বিষয়বস্তুতে চলুন

চৌধুরী আবিদ রাজা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

চৌধুরী আবিদ রাজা গুজ্জর (উর্দু: چوہدری عابد رضا  ; জন্ম ২ সেপ্টেম্বর ১৯৭২) তিনি একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ। তিনি আগস্ট ২০১৮ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য হন। তিনি জুন ২০১৩ থেকে মে ২০১৮ পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। পারিবারিক কলহ বা ইসলামপন্থী জঙ্গিবাদের সাথে তার যোগসূত্রের বিষয়ে সমালোচনা সত্ত্বেও, তিনি তার রাজনীতির পরিষ্কার ব্র্যান্ডের জন্য সুপরিচিত হয়েছেন।

প্রাথমিক জীবন

[সম্পাদনা]

তিনি ২শে সেপ্টেম্বর ১৯৭২ সালে গুজরাত জেলার খারিয়ানের কোটলা আরব আলী খানে জন্মগ্রহণ করেন।[] তাঁর পিতা ৬০-এর দশকে ইউসি কোটলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর পরিবার স্থানীয় রাজনীতিতে সুপরিচিত।

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

জঙ্গি রাজনীতি

[সম্পাদনা]

গুজরাতের নিজাম, একটি পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও সেইসাথে সিপাহ-ই-সাহাবা ও লস্কর-ই-জাংভির সাথে সম্পর্ক থাকার জন্য গুলাম সারওয়ার ভুচকে হত্যার চেষ্টায় ছয় জনকে হত্যা করার জন্য ১৯৯৮ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মাধ্যমে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০৩ সালে তিনি আমজাদ ফারুকীকে সাহায্য করার জন্য অভিযুক্ত হন। তিনি ইসলামপন্থী মোশাররফকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি এই সমস্ত অভিযোগ এবং জঙ্গি সংগঠনের সাথে সংযোগ থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন। যদিও তিনি মৃত্যুদণ্ড পাননি। কারণ তিনি পাঁচ বছর কারাগারে কাটিয়েছিলেন। ইসলামী আইন অনুসারে বিরোধী দলের সাথে পুনর্মিলনের পরে মুক্তি পেয়েছিলেন।[]

মূলধারার রাজনীতি

[সম্পাদনা]

রাজা পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এর সাথে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে দায়িত্ব পালন করেন। তার পরিবার ২০০৩ সালে পিএমএল-কিউতে যোগ দেয়। তিনি ২০০৮ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) (পিএমএল-এন) এ যোগদান করেন।[] হামজা শাহবাজ শরীফই সেই ব্যক্তি, যিনি বিতর্ক সত্ত্বেও পিএমএল-এন-এ তাঁর অন্তর্ভুক্তিকে ঠেলে দিয়েছিলেন, "কোটলাদের খুশি করার জন্য।"[]

তিনি ২০১৩ সালে নির্বাচনী এলাকা NA-১০৭ (গুজরাত-IV) থেকে পিএমএল-এন-এর প্রার্থী হিসাবে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হন।[][][][][] তিনি ৯৪১৯৬ ভোট পেয়েছেন এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রার্থী চৌধুরী মুহাম্মদ ইলিয়াসকে পরাজিত করেছেন।[১০]

তিনি ২০১৮ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকা NA-৭১ (গুজরাত-৪) থেকে পিএমএল-এন-এর প্রার্থী হিসাবে জাতীয় পরিষদে পুনরায় নির্বাচিত হন। তিনি ৮৮,৫৮৮ ভোট পেয়ে পিটিআই-এর প্রার্থী মুহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরীকে পরাজিত করেন।[১১]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Detail Information"। ২১ এপ্রিল ২০১৪। ২১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৭{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: মূল ইউআরএলের অবস্থা অজানা (লিঙ্ক)
  2. "LeJ terror suspect contesting on PML-N ticket" (6 May 2013), The News International. Retrieved 22 April 2020.
  3. Azeem, Muhammad (১৮ মার্চ ২০১৩)। "Man having links with banned outfit may get PML-N ticket"
  4. Muhammad Azeem (18 March 2013), "Man having links with banned outfit may get PML-N ticket", Dawn News. Retrieved 22 April 2020.
  5. "NA-107 Results"Geo TV। ১০ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৫
  6. "Tough contest between N, PPP in NA-107"The Nation। ৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৭
  7. "Democratic terror"The Nation। ৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৭
  8. "Crushing defeats deal a severe blow to PPP"The Nation। ৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৭
  9. "SC restores death sentence of PML-N MNA"The Nation। ৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০১৭
  10. "2013 election result" (পিডিএফ)। ECP। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৮
  11. "PML-N's Chaudhary Abid Raza wins NA-71 election"Associated Press Of Pakistan। ২৬ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৮