এফআর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ড
তারিখ | ২৮ মার্চ ২০১৯ |
---|---|
সময় | ১:০০ অপরাহ্ন (বিএসটি) |
অবস্থান | এফআর টাওয়ার, বনানী, ঢাকা, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৭′৩৭″ উত্তর ৯০°২৪′১৭″ পূর্ব / ২৩.৭৯৩৭৪° উত্তর ৯০.৪০৪৬৫° পূর্ব |
ধরন | কাঠামো অগ্নিকাণ্ড |
নিহত | ২৬ জনের মৃত্যু |
আহত | ৭৩ জন আহত |
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বনানীর বহুতল বাণ্যিজিক ভবন এফআর টাওয়ারে (ফারুক রূপায়ণ টাওয়ার) ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়[১]। ২২ তলা ভবনের অষ্টম তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় ও ক্রমেই সেটি অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জনের মৃত্যু হয় এবং ৭০ জন আহত হন।[২] দুরন্ত টিভি ও এফএম রেডিও টুডে’র কার্যালয় এফআর ভবনের পাশে হওয়ায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এ দুটি সম্প্রচার মাধ্যমে সম্প্রচার সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়।[৩]
অগ্নিকাণ্ড
[সম্পাদনা]কারণ
[সম্পাদনা]অগ্নিকাণ্ডের দিন যারা ছিলেন তাঁদের কয়েকজন ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটিকে জানায় আটতলা থেকে আগুনের শুরু। তাঁদের আশঙ্কা করে জানায়, বৈদ্যুতিক গোলোযোগ থেকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কমিটির সাক্ষাৎকারে প্রত্যক্ষদর্শী অন্তত ১২ জন বলেন, আটতলা থেকে আগুন লাগে।[৪]
ঘটনাক্রম
[সম্পাদনা]অগ্নিকাণ্ডের পর আগুন দ্রুত অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পরে। ভবনের ভেতর আটকা পরা অনেকে ভবনের কাঁচ ভেঙ্গে ও রশি দিয়ে নামার চেষ্টা করেন।[৫] এ সময় কয়েকজন নিচে পরে গিয়ে নিহত হন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। একই সাথে বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা উদ্ধারকাজে যোগ দেন। এছাড়া ঘটনাস্থলে ৪০-৫০টি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সেবা প্রদান করা হয়। বেলা ৩টার দিকে উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার শুরু হয়।[৬] এছাড়াও হেলিকপ্টার দিয়ে পাশের গুলশান-বনানী লেক থেকে পানি সংগ্রহ করে ভবনে ছিটানো হয়। বিকাল ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।[৬]
হতাহত
[সম্পাদনা]অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৬ জন ব্যক্তি নিহত হন যার মধ্যে একজন শ্রীলঙ্কার নাগরিক ছিলেন।[৭] বেশ কিছু মানুষ ভবন থেকে লাফ দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ৭৩ জন আহত হন এবং শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল ও অ্যাপোলো হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বনানীতে আগুন - বিষয়"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৯।
- ↑ "পোড়া ভবন থেকে বের করা হচ্ছে একের পর এক লাশ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "দুরন্ত টিভি ও রেডিও টুডে'র সম্প্রচার বন্ধ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "আটতলাতেই আগুনের শুরু?"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "বনানীতে বহুতল ভবনের আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি"। বিবিসি বাংলা। ২৮ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৯।
- ↑ ক খ "বনানীর আগুনে নিহত ১৯, যা ঘটলো সারাদিন"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "লাফিয়ে পড়ে বিদেশি নিহত, হাসপাতালে ৩২"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৯।