উত্তর কোরিয়ায় আটক কোরীয় যুদ্ধের যুদ্ধবন্দী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কোরীয় যুদ্ধের সময় (১৯৫০-১৯৫৩) উত্তর কোরিয়া এবং চীনা বাহিনীর দ্বারা কয়েক হাজার দক্ষিণ কোরিয়ার সৈন্যদের বন্দী করা হয়েছিল কিন্তু ১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে বন্দী বিনিময়ের সময় তাদের ফেরত দেওয়া হয়নি। তাদের বেশিরভাগই মৃত বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ২০০৭ সালে অনুমান করেছিল যে প্রায় ৫৬০ দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবন্দী (POWs) এখনও উত্তর কোরিয়ায় বেঁচে আছে।[১][২] কোরীয় যুদ্ধ থেকে হিসাববিহীন দক্ষিণ কোরীয় যুদ্ধবন্দিদের সমস্যাটি ১৯৫৩ সালের যুদ্ধবিরতির পর থেকে বিতর্কিত। উত্তর কোরিয়া অবিরত অস্বীকার করে যে তাঁরা এই দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবন্দিদের বন্দী করে রেখেছে।[৩] ১৯৯৪ সাল থেকে এই ইস্যুতে নতুনভাবে আগ্রহ হয়েছে। যখন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন সৈনিক চো চ্যাং-হো যুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হলেও যিনি পরবর্তীকালে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত, ৭৯ জন প্রাক্তন দক্ষিণ কোরিয়ার সৈন্য উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।

এমনও প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, যে কয়েকশ মার্কিন যুদ্ধবন্দী উত্তর কোরিয়া দ্বারা এখনও ফেরত নাও দেওয়া হয়নি,[৪][৫] কিন্তু হিসাববিহীন যুদ্ধবন্দীদের অধিকাংশই দক্ষিণ কোরিয়ার।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. 2007 Ministry of Defense Report to the National Assembly (2007년 국방부 국정 감사 자료). Ministry of Defense, Republic of Korea. 2007.
  2. "조국은 당신들을 잊지 않습니다 : 국군포로문제의 실상과 대책" 
  3. "Lee offers salute to Korean War veterans" 
  4. The U.S. knew in 1953 North Koreans Held American P.O.W.'s. New York Times, September 17, 1996 article.
  5. Nigel Cawthorne's book The Iron Cage is a sequel to his controversial book The Bamboo Cage, about Vietnam War POWs. The Iron Cage concerns unreturned POWs from earlier wars, particularly Korea and World War II.