কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ
ধরনবেসরকারি
স্থাপিত১৯৯৭
অধ্যক্ষচন্দা কারকি
অবস্থান,
অধিভুক্তি
ওয়েবসাইটwww.kmc.edu.np/contactus.php
মানচিত্র

কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড টিচিং হসপিটাল (কেএমসিটিএইচ) নেপালের রাজধানী শহর কাঠমান্ডুতে অবস্থিত একটি চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত, কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) নেপালের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। কলেজটি স্থায়ীভাবে কাঠমান্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং নেপালের মেডিকেল কাউন্সিল, শ্রীলঙ্কার মেডিকেল কাউন্সিল, জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিল (ইউকে) এবং ভারতের মেডিকেল কাউন্সিল দ্বারা সম্পূর্ণরূপে স্বীকৃত। [১] [২] কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ টিচিং হসপিটাল জুন ২০০২ থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অফ মেডিক্যাল স্কুল ইলেকট্রনিক ফরম্যাটে তালিকাভুক্ত হয়েছে। নেপাল মেডিকেল কলেজ দ্বারা সম্পূর্ণ স্বীকৃতির পর, কেএমসিটিএইচ মেডিকেল স্কুলের বিশ্ব ডিরেক্টরিতেও তালিকাভুক্ত হয়েছে। [৩] এটি বর্তমানে বন্ধ হয়ে যাওয়া ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল এডুকেশন ডাইরেক্টরিতেও (আইএমইডি) তালিকাভুক্ত ছিল। কেএমসি বেলজিয়ামের গ্লেন্টে অবস্থিত নেটওয়ার্ক টুওয়ার্ডস ইউনিটি ফর হেলথ (টিইউএফএইচ) এর সহযোগী সদস্য।

অবস্থান[সম্পাদনা]

কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ (কেএমসি) দুটি কমপ্লেক্স থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে - ভক্তপুরের দুওয়াকোটে মৌলিক বিজ্ঞান এবং সিনামঙ্গলে ক্লিনিক্যাল সায়েন্স পড়ানো হয়। এর প্রধান হাসপাতালটি ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে সিনামঙ্গলে অবস্থিত। এছাড়া দুওয়াকোটে মৌলিক বিজ্ঞান ক্যাম্পাসের কাছে একটি কমিউনিটি হাসপাতাল নির্মিত হয়েছে। দুয়াকোটের ১১ তলা ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ইতিমধ্যেই জরুরি পরিষেবা এবং সাধারণ বহির্বিভাগ পরিষেবা চালু হয়েছে।

পাঠ্যধারাগুলি[সম্পাদনা]

  • স্নাতকোত্তর
  • এমবিবিএস (ব্যাচেলর অফ মেডিসিন, ব্যাচেলর অফ সার্জারি)
  • বিডিএস (ব্যাচেলর অফ ডেন্টাল সার্জারি)
  • নার্সিং এ বিএসসি

কেএমসিতে এমবিবিএস[সম্পাদনা]

কেএমসি হল নেপালের একটি বেসরকারি কলেজ যা কাঠমান্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। নেপালের মেডিকেল কলেজের অনেক অনানুষ্ঠানিক র‍্যাঙ্কিং, একটি সরকারি এবং একটি আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের পরে কেএমসি-কে তৃতীয় স্থানে রাখে। প্রতি বছর প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী এখানে পড়ার সুযোগ পায়। যার মধ্যে ১০ জনকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, নেপালের বৃত্তি বিভাগ নির্বাচিত করে। বাকি ৯০ জনকে কুমেট পরীক্ষায় মেধার ভিত্তিতে কঠোরভাবে নির্বাচিত করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ব্যাচেলর অফ মেডিসিন এবং ব্যাচেলর অফ সার্জারি (এমবিবিএস) হল একটি সাড়ে চার বছরের সমন্বিত প্রোগ্রাম, যার পরে এক বছরের বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ প্রশিক্ষণ। নেপাল মেডিকেল কাউন্সিল এবং কাঠমান্ডু বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া প্রয়োজনীয় মান এবং মানদণ্ড কেএমসি কঠোরভাবে মেনে চলে। প্রথম দুই একাডেমিক বছর আন্তঃবিভাগীয় একীকরণের পাশাপাশি ক্লিনিকাল এবং মৌলিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। কোর্সটি প্রতি শিক্ষাবর্ষে আগস্ট মাসে শুরু হয়।

