উইকিপিডিয়া:উইকিপ্রকল্প বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ/তথ্যসূত্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মুক্তিযুদ্ধের বিতর্কিত বিষয়গুলোতে সকল পক্ষের বক্তব্যের পক্ষে রেফারেন্স সংগ্রহ এবং রেফারেন্স গুলোর গুরুত্ব বিচার। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যারা বিকৃত করার কাজে লিপ্ত তাদের প্রতিরোধ করার জন্য রেফারেন্স কোনটা গ্রহণযোগ্য আর কোনটা ভুয়া এটা বিবেচনা করা খুব জরুরী। তথ্যসূত্র সংকলনের জন্য আলাদা এক বা একাধিক পাতা করা হবে। সেই পাতা থেকে প্রয়োজন মত তথ্য নিয়ে বিভিন্ন নিবন্ধে সংযুক্ত করা যাবে।

মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি সূক্ষ্ণ বিষয় নিয়ে কনক্রিট রেফারেন্স সংগ্রহ আমাদের মুখ্য কাজ। এই কাজটি করার জন্য একটি আলাদা পাতা ওপেন করা হচ্ছে। তাই বলে এই পাতাতেই সব করা হবে না। রেফারেন্স সংগ্রহের দায়িত্বে যারা আছেন তারা নিজ নিজ ওয়ার্ড ফাইলে সব টুকে রাখছেন। এই পাতায় কেবল সবার চোখে পড়ার জন্য দেয়া হচ্ছে। এই পাতা থেকে রেফারেন্স নিয়ে যেকোন পাতায় সংযুক্ত করতে পারেন যে কেউ। এখানে রেফারেন্স গ্রন্থ বা আর্টিকেল বা জার্নাল এর পাশাপাশি উল্লেখোগ্য অংশটুকুও হুবহু উদ্ধৃত করা থাকবে।

নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র কেমন হতে হবে?[সম্পাদনা]

কোন ধরণের তথ্যসূত্রকে কনক্রিট ধরা হবে এবং কোনটার মান কোনটার চেয়ে ভাল এটা বোঝার জন্য ইংরেজি উইকিপিডিয়ার Verifiability পাতাটি খুব উপযোগী। এখানে বলা আছে, The threshold for inclusion in Wikipedia is verifiability, not truth—what counts is whether readers can check that material added to Wikipedia has already been published by a reliable source, not whether we think it is true.- এখানে Reliable source তথা নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্রের সংজ্ঞাটাই মুখ্য। যাচাইযোগ্যতা এবং কোন তথ্যসূত্রকে গ্রহণযোগ্য ধরা হবে সে নিয়ে ইংরেজি উইকিতে দুটো পৃষ্ঠা আছে। এই পৃষ্ঠা দুটোই অনেকটা অনুসরণ করা হবে:

আর তথ্যসূত্র কিভাবে নিবন্ধে যোগ করতে হয় তার জন্য একটা গাইডলাইন পাতা আছে যা পাওয়া যাবে এখানে:

তথ্যসূত্র কাকে বলে?[সম্পাদনা]

মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্রে তথ্যসূত্র শব্দটি দ্বারা তিনটি বিষয় বোঝানো যেতে পারে এবং তিনটি বিষয়ের গুরুত্ব একসাথে মিলেই সূত্রের নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণ করবে:

  1. ইতিহাস গ্রন্থ, গবেষণাপত্র, দলিল, প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ, সনামধন্য পত্রিকার সমসাময়িক আর্টিকেল (যেমন ৭১-এ নিউ ইয়র্ক টাইমস, গার্ডিয়ান)। বলাই বাহুল্য আজকালকার পত্রিকায় অনেক লেখা পাওয়া যায় যেগুলোকে সূত্র হিসেবে খুব একটা গুরুত্ব দেয়া হবে না। প্রকাশিত প্রতিটি রচনার গভীরতা এখানে বিবেচ্য। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে লেখাটি প্রোপাগান্ডামূলক কি-না। মনে রাখবেন আত্মজীবনী, সাহিত্যকর্ম, স্মৃতিচারণ ইত্যাদি খুবই দুর্বল সূত্র, এগুলোর গুরুত্ব অত্যন্ত কম।
  2. রচনাটি কার দ্বারা লিখিত হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীটি কে, দলিলটি কার দ্বারা স্বাক্ষরিত বা ইস্যুকৃত, সাংবাদিক কতোটা নির্ভরযোগ্য? এগুলো সূত্রের নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণে খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে বিষয়ে যে ব্যক্তির রেফারেন্স দেয়া হচ্ছে সে উক্ত বিষয়ের আইকন কি-না তাও গুরুত্বপূর্ণ। যেমন যুদ্ধাপরাধ নিয়ে গোলাম আজমের কথার গুরুত্ব হবে অত্যন্ত কম, কারণ সে নিজেই যুদ্ধাপরাধী, তার কথার গুরুত্ব আদালতে থাকতে পারে, উইকিতে খুব একটা নেই।
  3. যে প্রতিষ্ঠান থেকে রচনাটি প্রকাশিত হয়েছে তা কতোটা গুরুত্বের দাবীদার। উদাহরণস্বরূপ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে প্রকাশিত কোন রচনা কোন স্বাধীনতাবিরোধী দলের প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত রচনা থেকে অনেক অনেক বেশী গুরুত্ব পাবে। প্রকাশনীর ভারটাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ।

