কক্সবাজার রাডার স্টেশন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

Radio Detection And Range এর সংক্ষিপ্ত নাম রাডার (Rader)। ১৯৬৯ সালে সুইডিশ শিশুকল্যাণ সংস্থা ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় কক্সবাজার রাডার স্টেশনটি স্থাপন করা হয়। ২২ এপ্রিল, ২০০৭ সালে জাপান সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় রাডার সিস্টেমের উন্নয়ন সাধন করা হয়। ৪০০ কি.মি. ব্যাসার্ধের মধ্যে এ রাডার স্টেশনটি কার্যকর।[১] এ রাডারের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য ভি সেটের মাধ্যমে সাথে সাথে ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানতে পারে।

রাডার স্টেশনের অবস্থান[সম্পাদনা]

রাডার স্টেশনটি কক্সবাজার হিলটপ সার্কিট হাউজের পাশে অবস্থিত। সমতল ভূমি থেকে ৬০ ফুট উচুঁ পাহাড়ের চূঁড়ায় প্রায় ৯৯ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ভবনের উপর রাডারটি স্থাপন করা হয়। রাডার স্টেশন সংলগ্ন পাহাড়ের চূঁড়ায় স্থাপিত লাইট হাউসটি গভীর সমুদ্রে চলাচলরত জাহাজ, নৌকা ও মাঝিমাল্লাদের দিক নির্দেশনাসহ নানাভাবে উপকারে আসে। রাডার স্টেশনটি প্রথম শ্রেণির (খ) কেপিআইভুক্ত একটি স্থাপনা।[২]

স্টেশনের ভূমিকা[সম্পাদনা]

স্টেশনটি বাংলাদেশের আবহাওয়ার অবস্থান, পূর্বাভাস দেয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আবহাওয়ার আগাম সতর্কতা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ফলে গভীর সমুদ্রে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়সহ নানা দুর্যোগের আগাম বার্তা পাওয়ার কারণে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাচ্ছে উপকূলবাসী। চতুর্দিকে ৪০০ কিলোমিটার দূরুত্ব পর্যন্ত নিখুঁতভাবে আগাম সতর্কতা বার্তা প্রদানে সক্ষম ডপলার রাডারটি।[৩] ফলে কক্সবাজার জেলার বিমানবন্দর, এবং মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকাকে তাৎক্ষনিক সতর্ক সংকেত জারির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস প্রদানের সক্ষমতা বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "কক্সবাজার জেলা"www.coxsbazar.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০৭ 
  2. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "ঝুঁকিতে রাডার স্টেশন"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০৭ 
  3. Banglanews24। "ঝুঁকিপূর্ণ রাডার স্টেশন, ফের পাহাড় ধ্বসের শংকা"banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০৭