হাসপাতাল[সম্পাদনা]

কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড টিচিং হসপিটাল (কেএমসিটিএইচ) ১৮৪ বাবুরাম আচার্য সড়ক, সিনামঙ্গল, কাঠমান্ডু, নেপালে অবস্থিত। জেনারেল ও কেবিনসহ ৯০০ শয্যা রয়েছে এই হাসপাতালে। কেএমসিতে ২৪ ঘন্টা জরুরী/প্যাথলজি পরিষেবা/এক্স-রে পরিষেবা, সিটি স্ক্যান, আল্ট্রাসাউন্ড, টিএমটি, পালমোনারি ফাংশন টেস্টিং, স্পাইরোমিটার, কোলনোস্কোপি, কলপোস্কোপি, ল্যারিঙ্গোস্কোপি, এন্ডোস্কোপিক ব্রঙ্কোস্কোপি পরিষেবা, ল্যাপারোস্কোপি, নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট, করোনারি কেয়ার ইউনিট, নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট, বড় এবং ছোট অপারেশন সুবিধা রয়েছে। এতে রয়েছে ৯টি অপারেশন থিয়েটার, যার একটিতে রয়েছে জরুরি ল্যাব সুবিধা।

ভর্তি[সম্পাদনা]

এমবিবিএস প্রোগ্রামের জন্য বছরে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী নথিভুক্ত হয়। আবেদনের সময় ১৭ বছর বয়স পূর্ণ করেছেন এবং যারা নিম্নলিখিত মানদণ্ডগুলি পূরণ করেছেন তারাই কেবল কেএমসি-তে এমবিবিএস প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করার যোগ্য।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

যাদের রয়েছে ইন্টারমিডিয়েট অফ সায়েন্স (আই.এস-সি) বা সমমানের ১০+২ বছরের শিক্ষা। সাথে ইংরেজি, জীববিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নে ৫০% এর বেশি নম্বর, পাশাপাশি সামগ্রিক প্রাপ্ত নম্বরও ৫০% এর বেশি।

অথবা নিম্নলিখিত বিষয়গুলির একটি সহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্বীকৃত ব্যাচেলর অফ সায়েন্স (বিএসসি) ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং কমপক্ষে একটি অন্য নির্ধারিত বিজ্ঞান বিষয় যা আনুষঙ্গিক স্তর পর্যন্ত অধ্যয়ন করেছে এবং সামগ্রিকভাবে ৫০% এর বেশি নম্বর রয়েছে, তবে শর্ত থাকে যে এই জাতীয় প্রার্থীদের পূর্ববর্তী যোগ্যতা পরীক্ষা কুমেটে অবশ্যই উত্তীর্ণ হতে হবে।

এমবিবিএস প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর এপ্রিল থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে আবেদন করতে হয়। আবাসিক নেপালি শিক্ষার্থীদের কুমেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয় এবং কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে আবেদনপত্র এবং প্রাসঙ্গিক নথি জমা দিতে হয়। অনাবাসিক নেপালি শিক্ষার্থী এবং বিদেশী শিক্ষার্থীদের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে সম্বোধন করে তাদের প্রশংসাপত্রের সত্যায়িত কপি সহ আবেদন পাঠাতে হয়।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Kathmandu Medical College"। ১০ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০২১ 
  2. Affordable and quality medical education in Nepal
  3. "Kathmandu Medical College"। World Directory of Medical Schools। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]