কোংগা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কোংগা
লাতিন আনদ্ধযন্ত্র কোংগা ঢাক, আমস্টারডামের বিশ্ব সংস্কৃতিসমূহের জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শিত
তথ্যসমূহ
অন্য নামতুম্বাদোরা
শ্রেণিবিভাগ Percussion
হর্নবোস্টেল-শ্যাস শ্রেণিবিন্যাস211.221.1
(সরাসরি আঘাতকৃত পর্দাযন্ত্র যেটিতে পর্দাবিহীন প্রান্তটি উন্মুক্ত)
বিকশিতকিউবাতে, ১৯শ শতকের শেষভাগে বা ২০শ শতকের প্রারম্ভে
সম্পর্কিত যন্ত্র
ইউকা (বান্টু নৃগোষ্ঠী), মাকুতা (বান্টু নৃগোষ্ঠী), বেম্বে ঢাক (ইয়োরুবা নৃগোষ্ঠী)

কোংগা বা তুম্বাদোরা একটি উঁচু, সরু, একমাথা ঢাক যা কিউবাতে (কুবা) প্রচলিত। কোংগা কাঠের পিপার মতো সরু কাঠের ফালি বা চিলতে দিয়ে নির্মিত। এগুলিকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়: কিন্তো (প্রধান ঢাক, সবচেয়ে উঁচু), ত্রেস দোস বা ত্রেস গোল্পেস (মধ্যম উঁচু) এবং তুম্বা বা সালিদোর (সবচেয়ে নিচু)। কোংগা ঢাকগুলি আদিতে আফ্রিকান-কিউবান সঙ্গীতের কিছু গণ বা শ্রেণী, যেমন কোংগা (যে কারণে এগুলির নাম কোংগা) এবং রুম্বা সঙ্গীতে ব্যবহৃত হত, যেখানে প্রতিটি ঢাকবাদক একটিমাত্র ঢাক বাজাতো। ২০শ শতাব্দীর মধ্যভাগে কোংগা ঢাকবাদন ও নির্মাণে অনেকগুলি উদ্ভাবন ও নতুনত্বের প্রবর্তন ঘটে এবং বাদ্যযন্ত্রটি আন্তর্জাতিক হয়ে ওঠে, ফলে ঢাকবাদকদের একাই দুই বা তিনটি ঢাক বাজানো বর্তমানে অনেক সাধারণ একটি ঘটনা। লাতিন আমেরিকার সঙ্গীতের বিভিন্ন রূপভেদে কোংগা খুবই জনপ্রিয় একটি বাদ্যযন্ত্র, যাদের মধ্যে সোন কুবানো (যখন কোনহুনতোরা বাজায়), দেসকার্গা, আফ্রিকান-কিউবান জ্যাজ, সালসা সঙ্গীত, সোংগো সঙ্গীত, মেরেংগে সঙ্গীত ও লাতিন রক সঙ্গীতের নাম উল্লেখ্য।

কোংগা ঢাকের সঠিক উৎস অজানা, তবে গবেষকেরা একমত যে ১৯শ শতকের শেষভাগে বা ২০শ শতকের শুরুতে কিউবার আফ্রিকান বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠী এটির বিকাশ ঘটায়।[১] আফ্রিকার বান্টি নৃগোষ্ঠীর ইউকা সঙ্গীত ও মাকুতা ঢাক এবং ইয়োরুবা নৃগোষ্ঠীর বেম্বে ঢাকগুলি এটির সরাসরি পূর্বসূরী হিসেবে মনে করা হয়।[১] কিউবা ও লাতিন আমেরিকাতে কোংগা মূলত হাতে বাজানো হয়। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর কালিপসো সঙ্গীত ও সোকা সঙ্গীতে কোংগাগুলিকে কদাচিৎ কাঠের ছোট হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। অন্যদিকে কঙ্গোতে এগুলিকে হাত ও কাঠের হাতুড়ি --- উভয়কে দিয়ে আঘাত করা হয়।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Warden, Nolan (২০০৫)। "A History of the Conga Drum" (পিডিএফ)Percussive Notes43 (1): 8–15। 
  2. Kalani (২০০৩)। All About Congas (ইংরেজি ভাষায়)। Alfred Music Publishing। পৃষ্ঠা 17। আইএসবিএন 978-0-7390-3349-4