গমের ব্লাস্ট রোগ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

গমের ব্লাস্ট রোগ (হুইট ব্লাস্ট রোগ) একটি ছত্রাকের সংক্রমণজনিত রোগ । [১]। হুইট ব্লাস্ট রোগটি দক্ষিণ আমেরিকায় দেখা যায়। সম্প্রতি ভারত- বাংলাদেশেরের পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত অঞ্চলে হুইট ব্লাস্ট রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। [২]

প্রতিকার[সম্পাদনা]

ছত্রাক ঘটিত এই রোগ অতি দ্রুত এক ক্ষেত থেকে অন্য ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রতিকারের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন ছত্রাকনাশক এখন প্রর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। । [২]। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে রোগ বা আটকাতে যেসব এলাকায় এ ছত্রাকের সংক্রমন হয়, তা আগুনে জ্বালিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয় যাতে আরো এলাকায় ছত্রাকের সংক্রমন না হয়।

সংক্রমণজনিত ক্ষতি ও ক্ষতির পরিমান[সম্পাদনা]

এলাকা, ছত্রাকের প্রাজাতি ও ক্ষেত ভেদে ব্লাস্ট সংক্রমনে  ক্ষয় ক্ষতি ভিন্ন ভিন্ন হয়। গড়ে ক্ষেতের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ গমের ক্ষয় ক্ষতি হয়। তবে কোন কোন ক্ষেতে ৯০ শতাংশ প্রর্যন্ত গমের ক্ষতির নজির আছে। [১]

বাংলাদেশে গমের ব্লাস্ট রোগ[সম্পাদনা]

২০১৫-১৬ সালে দক্ষিণাঞ্চলের সাতটি জেলায় প্রথম গমের ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। যশোর-মেহেরপুর থেকে শুরু করে বরিশাল-ভোলা পর্যন্ত এ রোগ ছড়ায়। এটা ঠেকানোর জন্য তখন এ্যাকশস প্ল্যান নেয়া হয় এবং সাময়িকভাবে গম চাষ নিরুৎসাহিত করা হয়। ধানের ব্লাস্ট ছত্রাকের সংক্রমনের সাথে গমের ব্লাস্ট ছত্রাকের মধ্যে কিছুটা মিল থাকায় প্রথমে মনে করা হয়েছিল যে ধান থেকেই হয়তো এটা গমে ছড়িয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যায় যে দুটি দু ধরনের ছত্রাক।[১]

শনাক্তকরণ[সম্পাদনা]

ছত্রাকের আক্রান্ত গম গাছের পাতা দেখে এই রোগ শনাক্তকরণ করা যায়। ছত্রাকের ডিএনএ সিকোয়েন্সিং করে প্রজাতি নির্নয় বা অন্য শস্যের ছত্রাকের সাথে জিন গত মিল-অমিল নির্নয় কিংবা ছত্রাকের উৎপত্তিস্থল নির্নয় করা যায়।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বাংলাদেশের গমে 'হুইট ব্লাস্ট' ছত্রাক কীভাবে ছড়ালো?"বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-২১ 
  2. "বাংলাদেশ সীমান্তে গম চাষ নিষিদ্ধ করেছে ভারত"বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-২১