কাতার-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক

কাতার- যু্ক্তরাজ্য সম্পর্ক সম্পর্ক

কাতার	যু্ক্তরাজ্য

কাতার ও যুক্তরাজ্য সম্পর্ক হলো কাতার রাজ্য এবং গ্রেট ব্রিটেনের যুক্তরাজ্য ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, যা পারস্পরিক স্বার্থের বিস্তৃত বিষয় ও ক্রিয়াকলাপ অন্তর্ভুক্ত করে। সর্বপ্রথম ১৯১৬ সালে কাতারের তৎকালীন আমির আবদুল্লাহ বিন জসিম আলে সানি ব্রিটেনের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার ফলে এলাকাটিকে চুক্তিবদ্ধরাষ্ট্রের অধীনে স্থাপন করা হয়। তখন থেকে কাতার ও যু্ক্তরাজ্যের মাঝে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরালোভাবে শুরু হয় এবং বর্তমানও উভয় দেশের মাঝে এই সম্পর্ক বিদ্যমান।

ইতিহাস

১৮৬৮ সালে ব্রিটিশ লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিসার স্যার লুইস পেলি কাতার অঞ্চলের উপজাতি সদস্যদের দ্বারা বেশ কয়েকটি অভিযানের পর ১৮৫৩ সালের পূর্বের চিরস্থায়ী সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার মাধ্যমে ব্রিটিশ স্বার্থ রক্ষার জন্য বাহরাইনে আসেন। পেলি বিশ্বাস করেছিলেন যে, এই অভিযানগুলি বাহরাইনের শাসক দ্বারা সংগঠিত হয়েছিল এবং তিনি কাতার, বাহরাইন এবং আবুধাবির শাসকদের যুদ্ধবিরতিতে তাদের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করার জন্য ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য জোর দিয়ে পরিস্থিতির সমাধান করেন।

কাতারি উপজাতিদের প্রধান শাসক মুহাম্মদ বিন সানি স্বাক্ষরিত কাতারি ঘোষণাটি ছিল বাহরাইন থেকে স্বাধীন হিসেবে কাতারের প্রথম স্বীকৃতি। শেষ পর্যন্ত এই চুক্তিটি ব্রিটিশ সরকারকে কাতার একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সূচনা বিন্দু হয়ে ওঠে।

উসমানীয়রা আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯১৩ সালে কাতারের উপর সার্বভৌমত্ব ত্যাগ করে। নতুন শাসক আবদুল্লাহ বিন জসিম আলে সানি ১৯১৬ সালে ব্রিটেনের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যার ফলে এলাকাটিকে বিচার ব্যবস্থার অধীনে স্থাপন করা হয়। এর অর্থ হল কাতার বহিরাগত হুমকি থেকে ব্রিটেনের সামরিক সুরক্ষার বিনিময়ে বিদেশী বিষয়ে তার স্বায়ত্তশাসন, যেমন ভূখণ্ড হস্তান্তর করার ক্ষমতা এবং অন্যান্য বিষয়ে ত্যাগ করেছে।

প্রথমদিকে ব্রিটিশরা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নিজেদের জড়িত করতে অনিচ্ছুক ছিল। যাহোক, যখন ১৯৩০-এর দশকে এই অঞ্চলে তেল আবিষ্কৃত হয়, তখন তেল ছাড়ের প্রতিযোগিতা তীব্র হয়। ১৯৩৮ সালে অ্যাংলো-পার্সিয়ান তেল কোম্পানি দুখানে তার প্রথম কূপ খনন শুরু করে এবং এক বছর পর ভালভাবে তেল উৎপাদন শুরু করে।