কাজাখ খানাত – সোনার সিংহাসন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাজাখ খানাত: সোনার সিংহাসন
চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকরুস্তেম আব্দরাশেভ
প্রযোজকআরমান আসেনভ,
আজাত জাপেকভ
শ্রেষ্ঠাংশেইয়েরকেবুলান দাইরভ,
জারিনা ইয়েভা
পরিবেশককাজাখ ফিল্ম
মুক্তি
  • ২১ মার্চ ২০১৯ (2019-03-21)
স্থিতিকাল১১১ মিনিট
দেশকাজাখস্তান
ভাষাকাজাখ

কাজাখ খানাত – সোনার সিংহাসন (কাজাখ: Qazaq handygy. Altyn taq) ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি কাজাখস্তানি ইতিহাস নির্ভর নাট্য চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছেন রুস্তেম আব্দরাশেভ এবং প্রযোজনা করেছেন আরমান আসেনভ ও আজাত জাপেকভ। ৯২তম একাডেমি পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগের জন্য কাজাখস্তান থেকে এই চলচ্চিত্রটিকে নির্বাচিত করা হয়েছিল, কিন্তু এটি মনোনীত হয়নি। ২০১৭ সালে হীরার তলোয়ার চলচ্চিত্র দিয়ে শুরু হওয়া সিরিজটির দ্বিতীয় চলচ্চিত্র এটি।[১]

পটভূমি[সম্পাদনা]

চলচ্চিত্রটি পনের শতকে কাজাখ খানাত প্রতিষ্ঠার ইতিহাস নিয়ে রচিত। কয়েক শতাব্দী ধরে চেঙ্গিস খানের বংশধররা ইউরেশিয়ার বিস্তৃত অঞ্চল শাসন করে আসছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন আবুল-খায়ের শাইবানি, যিনি হোয়াইট হোর্ডে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। সিংহাসনের দুই বৈধ উত্তরাধিকারী- কিরাইজানিবেক যাযাবর উপজাতিদের একটি অংশকে এই কঠোর শাসককে ত্যাগ করার আহ্বান জানান। তাদের সাথে নিয়ে দেশৎ-ই-কিপচাকের সুদূর পশ্চিম থেকে জেতিসুর মোগোলিস্তানে চলে যান এবং তাদের প্রাচীন শানিরাক আক ওর্দাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। জোচি এবং উরুস খানের সরাসরি বংশধর সুলতান কিরাই প্রথম খান নির্বাচিত হন। কিন্তু শত্রুরা ভঙ্গুর কাজাখ খানাতেকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করে। কঠিন পরীক্ষা, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও ক্ষতির তিক্ততা মোকাবিলা করে কাজাখদের বিজয়ী হওয়ার ঘটনা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই চলচ্চিত্রটিতে।

কুশীলব[সম্পাদনা]

  • কাইরাত কেমালভ: কিরাই খানের চরিত্রে
  • ইয়েরকেবুলান দাইরভ: জানিবেক খানের চরিত্রে
  • দোশান জোলজাকসিনভ: শায়বানশাহের চরিত্রে
  • আয়ান ওতেপবেরগেন: বুরুন্দিকের চরিত্রে
  • মেইরগাত আমাঙ্গেলদিন: কাসিমের চরিত্রে
  • নিয়াজবেক শাইসুলতানভ: শাহমোহাম্মদের চরিত্রে
  • মাদিনা ইয়েসমানোভা: জাহানবেকের চরিত্রে
  • কার্লিগাস মুহামেদজানোভা: রাবিয়ার চরিত্রে
  • খুলান চুলুন: ঐরাতের রাণীর চরিত্রে
  • জারিনা ইয়েভা: আয়তোলগানের চরিত্রে
  • ইয়েরলান আমিনা: ঐরাতের রাজকন্যার চরিত্রে[২][৩]

নির্মাণ ও মুক্তি[সম্পাদনা]

২০১৭ সালে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ শুরু হয়। এর অধিকাংশ দৃশ্য ধারণ করা হয় আলমাতি শহরে। এছাড়া কাপচাগাই শহর এবং দক্ষিণ কাজাখস্তানের তুলকিবাস, তারাজ ইত্যাদি স্থানে বেশ কিছু দৃশ্য ধারণ করা হয়।[৪][৫] ২০১৯ সালের ২১ মার্চ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। ৯২তম একাডেমি পুরস্কারে চলচ্চিত্রটি কাজাখস্তান থেকে নির্বাচিত হলেও মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়। ২০২১ সালে কোরকুত আতা তুর্কি বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসবে এ চলচ্চিত্রটি অংশ নেয়।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Oscars: Kazakhstan Selects 'Golden Throne' for Best International Feature Category"দ্য হলিউড রিপোর্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২২ 
  2. "দ্য গোল্ডেন থ্রোন"এশীয় বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসব (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২২ 
  3. "কাজাখ খানাত - গোল্ডেন থ্রোন"মুভিফোন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২২ 
  4. "Kazakhfilm starts filming Kazakh Khanate second season"দ্য আস্তানা টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ অক্টোবর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২২ 
  5. "Kazakh Khanate second season shot in South Kazakhstan"দ্য আস্তানা টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ জুন ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২২ 
  6. "Heart of Turkic cinematic world beats in Istanbul"ডেইলি সাবাহ (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ নভেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]