উইলিয়াম উইলবারফোর্স বার্ড
উইলিয়ম উইলবারফোর্স বার্ড (১৭৮৪-১৮৫৪) ছিলেন একজন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রতিনিধি যিনি বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ১৮৪৪ তিনি ভারতের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর জেনারেল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
জীবনী
[সম্পাদনা]উইলিয়ম উইলবারফোর্স বার্ড এর নাম তার পিতার নামের অনুরূপ, যিনি কাভেন্ত্রীর একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৭৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮০২ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে যোগদানে মনোনীত হওয়ার পূর্বে তিনি ওয়ারউইক ও জেনেভায় অধ্যয়ন করেন। একটি প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তিনি কলকাতায় পৌছান এবং সেখানে অবস্থিত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে অধিকতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরে তাকে বেনারসে বদলি করা হয়।[১]
বেনারসে তিনি সেখানে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় জনগণ সংক্রান্ত গৃহ দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেকে খুবই সুন্দরভাবে পরিচালনা করেন। তিনি ভারতীয় সুপ্রিম কাউন্সিল এ মনোনিত হওয়ার পূর্বে অর্থনৈতিক এবং বিচার সংক্রান্ত কাজে সংযুক্ত ছিলেন. যার ফলে গভর্নরের অনুপস্থিতিতে তিনি যথাযথভাবে রাষ্ট্রপতি হতে সক্ষম হয়েছিলেন। লর্ড এলেনব্রাগ গভর্নর থাকাকালীল সম্পূর্ণ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। যখন লর্ড এলেনব্রাগ উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তখন তিনি তার পাশে দাড়িয়েছিলেন। বার্ড তখন লর্ড এলেনব্রাগ এর পরিবর্তে ভারতের গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন এবং ১৮৪৪ সালে ইংল্যান্ড থেকে হেনরি হার্ডিঞ্জ এর আগমনের পূর্বে তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। হেনরি হার্ডিঞ্জ বার্ডকে আবার বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে ডেপুটি-গভর্নর পদে নিযুক্ত করেন কিন্তু তিনি তার কাজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং সেই বছরের শেষের দিকে ইংল্যান্ড এ ফিরে যান।[১] সেই বছরের অক্টোবর মান পর্যন্ত তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]
বার্ড ১১ জুন, ১৮১৮ সালে, বেনারসে ডেভিড ব্রাউনের দ্বিতীয় কন্যা হেনা এলিজাবেথ ব্রাউনের সাথে বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হন।[৩][৪] তিনি তার বাড়িতে ১৯৫৭ সালের ১লা জুন মৃত্যুবরণ করেন।[১]
ভারতের শিক্ষা সম্পর্কে একটি লম্বা সময় ধরে চলা বিতর্কে একজন ব্যক্তি বিদ্যালয়ে অধিকতর খ্রিষ্টান মূলনীতি প্রচার করতে চাইলে তার বিরূদ্ধে তিনি ধর্মনিরপেক্ষ যুক্তির পক্ষে থোমাস ম্যাকাউলের মতো ব্যক্তিবর্গের সাথে একমত পোষণ করেন। ১৮৩৫ সালে তিনি যে, নিরপেক্ষ শিক্ষা ভারতে ভালো ফলাফল বয়ে আনছিল এবং এই সচেতনতা তৈরি করেন যে, এ ক্ষেত্রে খ্রিস্টান ধর্মের অভিগমন স্থানীয় জনগণকে অখুশি করতে পারে, যা এমন কিছুতে রূপ নিতে পারে যেটিকে তিনি "একটি খুবই গুরুতর পরিসরের বিপর্যয়" বলে বর্ণনা করেছেন।[৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "Obituaries"। Proceedings of the Royal Geographical Society of London। II: 253–254। ১৮৫৮।
- ↑ "Presidents and Secretaries of The Asiatic Society"। The Asiatic Society। ২০১৬-০৯-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-২৮।
- ↑ "Marriages"। Blackwood's Edinburgh Magazine: 768। মার্চ ১৮১৯।
- ↑ Holmes and Co. (Calcutta, India) (১৮৫১)। The Bengal Obituary: Or, a Record to Perpetuate the Memory of Departed Worth, Being a Compilation of Tablets and Monumental Inscriptions from Various Parts of the Bengal and Agra Presidencies। J. Thomas। পৃষ্ঠা 379।
- ↑ Ivermee, Robert (২০১৫)। Secularism, Islam and Education in India, 1830–1910। Routledge। পৃষ্ঠা 30। আইএসবিএন 978-1-31731-705-0।
সরকারি দফতর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী দ্যা আর্ল অব এলেব্রাগ |
ভারতের গভর্নর জেনারেল (কার্যত) ১৮৪৪ |
উত্তরসূরী দ্যা ভিসকাউন্ট হার্ডিঞ্জ |