খসড়া:প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ

স্থানাঙ্ক: ২৩°৫৯′ উত্তর ৯০°৪৫′ পূর্ব / ২৩.৯৮৩° উত্তর ৯০.৭৫০° পূর্ব / 23.983; 90.750
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ
নীতিবাক্যস্ব-অর্থায়নে পরিচালিত, রাজনীতি ও ধুমপানমুক্ত (SELF-FINANCED, FREE FROM POLITICS & SMOKING)
ধরনবেসরকারি
স্থাপিত২০১১
প্রতিষ্ঠাতাপ্রফেসর কাজী মোঃ নুরুল ইসলাম ফারুকী
অধ্যক্ষমু. নুরুল আমিন
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
১০০+
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ
৫০
শিক্ষার্থী২৫০০+
ঠিকানা
পশ্চিম রাখালিয়া, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর- ৩৭১০
,
লক্ষ্মীপুর
,
৩৭১০
,
বাংলাদেশ

শিক্ষাঙ্গনগ্রাম্য (Rural)(৩ একর)
সংক্ষিপ্ত নামপিকেএফএসসি (PKFSC)
ওয়েবসাইটwww.pkfsc.edu.bd

প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামে অবস্থিত। প্রফেসর কাজী ফারুকী কল্যাণ ট্রাস্ট ২০১১ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করে।

প্রতিষ্ঠার পটভূমি[সম্পাদনা]

একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ জন্য প্রয়োজন দক্ষ ও সুশিক্ষিত মানব সম্পদ। তারই সূত্রধরে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১১ সালে যাত্রাশুরু করে স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত, রাজনীতি ও ধূমপানমুক্ত একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ।" প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেছেন উদ্যোক্তা, উপদেষ্টা, সংগঠক, আহবায়ক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও প্রতিষ্ঠাতা সাবেক অধ্যক্ষ, ঢাকা কমার্স কলেজ; প্রফেসর কাজী মো: নুরুল ইসলাম ফারুকী। এ প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন করবে “প্রফেসর কাজী ফারুকী কল্যাণ ট্রাস্ট”। ৩১ শে ডিশেম্বর ২০১১ সালে এক জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। দেশের শিক্ষার মান ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার রাখালিয়া গ্রামের এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ। লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার পশ্চিম রাখালিয়া ও চরমোহনা গ্রাম একটি বিরাট জনবহুল অঞ্চল। এ অঞ্চলে কয়েকটি সরকারী ও বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া তেমন কোন উন্নত মানের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ নেই। ফলে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের দূর-দূরান্তে গিয়ে পড়ালেখা করে। স্কুল ও কলেজের অভাবে অসংখ্য শিক্ষার্থী প্রাথমিক স্তর অতিক্রম করে মহামূল্যবান শিক্ষা জীবন থেকে ঝড়ে পড়ে। বাংলাদেশে ব্যবসায় শিক্ষা প্রসারের পথিকৃত খ্যাত প্রফেসর কাজী মো: নুরুল ইসলাম ফারুকী এই দুরবস্থা দেখে তিনি এলাকাবাসি ও তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে অত্র অঞ্চল একটি যুগোপযোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তারই সূত্র ধরে অত্র অঞ্চলে অভিবাবকবৃন্দ বিগত ০১-০২-২০১১ তারিখে এক সভায় ঢাকা কমার্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী মো: নুরুল ইসলাম ফারুকীর সভাপতিত্বে এক ঘরোয়া বৈঠকের আয়োজন করেন। উক্ত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, ২০১১ সালের মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে “প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ” নামে স্ব-অর্থায়নে পরিচালিত রাজনীতি ও ধূমপানমুক্ত একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হবে। আল্লাহর অশেষ রহমতে যেমন চিন্তা তেমনি তার ফলাফল। অতি অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম মোতাবেক প্রয়োজনীয় ভূমি (১.৫০ একর প্রায়) সংগ্রহ করা হয়েছে। (স্কুল ও কলেজ) পরিচালনার জন্য ছয়তলা বিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চল এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের যুগোপযোগী শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাদেরকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই হচ্ছে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের মূল লক্ষ্য। “প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ” শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গ্রামাঞ্চলে হলেও দেশের সর্বে্াচ্চ মানের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে সেরা প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর প্রফেসর কাজী মো. নুরুল ইসলাম ফারুকীর পক্ষেই এটা সম্ভব। কেননা তার উজ্বল প্রমাণ হচ্ছে ঢাকা কমার্স কলেজ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)। এই প্রতিষ্ঠান দুটি আজ দেশের বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানোর নামে শুশিক্ষার নামে কিছু লোভী প্রকৃতির মানুষ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি প্রফেসর কাজী মো. নুরুল ইসলাম ফারুকী অত্র প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকগণের প্রাইাভেট পড়ানো এবং শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের অন্যতম নিদর্শন হল- সিমেস্টার পদ্ধতিতে পাঠদান, সপ্তাহে দুটি টিউটোরিয়াল পরীক্ষার ব্যবস্থা, বাধ্যতামূলক ভাবে মেকাপ ক্লাসে উপস্থিতি ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে আলোচনা সভা ইত্যাদি। শিক্ষার্থীদের বিকশিত করার জন্য রয়েছে, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন ক্লাসরুম, আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, খেলার মাঠ, নামাজের স্থান। পড়ালেখায় মনোযোগী-অমনোযোগী এবং অগ্রসর ও দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের যথাযথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে উপযুক্ত পাঠ দানের ব্যবস্থা করা হয় এই প্রতিষ্ঠানে। অভিজ্ঞ ও মেধাবী শিক্ষকমন্ডলী তাদের প্রজ্ঞা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রফেসর কাজী মো: নুরুল ইসলাম ফারুকী গ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ একটি ব্যতিক্রমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে দেশের সর্বোচ্চ মানের শিক্ষাদানের জন্যে দেশের প্রথম শ্রেণির প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়ম, রীতি-নীতিসমূহ অনুসরণ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ হতে গুণগত শিক্ষা সম্প্রসারনের জন্যে অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীর সমন্বয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন সময়ে ভিজিটিং টিচার হিসেবে দেশের নাম করা বিভিন্ন কলেজের খ্যাতিনামা শিক্ষকমন্ডলী ক্লাস নিবেন। সপ্তাহে একদিন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ডাক্তার রাখারও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং অসচ্ছ্বল পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের দরিদ্র তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যে পড়ার সুযোগ থাকবে। কার্যকরী শিক্ষায় আলোকিত করে শিক্ষার্থীদের তাদের স্বপ্নচূড়ায় পৌঁছানোর অঙ্গীকার নিয়ে কলেজটি শিক্ষার উন্নয়নে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বর্তমান বিশ্বের প্রতিযোগিতামূলক প্রেক্ষাপটে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের উপযোগী করে গড়ার লক্ষ্যে নিয়মিত মূল্যায়ন সভা, সেমিনার, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ও অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকবে। প্রফেসর কাজী মো: নুরুল ইসলাম ফারুকী কেবল মাত্র একজন শিক্ষাবিদ-ই নন। তিনি একজন সাহসী শিক্ষা উদ্যোক্তা, নীতিবান মানুষ, দক্ষ শিক্ষা প্রশাসক এবং একজন অনুপ্রেরণার প্রতীক ও বটে। এছাড়াও তিনি আরো বেশ কয়েকটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন সেগুলোর মধ্যে অন্যতন; উপদেষ্টা সংগঠক, উদ্যোক্ত, আহ্বায়ক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকা কমার্স কলেজ, উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য; ঢাকা মহিলা কলেজ, উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য; বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি). অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, লালমাটিয়া সরকারী প্রাইমারী স্কুল; প্রতিষ্ঠাতা, চরমোহনা উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষ্মীপুর বার্তার উপদেষ্টা, লক্ষ্মীপুর জেলা সমিতির সভাপতি, সাবেক সদস্য, অর্থকমিটি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (7 বছর); সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ বাণিজ্য শিক্ষা সমিতির অন্যতম উদ্যোক্তা কোষাধক্ষ ও আজীবন সদস্য; ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম গভ: কমার্স কলেজ এসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য ও নির্বাহী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির একজন স্বেচ্ছা রক্তদাতা। আর এই শিক্ষাবিদ সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতিতে মরোনত্তর দানে অঙ্গীকার বদ্ধ। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে বহু সংখ্যক মসজদি, মাদ্রাসা ও এতিম খানা ইত্যাদি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

বিভাগ সমূহ[সম্পাদনা]

  • বাংলা বিভাগ
  • ইংরেজি বিভাগ
  • বিজ্ঞান বিভাগ
  • ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ
  • মানবিক বিভাগ
  • গণিত ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ
  • শরীরচর্চা ও লাইব্রেরি বিভাগ

আবাসিক হলসমূহ[সম্পাদনা]

১. ড্যাফোডিল ছাত্রাবাস

২. কাজী নজরুল ইসলাম হল

সংগঠন[সম্পাদনা]

  • সায়েন্স ক্লাব
  • ক্যারিয়ার ক্লাব
  • ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব
  • কালচারাল ক্লাব

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

বিষয়শ্রেণী:লক্ষ্মীপুর জেলা বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা