গোয়া পাথর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গোয়া পাথর, সম্ভবত ভারতের গোয়ায় ব্যবহৃত হতো, ১৭ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮ শতকের প্রথম পর্যন্ত

গোয়া পাথর হচ্ছে একটি মনুষ্য নির্মিত পাথর যার ওষধি ও তালিসমান গুন আছে বলে ভাবা হয়ে থাকে।[১] ভারতের গোয়ায় সতেরো সতকের শেষের দিকে জেসুইটগণ গোয়া পাথর প্রস্তুত করতো কারণ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি পাথরের সংখ্যা কম ছিলো।[২] এর উদ্ভাবক ফ্লোরেইন্টাইন লে ব্রাদার গ্যাসপার এন্টোনিও এবং ১৬৯১ সালের ৬ মার্চ পর্তুগীজদের স্বীকৃতিতে জেসুইটরা এটার একচেটিয়া ব্যবসা করতে থাকে।[৩] চুল, খোলস, খোসা, রেজিন, ভাঙা রত্নসহ বিভিন্ন জৈব ও অজৈব উপাদান মিশিয়ে এটা তৈরি করা হয়। এরপর একে গোলাকৃতি করে উজ্জ্বলতা প্রদান করা হয়। বিশ্বাস করা হতো গোয়া পাথরের রোগ প্রতিরোধ এবং বিষমুক্ত করার ক্ষমতা আছে।[৪]

গোয়া পাথর অলংকার হিসেবে ধারণ করা হতো খাঁটি সোনার সংগে। বিশ্বাস করা হতো যে এতে পাথরের ঔষধি ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।[৫]

চিত্র[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Goa Stone with Gold Case"The Metropolitan Museum of Art। The Metropolitan Museum of Art। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. Bailly, Muriel। "Foolish Remedies: Goa Stone"Wellcome Collection। Wellcome Collection। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭ 
  3. Fonseca, José Nicolau da (১৮৭৮)। An Historical and Archæological Sketch of the City of Goa: Preceded by a Short Statistical Account of the Territory of Goa (ইংরেজি ভাষায়)। Thacker & Company, limited। পৃষ্ঠা 317। 
  4. "Bezoar Stone with Case and Stand"The Metropolitan Museum of Art। The Metropolitan Museum of Art। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭ 
  5. Grundhauser, Eric। "The Man-Made Gut Stones Once Used to Thwart Assassination Attempts"Atlas Obscura। Atlas Obscura। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