কৌমান গ্রেট মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৭°৪৮′১৪″ দক্ষিণ ১১০°২১′৪৫″ পূর্ব / ৭.৮০৩৯৪৬১৪৭৪৬২৩১২° দক্ষিণ ১১০.৩৬২৫৫৫৩৪৮২৬৫৬৭° পূর্ব / -7.803946147462312; 110.36255534826567
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কৌমান গ্রেট মসজিদ
মসজিদ গেধে কৌমান
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিসুন্নি ইসলাম
অবস্থান
অবস্থানযোগকার্তা,ইন্দোনেশিয়া
স্থানাঙ্ক৭°৪৮′১৪″ দক্ষিণ ১১০°২১′৪৫″ পূর্ব / ৭.৮০৩৯৪৬১৪৭৪৬২৩১২° দক্ষিণ ১১০.৩৬২৫৫৫৩৪৮২৬৫৬৭° পূর্ব / -7.803946147462312; 110.36255534826567
স্থাপত্য
স্থপতিকেয়াই উইরিওকুসুমো
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীজাভানিজ (তাজুগ লাম্বাং তেপ্লক)
সম্পূর্ণ হয়১৭৭৩
বিনির্দেশ
গম্বুজসমূহ
মিনার
ওয়েবসাইট
www.masjidgedhe.or.id

কৌমান গ্রেট মসজিদ বা জাভানিজ মসজিদ গেদে কৌমান (সরকারি নাম মেসজিদ গেধে কৌমান কারাটন এনগায়োগ্যাকার্তা হাদিনিংগ্রাট) যোগাকার্তা সালতানাতের একটি মসজিদ। এটি জাভা, ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত। এটি যোগকার্তা ক্র্যাটনের উত্তর আলুন-আলুনের (পাবলিক স্কোয়ার) পশ্চিম পাশে অবস্থিত।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯২০-এর দশকে মসজিদের প্রধান প্রবেশদ্বার।

মসজিদটি কৌমানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা ক্রাটনের কাছাকাছি একটি ইসলামিক কোয়ার্টার। এটি ১৭৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যোগকার্তা প্রতিষ্ঠা এবং বিদেশী মুসলিম নেতাদের আগমনের সাথে মসজিদটির প্রতিষ্ঠা দৃঢ়ভাবে সম্পর্কিত। কৌমান গ্রেট মসজিদটি হামেংকুবুওনো প্রথম এবং কাই ফকিহ ইব্রাহীম ডিপোনিংগ্রাট (ক্র্যাটনের প্রথম প্রধান) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং এর স্থপতি ছিলেন কেয়াই উইরিওকুসুমো। এটি ইসলামিক ক্যালেন্ডারে আহাদ (রবিবার), ২৯শে মে ১৭৭৩ বা ৬ই রবিউল আখির ১১৮৭ তারিখে নির্মিত হয়েছিল।

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

কৌমান গ্রেট মসজিদটি একটি সাধারণ ধর্মীয় জাভানিজ স্থাপত্যে নির্মিত হয়েছে। মসজিদটিতে তিন-স্তরযুক্ত ছাদ এবং একটি সেরাম্বি (ছাদযুক্ত প্রধান বারান্দা) রয়েছে। এর কোনো মিনার নেই। কৌমান গ্রেট মসজিদ একটি প্রাচীর ঘেরা কমপ্লেক্সে নির্মিত। এর প্রধান আনুষ্ঠানিক প্রবেশদ্বার পূর্ব দিকে এবং উত্তর দিকে অবস্থিত। একটি তিন-স্তরের মিম্বর পশ্চিমে (কিবলা দিক) অবস্থিত। মসজিদটিতে একটি ছাদযুক্ত প্রধান বারান্দা (সেরাম্বি ) রয়েছে, যা জাভানিজ স্থাপত্যের একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য। বারান্দাটি একটি ছোট পুকুর দিয়ে ঘেরা, যা মসজিদে প্রবেশের আগে পা ধোয়ার জন্য ব্যবহৃত হত।[২]

মসজিদের সামনের উঠোন জাভানিজ প্রতীকবিদ্যায় উপকারী বলে মনে করা গাছ দিয়ে সজ্জিত। উঠোনের উত্তর ও দক্ষিণে লম্বা প্যাভিলিয়ন রয়েছে যা প্যাগনগান নামে পরিচিত। উত্তর পাশকে প্যাগোনগান লের ("উত্তর প্যাগোনগান") এবং দক্ষিণ পাশকে প্যাগোনগান কিডুল ("দক্ষিণ প্যাগোনগান") বলা হয়। সেকাতেন অনুষ্ঠানের সময়, কেয়াই নাগা উইলাগার গেমলান সেট স্থাপন করার জন্য প্যাগনান লের ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে কাংজেং কেয়াই গুন্টুর মাদু এর গেমলান সেট স্থাপন করতে প্যাগোনগান কিডুল ব্যবহৃত হয়।

ছবি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Marcus Zahnd (২০০৮)। Model baru perancangan kota yang kontekstual: kajian tentang kawasan tradisional di kota Semarang dan Yogyakarta : suatu potensi perancangan kota yang efektif (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। Kanisius। পৃষ্ঠা 93–104। আইএসবিএন 9789792119299 
  2. Olivia Lewi Pramesti (৫ আগস্ট ২০১১)। "Masjid Kaum Duafa"nationalgeographic.co.id/। National Geographic Indonesia। ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৫