এলিজাবেথ ওলটেন হত্যাকাণ্ড

অ্যালিসা বুস্তামান্তে একজন আমেরিকান মহিলা, যিনি ১৫ বছর বয়সে মিসৌরির সেন্ট মার্টিন্সে তার ৯ বছর বয়সী প্রতিবেশী এলিজাবেথ ওলটেনকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন।

ইতিহাস

নয় বছর বয়সী এলিজাবেথ ওলটেন বুস্তামান্তের বাড়ি থেকে চারটি বাড়ির পরে থাকতেন। ২০০৯ সালের ২১ শে অক্টোবর, বুস্তামান্তে তার ছোট বোনকে তাদের বাড়ির পাশে ওলটেনকে জঙ্গলে নিয়ে আসার জন্য রাজি করান। ওলটেনের আগমনের পর বুস্তামান্তে তরুণ ওলটেনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে, তার গলা কেটে বুকে ছুরিকাঘাত করে। বুস্তামান্তে তখন ওলটেনের মরদেহ একটি কবরে সমাধিস্থ করেন যা তিনি ৫ দিন আগে তার বাড়ির পিছনের জঙ্গলে খনন করেছিলেন এবং কবরটি পাতা দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন।

অপরাধী

অ্যালিসা ডাইলিন বুস্তামান্তে এর দাদা-দাদি, গ্যারি এবং কারেন ব্রুক ২০০২ সালে তার এবং তার তিন ছোট ভাইবোনের আইনি হেফাজত নেন, যেহেতু তার মা মিশেলের আসক্তির সমস্যা ছিল এবং বাবা সিজার কারাগারে সময় কাটাচ্ছিলেন। বন্ধুরা ২০০৭ সালের দিকে অ্যালিসার পরিবর্তন লক্ষ্য করতে শুরু করে যখন তাকে আত্মহত্যার চেষ্টার পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার ইউটিউব প্রোফাইলে, তিনি তার শখ হিসাবে "কাটা" তালিকাভুক্ত করেছেন।

হত্যার পর বুস্তামন্ত তার জার্নালে লিখেছিলেন:

আমি শুধু কাউকে মেরেছি। আমি তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছি এবং তাদের গলা কেটেছি এবং ছুরি মেরেছি এখন তারা মারা গেছে। আমি জানি না কীভাবে এটিএম অনুভব করতে হয়। এটা আশ্চর্যজনক ছিল। যখনই আপনি "ওহ মাই গড, আমি এটি করতে পারি না" অনুভূতিটি কাটিয়ে উঠতে পারেন, এটি বেশ উপভোগ্য। যদিও আমি এই মুহূর্তে নার্ভাস এবং নড়বড়ে। কে, আমাকে এখন গির্জায় যেতে হবে।

এরপর তিনি একটি গির্জার নৃত্যে অংশ নেন (বুস্তামান্তে তার স্থানীয় চার্চ অফ জেসাস ক্রাইস্ট অফ ল্যাটার-ডে সেন্টস-এ সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন) যখন পুলিশ ওলটেনের সন্ধান করে।

বুস্তামান্তে প্রথম ১৭ নভেম্বর, ২০০৯ তারিখে আদালতে হাজির হন, যেখানে তিনি দোষী সাব্যস্ত হননি এবং প্রথম পর্যায়ের হত্যা এবং সশস্ত্র ফৌজদারি পদক্ষেপের জন্য অভিযুক্ত হন (হত্যায় ছুরি ব্যবহারের কারণে)। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি দ্বিতীয় ডিগ্রী হত্যা এবং সশস্ত্র ফৌজদারি পদক্ষেপের কম অভিযোগে একটি আবেদন চুক্তি গ্রহণ করেন। কয়েক সপ্তাহ পরে, শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা সহ তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং টানা ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

২০১৪ সালের মার্চমাসে এই শাস্তির বিরুদ্ধে তার আপিল প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।

নিহতের মা প্যাট্রিসিয়া প্রিস বুস্তামান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি নিষ্পত্তি করতে সম্মত হন। চুক্তির শর্তাবলীতে বুস্তামান্তেকে কেস কভারেজ থেকে প্রিসের কাছে কোনও ক্ষতিপূরণ প্রকাশ করতে হবে।

অ্যালিসাকে বেশ কয়েকজন মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদার দেখেছিলেন, যারা সবাই সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে তিনি প্রধান বিষণ্ণতা জনিত ব্যাধিতে ভুগছেন এবং তার বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার রয়েছে।

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে

অ্যালিসার মামলাটি ডেডলি উইমেন-এ প্রোফাইল করা হয় এবং ১৯ অক্টোবর, ২০১২ তারিখে অ্যানোনিমাস-এর মাই নেম ইজ 'এ' নামে একটি থ্রিলার চলচ্চিত্র আলগাভাবে মুক্তি পায়। এই হত্যা কিডস হু কিল (সিজন ১, পর্ব ৫) এর একটি পর্বের বিষয়বস্তু ছিল।