কমলা খাতুন ও ফিঙ্গে বেগম ধর্ষণ-হত্যা মামলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কমলা খাতুন ও ফিঙ্গে বেগম ধর্ষণ-হত্যা মামলা ২০০৩ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত একটি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গার জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার জোড়গাছা গ্রামের কমেলা খাতুন ও তার বান্ধবী ফিঙ্গে বেগমকে দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয় এবং ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশের থানায় মামলা করা হয় এবং পুলিশের তদন্তে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। অভিযোগনামায় পুলিশ উল্লেখ করে যে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওই দুই নারীর গলা কাটা হয়। [১]

তদন্তক্রমে পুলিশ পার্শ্ববর্তী রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের আজিজ, মিন্টু, মহিউদ্দিন ও সুজন নামের চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগনামা দাখিল করে। চুয়াডাঙ্গার “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে” বিচারকার্য চলে। বিচার চলাকালে আসামি মহিউদ্দিনের মুত্যু হয়। ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই তারিখে ট্রাইব্যুনাল অন্য তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর হাইকোর্টের রায়ে সর্বোচ্চ সাজা বহাল রাখা হয়।[২] পরবর্তীকালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আসামি সুজনকে খালাস দিয়ে আজিজ ও মিন্টুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখে।[৩] দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে সকল আইনী প্রক্রিয়া শেষে ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর দিন গত রাত্রে দুই আসামী আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায় লক্ষ্মীপুর গ্রামের আজিজ ওরফে আজিজুল (৫০) ও একই গ্রামের মিন্টু ওরফে কালু (৫০) কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।[৪] মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক ছিল।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মানবজমিন প্রতিবেদন
  2. "ধর্ষণ-হত্যা: দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর, চুয়াডাঙ্গায় দাফন"। ৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২১ 
  3. কালেরকণ্ঠ প্রতিবেদন
  4. যুগান্তর প্রতিবেদন
  5. ইত্তেফাক প্রতিবেদন