জয়ন্তী গাছ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জয়ন্তী গাছ
Sesbania sesban
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
শ্রেণীবিহীন: Angiosperms
শ্রেণীবিহীন: Eudicots
শ্রেণীবিহীন: Rosids
বর্গ: Fabales
পরিবার: Fabaceae
গণ: Sesbania
প্রজাতি: S. sesban
দ্বিপদী নাম
Sesbania sesban
(L.) Merr.

জয়ন্তী গাছ সাধারণত দেখা যায় না। জয়ন্তী গাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Sesbania sesban. এটি Fabaceae গোত্রের ফুল।

বিবরণ[সম্পাদনা]

সংস্কৃত ভাষায় এর নাম জয়ন্তিকা। গাছ সাধারণত ৩-৪ বছর বাঁচে। মাঝারি আকৃতির গাছটি লম্বায় ১০- ২০ফুট উচ্চতার হয়ে থাকে। এর কাণ্ড বাদামি রঙের হয়। পাতা পক্ষল যৌগিক। প্রায় ২০ জোড়া পত্রক থাকে। সাধারণত হলুদ, গোলাপি ও বাদামী এই ৩ ধরনের ফুল গাছভেদে দেখা যায়। ফুল ২ - ৩ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে। ৪ টি পাপড়ির মধ্যে ২ টি উল্টানো বিস্তৃত ও ২ টি একত্রীভূত। পৌষমাসে ফুল ফোটে। ফল চিকন লম্বাটে, কাঁচা অবস্থায় সবুজ। শুকিয়ে গেলে বাদামি বর্ণ। প্রতিটি ফলে ২০-২৫টি বীজ থাকে। এই গাছ প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে  ব্যবহৃত হয়।

ব্যবহার[সম্পাদনা]

সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুর্গাপূজায় এই গাছ অবশ্যই ব্যবহার করে থাকেন। এই গাছের ডাল ছাড়া দুর্গাপূজা করা সম্ভবই না। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুর্গাপূজায় এই গাছের ডাল ব্যবহার করেন। দুর্গাপূজায় ষষ্ঠী পূজার সময় নবপত্রিকার একটি অংশ হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়।

ঔষধি গুণাগুণ[সম্পাদনা]

মেয়েদের যৌনি পথ ছোট করতে এ গাছের কচি পাতা বেটে যৌনিতে লেপলে যৌন পথ ছোট হয়। শ্বেতীতে (শ্বিত্র রোগে): দেহের যেখানে রোমোদ্গম হয় না, যেমন অধরে বা ঠোঁটে, হাতের ও পায়ের তলায়, মলদ্বারে ও মেঢ্রে –দেহের এইসব অঙ্গে যদি সাদা দাগ হয়, সেটা দুঃসাধের পর্যায়ে পড়ে যায় দীর্ঘদিন হয়ে গেলে। তথাপি বলা আছে, প্রাথমিক স্তরে শ্বেত জয়ন্তীর মূলের ছাল গোদুগ্ধে দিয়ে বেটে লাগালে ও খেলে এ রোগের উপশম হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]