কোলাপুরি সাজ (গহনা)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভারতের মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে তৈরি সোনার হার

কোলাপুরি সাজ হলো গলায় পরার একধরনের হার বিশেষ, ভারতের মহারাষ্ট্রের কোলাপুর শহরের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে।[১]

নকশা ও গড়ন[সম্পাদনা]

ঐতিহ্যগতভাবে হারগুলো ২১টি পাতা বা লকেট দিয়ে তৈরি করা হয় তবে সমসাময়িক পরিধানকারীরা ১০ থেকে ১২টি পছন্দ করে।[১] প্রথাগতভাবে হারগুলো হাতে গড়া হয়, যা একজন কারিগরকে তৈরি করতে এক সপ্তাহ সময় লাগে, তবে দক্ষ জনবলের ঘাটতি ও ব্যয়বহুলতার মতো প্রতিবন্ধকতার কারণে, এর উৎপাদন যান্ত্রিকীকরণের প্রচেষ্টাকে প্ররোচিত করেছে।[২]

ত্রিশা ভট্টাচার্য ডেকান হেরাল্ডের একটি প্রবন্ধে এই নকশার বর্ণনায় বলেছেন:

...নকশার ২১টি অংশের অধিকাংশই বিষ্ণুর অবতার ও অষ্টমঙ্গলের প্রতীক নিয়ে গঠিত। কোলাপুরী সাজ শুরু হয় কাঠ চাঁপা (কাঠগোলাপ কুঁড়ি) দিয়ে এবং শেষ হয় কীর্তি মুখ (সৌভাগ্য কবজ) দিয়ে। পাটিতে রয়েছে পঞ্চ পানাদি (পবিত্র পাতা), বেল পাতা (ভগবান শিবকে নিবেদিত পাতা), বেল গাছ (তিনটি একত্রিত পাতার একটি উদ্ভিদ), ঝিঙে (সমস্ত উদ্ভিদের প্রতীক), কর্লা বা করলা (জীবনদাতা ভেষজ), সূর্য, মানিক পানাদি (যে রত্ন বন্ধুত্বের প্রতীক), মৎস্য (মাছ, বা বিষ্ণুর অবতার), কুরমা (বিষ্ণুর অবতার), নরসিংহ (বিষ্ণুর অবতার), গোলাপ, ভৃঙ্গঃ (গুবরে পোকা), চন্দ্র (চাঁদ), পান্না, গন্ধভৈরি (স্বামী-স্ত্রীর ঐক্যের প্রতীক), মর্চেল (রাজ্য ও ঐশ্বর্যের প্রতীক), ময়ূরের পালক, শঙ্খ, ওয়াঘ নাখে (বাঘের নখ, অস্ত্রশক্তির প্রতীক), ও সাপ (একতার প্রতীক)। অন্যান্য প্রতীকও ব্যবহার করা হয় যেমন, কমল (পদ্ম), কাসভ (কচ্ছপ) ও ভুঙ্গা (ভ্রমর বা ভোঁদা)। কোলহাপুরী সাজ সবুজ রঙের রেশমে বোনা হয় এবং তার সাথে আরও অলঙ্করণ করা হয়।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Exploring the Kolhapuri saaj - Times of India"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-০৪ 
  2. "Kolhapur jewellers urged to adopt modern tech - Times of India"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-০৪ 
  3. "Jewellery that exudes grace"Deccan Herald। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-০৪