গাজী শাহজাহান জুয়েল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(গাজী মোঃ শাহজাহান থেকে পুনর্নির্দেশিত)
গাজী শাহজাহান জুয়েল
ব্যক্তিগত বিবরণ
শিক্ষাচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, এম.কম (ম্যানেজমেন্ট)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পেশারাজনীতিবীদ ও সমাজকর্মী

গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী ও চট্টগ্রাম-১১ (বর্তমান চট্টগ্রাম-১২)-এর সাবেক সংসদ সদস্য।

জন্ম, শিক্ষা এবং পরিবারিক জীবন[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার এয়াকুবদন্ডী গ্রামে ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন, পিতা আলহাজ্ব আহমদ নবী ও মাতা আমেনা বেগম। তার স্ত্রী শামীম আক্তার গাজী। গাজী শাহজাহান জুয়েলের ডাক নাম জুয়েল ও জুয়েল নামেই তিনি বেশি পরিচিত।

তিনি চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজ থেকে বি-কম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.কম (ম্যানেজমেন্ট) ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি এম-কম প্রিলিমিনারী ডিগ্রি পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করেন।

তিনি এক পুত্র ও দুই মেয়ের জনক। তার পুত্র গাজী সাদমান সিজান কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মানব সম্পদ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তার বড় মেয়ে গাজী সাদমান জেবিন ইংল্যন্ডের লাংকেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল-এল-বি ডিগ্রি অর্জন করেন। এবং কানাডা থেকে বার-এট-ল ডিগ্রি অর্জন করছেন। গাজী সাদমান জেবিন এর স্বামী তানজীম আমিন অলিভ একজন এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। তার ছোট মেয়ে গাজী সাদমান জেরিন কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সফটওয়্যার প্রকৌশলে গ্রাজুয়েশান ডিগ্রি অর্জন করেছেন।বর্তমানে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড এ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনে অধ্যায়নরত।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল ১৯৭৯ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ন-আহবায়ক হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের আহবায়ক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সংসদ সদস্য নির্বাচিত[সম্পাদনা]

গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম-১১ সংসদীয় আসনে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯৬ সালে ১ম ও ২০০১ সালে ২য় বারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১][২]

সাংস্কৃতিক জীবন[সম্পাদনা]

তিনি ছাত্রজীবন থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন, ঢাকা থিয়েটার আর্ট এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, তিনি টিভি নাটকে ও অভিনয় করেন, সুখের ঠিকানা ও নিখোঁজ সংবাদ এর মধ্যে অন্যতম। তিনি নিয়মিত কবিতা এবং লিরিক লেখেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "৭ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।