বিষয়বস্তুতে চলুন

খসড়া:উদ্ভিদের গমন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

উদ্ভিদের গমন: অধিকাংশ উদ্ভিদের মূল মাটিতে প্রোথিত থাকার জন্য তা গমনে অক্ষম। শুধুমাত্র উদ্ভিদের চলন দেখা যায়। তবে নিচু স্তরের কিছু উদ্ভিদ নিজের চেষ্টায় নির্দিষ্ট গমন অঙ্গের মাধ্যমে স্থানত্যাগ করতে সক্ষম বা গমন করতে পারে। এই গমন প্রক্রিয়া আবার দু'ধরনের হতে পারে। যেমন; স্বতঃস্ফূর্ত গমন এবং আবিষ্ট গমন।

উদ্ভিদের স্বতঃস্ফূর্ত গমন[সম্পাদনা]

এই ধরনের গমন এককোষী উদ্ভিদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই গমনে কোনো উদ্দীপকের প্রভাব থাকে না। মিক্সোমাইসেটিস নামের এককোষী উদ্ভিদ ক্ষণপদ প্রসারিত করে অ্যামিবার মতো গমন করতে সক্ষম। একে অ্যামিবয়েড গমন বলে। ক্ল্যামাইডোমোনাস নামের এককোষী উদ্ভিদ সিলিয়ার সাহায্যে জলের মধ্যে গমন করতে পারে ।এই গমনকে সিলিয়ারি গমন বলে।

উদ্ভিদের আবিষ্ট গমন[সম্পাদনা]

উদ্ভিদের গমন পদ্ধতি যদি উদ্দীপকের প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় তাহলে সেটি আবিষ্ট গমন। উদ্দীপকের ধরন অনুসারে আবিষ্ট গমন কয়েক প্রকারের হয় যেমন;

  • ফটোট্যাক্সিস(Phototaxis): উদ্ভিদের এই গমন আলো উদ্দীপকের কাজ করে। নিচুস্তরের শৈবাল এবং কিছু ব্যাকটেরিয়াতে এই রকমের গমন দেখা যায়।
  • কেমোট্যাক্সিস(Chemotaxis): এই ধরনের গমনে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ উদ্দীপকের কাজ করে। অনেক উদ্ভিদের ডিম্বক থেকে রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়। এই রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে শুক্রাণু ডিম্বাণুর দিকে চলে যায়। মসের শুক্রাণু সুক্রোজ এবং ফার্নের শুক্রাণু ম্যালিক অ্যাসিড রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে আকৃষ্ট হয়।
  • থার্মোটেক্সিস(Thermotaxis): উদ্ভিদের এই গমনে তাপমাত্রা উদ্দীপকের কাজ করে। নিচুস্তরের শ্যাওলায় এই ধরনের গমন দেখা যায়।১,২

চলন ও গমনে পার্থক্য[সম্পাদনা]

কোন জীব যদি একই স্থানে থেকে শুধুমাত্র অঙ্গ সঞ্চালন করে, স্থান ত্যাগ করে না তখন তাকে চলন (Movement) বলে। জীব যদি অঙ্গ সঞ্চালনের সাথে সাথে স্থান ত্যাগ করে তখন তাকে গমন(Locomotion)বলে। উল্লেখ্য, জীবের চলনের সময় গমন নাও হতে পারে কিন্তু জীবের গমনের ক্ষেত্রে অঙ্গসঞ্চালন বা চলন অবশ্যই হতে হবে।[১] [২]

তথ্য সূত্র[সম্পাদনা]

  1. টেমপ্লেট:জীবজগতের বিচিত্র খবর
  2. টেমপ্লেট:মাধ্যমিক জীবনবিজ্ঞান