কনকচাঁপা (উদ্ভিদ)
কনকচাঁপা | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস ![]() | |
জগৎ/রাজ্য: | প্লান্টি (Plante) |
গোষ্ঠী: | ট্র্যাকিওফাইট (Tracheophytes) |
ক্লেড: | অ্যাঞ্জিওস্পার্মস (Angiosperms) |
ক্লেড: | ইউডিকটস |
গোষ্ঠী: | রোসিদস |
বর্গ: | Malpighiales |
পরিবার: | ওকনাসি (Ochnaceae) |
গণ: | Ochna DC[১] |
প্রজাতি: | O. obtusata |
দ্বিপদী নাম | |
Ochna obtusata DC[১] |
কনকচাঁপা বা ওচনা ওবতুসা হল ঝোপঝাড় জাতীয় এবং চকচকে পাতার একটি ছোট গাছ। এটিতে আকর্ষণীয় হলুদ ফুল ধরে এবং এর বীজ উজ্জ্বল লাল আবরণ দ্বারা বেষ্টিত হয়। এই উজ্জ্বল লাল বীজের কটোরা ফুলের মতো আকর্ষণীয়। এর বীজ সবুজ, তবে তা সময়ের সাথে জেট কালো হয়ে যায়। লাল বীজ কটোরা ডিজনি কার্টুন চরিত্র মিকি মাউসের মুখের মতো দেখতে। এই গাছ প্রধানত বীজ থেকে জন্মে। আবার গাছে কলমের মাধ্যমেও চারা উৎপাদন করা যায়। কিন্তু পদ্ধতিটি খুবই ধীর প্রকৃতির। ″ [২]
বিবরণ
[সম্পাদনা]কনকচাঁপা একটি মাঝারি আকারের গুল্মজাতীয় বৃক্ষ, যা সাধারণত ২ থেকে ৬ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। এর পাতা ডিম্বাকার, কিনারা কিছুটা খাঁজযুক্ত এবং গাঢ় সবুজ। বসন্তকালে গাছে উজ্জ্বল হলুদ ফুল ফোটে, যা দেখতে অনেকটা বাটারকাপ ফুলের মতো। ফুল ফোটার পর পাঁপড়ি ঝরে যায় এবং মাঝখানের বৃন্তে গাঢ় লাল বা কালচে ফল ধরে, যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয়।
বিস্তার
[সম্পাদনা]এই উদ্ভিদ প্রধানত ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, কেম্বোডিয়া, লাওস ও দক্ষিণ চীনে বেশি দেখা যায়। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অঞ্চলেও এটি কখনো কখনো উদ্যান বা শৌখিন বাগানে রোপণ করা হয়।
সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
[সম্পাদনা]ভিয়েতনামে কনকচাঁপা (স্থানীয় নাম: hoa mai) টেট উৎসবের সময় সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে ঘর সাজানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। সেখানে এটি নতুন বছর, সমৃদ্ধি ও আনন্দের প্রতীক। বাংলাদেশেও এটি বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রোপণ করা হয়ে থাকে।
চাষাবাদ ও ব্যবহার
[সম্পাদনা]কনকচাঁপা মূলত অলংকারিক উদ্ভিদ হিসেবে চাষ করা হয়। এর ফুল সুগন্ধি হওয়ায় বাগানে পোকামাকড়ও টানে। মাটি ও জলাবদ্ধতা সম্পর্কে সংবেদনশীল হওয়ায় এর জন্য পানি নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত জায়গা বেছে নিতে হয়। এটি বীজ ও কাটিং দুইভাবেই চারা করা যায়।