তিজান আন-নূর আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তিজান আন-নূর আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা
প্রদানের কারণকুরআন মুখস্থকরন ও তেলওয়াত করা
পৃষ্ঠপোষকজিমটিভি

কাতার সরকার

আওকাফ ও ইসলামি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
তারিখ২০১৩; ১১ বছর আগে (2013)
দেশকাতার
পুরস্কার১ম: ৫০০,০০০ কাতারি রিয়াল

২য়: ৩০০,০০০ কাতারি রিয়াল

৩য়: ১০০,০০০ কাতারি রিয়াল[১]
ওয়েবসাইটwww.jcc-quran-competition.tv

কাতার তিজান আন-নুর আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার হল একটি আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার যা প্রতিবছর কাতারের জিম টেলিভিশন (আল জাজিরা চিলড্রেনস চ্যানেল) দ্বারা আয়োজিত হয়ে থাকে।[২][৩] শুধুমাত্র ৯-১৩ বছর বয়সী শিশুরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারে।[৪] প্রতিযোগিতাটি বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণকারীদের আকৃষ্ট করেছে, এটিকে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কোরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতায় পরিণত করেছে।[২][৫] আয়োজনটি বিভিন্ন উপায়ে কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।[৬] এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য শিশুদের মধ্যে উচ্চতর ও নৈতিক মূল্যবোধের অর্জনে উদ্বুদ্ধ করা, পাশাপাশি আরবি ভাষার সঠিক ব্যবহার প্রচার এবং শিশুদের কুরআন অধ্যয়ন ও তেলওয়াতে উৎসাহিত করা। বাছাইকৃত আলেমদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এবং কুরআনে বিশেষজ্ঞ পণ্ডিতরা স্বরধ্বনির নিয়ম, শব্দের গুণমান ও কার্যকারিতা এবং তেলাওয়াতের ধরন অনুসারে অংশগ্রহণকারীদের মূল্যায়ন করে।[৭]

এই প্রতিযোগিতায়, প্রথম স্থান বিজয়ী ৫০০,০০০ কাতারি রিয়াল, দ্বিতীয় স্থান এবং তৃতীয় স্থান বিজয়ীরা যথাক্রমে ৩০০,০০০ কাতারি রিয়াল এবং ১০০,০০০ কাতারি রিয়াল পেয়ে থাকে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০১৩ সালে, ৫৪টি দেশের ১৩০০ জনের বেশি শিশু এই আয়োজনে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিল।[৮] মরক্কোর ১৩ বছর বয়সী দোহা এই সেশনে বিজয়ী হয়।[৯]

২০২২ সালে, ৪৮টি দেশের কুরআন মুখস্থকারীরা আকৃষ্ট হয়েছিল, যেখানে ১৬টি আরব দেশ ৬৮১ জন তেলাওয়াতকারীর সাথে অংশগ্রহণ করেছিল।[১] এবং আওকাফ এবং ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের এই সংস্করণে স্পনসর করেছিলো।

উদ্দেশ্য[সম্পাদনা]

এই পুরস্কারের উদ্দেশ্য হল আল্লাহর কুরআনের সেবা করা এবং নিম্নোক্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে কুরআনের দক্ষতার সাধারণ স্তরকে উন্নত করা।

  • শিশু প্রজন্মকে তাদের ধর্মের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা এবং তাদের ইসলামী বিশ্বাস ও লক্ষ্যের প্রতি তাদের কর্তব্য উপলব্ধি করা।
  • কুরআনের উল্লেখযোগ্য মুখস্তদের সম্মান করা।
  • ইসলামের খেদমতে মুসলিম বিশ্বের কাছে নিজের দেশকে উপস্থাপন করা।[৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Awqaf sponsors Katara's Holy Quran Recitation Award"Qatar-Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮ 
  2. "Tijan Al Noor opens door for 'Qur'an Recitation Contest'"Saudigazette (English ভাষায়)। ২০১২-০৯-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮ 
  3. "Al Jazeera Children's Channel's Holy Quran Recitation Contest "Tijan Al Noor" opens door for submission"ILoveQatar.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮ 
  4. قرآن, iqna ir | خبرگزاری بین المللی (১৫ এপ্রিল ২০১৫)। "نفرات برتر مسابقات بین‌المللی قرآنی «تیجان النور» در قطر معرفی شدند"fa (ফার্সি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮ 
  5. iqna.ir (১৫ এপ্রিল ২০১৫)। "Winners of Int'l Quran Competition in Qatar Announced"en (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮ 
  6. "- الموقع الرسمي لتلفزيون ج | ﺗﻠﻔﺰﻳﻮﻥ ﺝ"الموقع الرسمي لتلفزيون ج | ﺗﻠﻔﺰﻳﻮﻥ ﺝ - (আরবি ভাষায়)। ২০২১-১০-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮ 
  7. "Al-Jazeera names winners of Qur'an recitation contest"Gulf-Times (আরবি ভাষায়)। ২০১৩-০৮-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮ 
  8. "Al-Jazeera names winners of Qur'an recitation contest"Gulf-Times (আরবি ভাষায়)। ২০১৩-০৮-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮ 
  9. "JCC Announces Winners of 'Tijan Annour' Quran Recitation Contest"Marhaba Qatar (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৮-০৫। ২০১৬-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-০৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]