসাব অনুযায়ী)।

জাপানের ভূত্বাত্তিক জরিপ[সম্পাদনা]

১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত পুরানো জাপানের ভূত্বাত্তিক জরিপ (GSJ) প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিস্থাপন করে ২০০১ সালে এআইএসটি-এর ভূ-বৈজ্ঞানিক গবেষণা ইউনিট থেকে "জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ জাপান" (GSJ) গঠন করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]