এপালজিওরিঙ্কোস ফ্রেনাটুম
এপালজিওরিঙ্কোস ফ্রেনাটুম রেইনবো শার্ক | |
---|---|
এপালজিওরিঙ্কোস ফ্রেনাটুম | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | অ্যানিম্যালিয়া |
পর্ব: | আর্থ্রোপোডা |
শ্রেণী: | Actinopterygii |
বর্গ: | সিপ্রিনিফর্মেস (Cypriniformes) |
পরিবার: | সাইপ্রিনিডি (Cyprinidae) |
গণ: | এপালজিওরিঙ্কোস (Epalzeorhynchos) |
প্রজাতি: | ই. ফ্রেনাটুম E. frenatum |
দ্বিপদী নাম | |
এপালজিওরিঙ্কোস ফ্রেনাটুম (Epalzeorhynchos frenatum) ( ফাওলার, ১৯৩৪) | |
প্রতিশব্দ | |
|
এপালজিওরিঙ্কোস ফ্রেনাটুম (বৈজ্ঞানিক নাম: Epalzeorhynchos frenatum) বা রেইনবো শার্ক হল সাইপ্রিনিডি (Cyprinidae) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিঠা পানির মাছের একটি প্রজাতি। এটি রুবি শার্ক, লাল ফিন শার্ক, রেইনবো শার্ক, সাদা ফিন শার্ক ইত্যাদি নামেও পরিচিত। এটি অ্যাকুরিয়ামে চাষের জন্য একটি জনপ্রিয় মাছের প্রজাতি। এরা সাধারণত অর্ধ-আক্রমণাত্মক অ্যাকুরিয়ামের মাছ।
বাসস্থান[সম্পাদনা]
এপালজিওরিঙ্কোস ফ্রেনাটুমের আদিনিবাস ইন্দো চীনের মেকং, চাও ফ্রায়া, জে ব্যাংফাই এবং মেকলং-এর অববাহিকায়। এরা নদীর তলদেশের বালুময় স্তর সহ জলে বাস করে এবং ঋতু অনুসারে প্লাবিত স্থানে স্থানান্তরিত হয়।
খাদ্য[সম্পাদনা]
এরা সাধারণত শেওলা ও প্লাংকটন খায় এবং অ্যাকুরিয়ামে থাকা অবস্থায় রেডিফিড খেয়ে থাকে।
বিবরণ[সম্পাদনা]
এপালজিওরিঙ্কোস ফ্রেনাটুম সাধারণত তিনটি রঙের হয়। দীর্ঘায়িত কালো, গাঢ় নীল এবং উজ্জ্বল নীল রঙের। এদের থুতনি নির্দেশিত, পেট সমতল। পাখনা লাল ও কমলা-লাল বর্ণের। মহিলাদের তুলনায়, পুরুষ এপালজিওরিঙ্কোস ফ্রেনাটুমের টেলফিন বরাবর কালো রেখা সহ পাতলা দেহ থাকে। পুরুষ মাছের রঙ উজ্জ্বল এবং ৬ ইঞ্চি বা ১৫ সে.মি. পর্যন্ত লম্বা হয়।
বৈচিত্র্য[সম্পাদনা]
অ্যালবিনো এপালজিওরিঙ্কোস ফ্রেনাটুম বা অ্যালবিনো রেড ফিন শার্কমিনোর শরীর সাদা এবং পাখনা লাল/কমলা বর্ণের হয়। এরা মেজাজ ও চেহারাতে সাধারণ এপালজিওরিঙ্কোস ফ্রেনাটুমের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ। এগুলিকে কখনও কখনও ই. মুনেন্স হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে এটি একটি পৃথক প্রজাতি যা খুব কমই অ্যাকোয়ারিয়াম ব্যবসায় প্রবেশ করে।
অ্যাকুরিয়ামে[সম্পাদনা]
স্বভাব[সম্পাদনা]
এপালজিওরিঙ্কোস ফ্রেনাটুম অ্যাকুরিয়ামের নিচের দিকে অবস্থান করে এবং অ্যাকুরিয়ামের সারফেস পরিষ্কার রাখে। নিচের এবং মধ্যের স্তরের মাছ হওয়ায় এরা অন্য মাছের অবশিষ্ট খাবার গ্রহণ করে, তবে উপরিভাগে বেড়ে ওঠা শেওলাও খেয়ে থাকে। এরা বন্য অঞ্চলে তাদের নিজস্ব প্রজাতির সাথে শান্তিপূর্ণ আচরণ করে তবে অ্যাকুরিয়ামে একসাথে রাখলে একে অপরের সাথে আক্রমনাত্মক হিসেবে পরিচিত। হুমকি প্রদর্শন এবং মারামারি ঘটতে পারে। এই লড়াইয়ের আচরণের মধ্যে মাথা এবং লেজ কাটা, এবং কামড়ানোও জড়িত।এটি প্রজনন কঠিন করে তোলে।
ট্যাংকের প্রয়োজনীয়তা[সম্পাদনা]
একটি প্রাপ্তবয়স্ক রেইনবো শার্ক 24 থেকে 27 °C (75 এবং 81 °F) এর মধ্যের তাপমাত্রা সহ নিরপেক্ষ pH রেঞ্জে (6 থেকে 8 pH)।
ট্যাংকমেট[সম্পাদনা]
রেইনবো শার্ক বার্বস ও রেইনবো ফিশের সাথে অ্যাকুরিয়ামে থাকতে পারে যারা ট্যাংকের উপরে এবং মধ্য স্তরের মাছ। এছাড়া ছোট আকারের মাছ রেইনবো শার্কের সাথে থাকতে পারে না। কারণ রেইনবো শার্ক তাদের তাড়া করে ভয় দেখাতে পারে।
প্রজনন[সম্পাদনা]
অ্যাকুরিয়াম সেটিংয়ে রেইনবো শার্কের প্রজনন কঠিন।দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক খামারগুলিতে বড় সংখ্যার বংশবৃদ্ধি করা হয়।[২]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Vidthayanon, C. (২০১২)। "Epalzeorhynchos frenatum"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন। 2012: e.T181093A1697683। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2012-1.RLTS.T181093A1697683.en ।
- ↑ Rainbow shark,English Wikipedia