চন্দ্রমল্লিকা
চন্দ্রমল্লিকা (ইংরেজি: Chrysanthemum; কখন কখন mums অথবা chrysanths [১] ও বলা হয়, বৈজ্ঞানিক নাম: Chrysanthemum indicum L.) একটি অতি পরিচিত ফুল। এই ফুলের অনেকগুলো প্রজাতি রয়েছে। বেশিরভাগ প্রজাতির উৎপত্তি পূর্ব এশিয়া থেকে এবং এই ফুলের বৈচিত্র্যের কেন্দ্রস্থল হল চিনে।[২] এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হয়। বিভিন্ন রংয়ের এই ফুলগুলোর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমূল্য রয়েছে প্রথম সারিতে। অক্টোবরে কুঁড়ি আসে এবং নভেম্বরে ফুল ফোটে৷ গাছে ফুল তাজা থাকে ২০ থেকে ২৫ দিন৷ ফুলদানি সাজানোর জন্য লম্বা ডাঁটাসহ এবং মালা গাঁখার জন্য ডাঁটা ছাড়া ফুল তোলা হয়। অন্যান্য স্থানীয় নামের মধ্যে - চন্দ্রমুখী, chrysanthemum, Gul dawoodi উল্লেখযোগ্য।
নামকরণ
[সম্পাদনা]চন্দ্রমল্লিকার ইংরেজি প্রতিশব্দ ক্রিস্যানথিমাম। শব্দটি গ্রীক থেকে এসেছে। ক্রিসস অর্থ 'সোনা' এবং এনথিমাম অর্থ 'ফুল'।
এ গাছ ৫০ থেকে ১৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। বৃহদাকৃতির ফুলগুলো সচরাচর সাদা, হলুদ অথবা পটল বর্ণের হয়। ফুলটির অপর একটি নাম হল 'সেবতি' ।
প্রজাতি
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ তিনটি প্রজাতি বিশেষভাবে পরিচিত যথা- তিন রঙা চন্দ্রমল্লিকা, তোরা চন্দ্রমল্লিকা, মালীর চন্দ্রমল্লিকা। চন্দ্রমল্লিকার বিভিন্ন জাত রয়েছে। বাণিজ্যিকভিত্তিতে যেগুলোর চাষ হয়, সেগুলোকে প্রধানত দুই শ্রেণীতে ভাগ করা হয় – ছোট ও বড়৷
- ছোট প্রজাতি - বাসন্তী (জলদি জাত) – উজ্জ্বল হলুদ, মেঘামী (ঐ) – হালকা বেগুনী, উনা (নাবিজাত) – হালকা গোলাপী
- বড় প্রজাতি - চন্দমা, স্নোবল, সোনার বাংলা, রোজডে, পুইসা পকেট
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Chrysanthemums: Rethinking a Fast-Food Flower"। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ Liu, P. L., et al. (2012). Phylogeny of the genus Chrysanthemum L.: Evidence from single-copy nuclear gene and chloroplast DNA sequences. PLOS One 7(11), e48970. ডিওআই:10.1371/journal.pone.0048970.