নির্ভরযোগ্য সূত্র কোনগুলো?[সম্পাদনা]

  • মুক্তিযুদ্ধের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা লিখিত ইতিহাস গ্রন্থ, গবেষণাপত্র, গবেষণা গ্রন্থ, পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত পাণ্ডিত্যপূর্ণ প্রবন্ধ।
  • সনামধন্য, নিরপেক্ষ হিসেবে সুপরিচিত, অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের রচনা।
  • মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ে ইতিমধ্যে যে রচনাগুলো খ্যাতি পেয়েছে, যেগুলোকে উইকিপিডিয়ার বাইরেই সবাই রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে।
  • নির্ভরযোগ্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র। সবচেয়ে ভাল হয় বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত দলিলপত্রের সংগ্রহটি।
  • প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ। তবে বিবরণ কে গ্রহণ করেছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীটি কে এগুলোর উপর নির্ভর করে সেই বিবরণকে যাচাই করতে হবে।
  • সংবাদপত্রের লেখা তখনই কেবল গ্রহণযোগ্য হবে যখন পত্রিকা, প্রকাশক এবং সাংবাদিক বা লেখক নির্ভরযোগ্য হবেন। পত্রিকা বিখ্যাত হবে, প্রোপাগান্ডামূলক পত্রিকা হলে চলবে না। যেমন ১৯৭১ এর ঘটনার বিশ্লেষণে দৈনিক সংগ্রাম এর রেফারেন্স দেয়া যাবে না, কারণ এটা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা কারী ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামী নামক দলের অফিসিয়াল মুখপত্র। এ নিয়ে নিচে আরও আলোচনা আছে।

বিতর্কিত সূত্র কোনগুলো?[সম্পাদনা]

  • প্রোপাগান্ডামূলক যেকোন কিছু। যেমন কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বা গোষ্ঠীগত দলের মুখপত্র। এ ধরণের সূত্র ততক্ষণ পর্যন্তই ব্যবহার করা যাবে যতক্ষণ পর্যন্ত তারা থার্ড পার্টি সম্পর্কে কোন মন্তব্য করবে না। উদাহরণ দেয়া যাক: ১৯৭১ সালে জামায়াত নিজেরা কি করেছে সেটার রেফারেন্স হিসেবে ততক্ষণ পর্যন্তই দৈনিক সংগ্রাম ব্যবহার করা যাবে যতক্ষণ না সেই লেখাটি অন্য কোন দল সম্পর্কে মন্তব্য করছে। যেমন অপারেশন সার্চলাইট এর ৬ দিন পর যে গোলাম আজম শান্তি কমিটির মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন এটার রেফারেন্স হিসেবে সংগ্রাম ব্যবহার করা যাবে, কারণ তারা নিজেরাই নিজেদের সম্পর্কে বলছে। আবার মনে রাখা উচিত, নিজেদের স্তুতিমূলক কিছু হলে গ্রহণীয় হবে না, নিছক নিজেদের খবর হলে গ্রহণীয় হবে। কিন্তু দৈনিক সংগ্রাম যখন বলবে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা পাকিস্তানের অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে তখন সেটা গ্রহণ করা যাবে না, কারণ থার্ড পার্টি সম্পর্কে তাদের করা মন্তব্যের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই।
  • কেউ ইন্টারনেটে নিজ উদ্যোগে ওয়েবসাইট ওপেন করে বা নিজের ব্লগে অনেক কিছুই লিখতে পারে। এগুলো একেবারেই বিতর্কিত সূত্র। এগুলো থেকে সরাসরি কিছু নেয়া যাবে না। তবে এখানেও যদি অন্য কোন কনক্রিট রেফারেন্স থাকে তবে সেই সূত্র ব্যবহার করা যাবে, তাও ব্লগ বা সাইটেরটি নয়। যেমন মেজর ডালিম তার নিজের ওয়েবসাইটে যা লিখেছেন সেটার গ্রহণযোগ্যতা উইকিতে নেই।
  • অনেকে নিজের প্রকাশনী থেকে বা নিজে অর্থ বিনিয়োগ করে নিজের বই ছাপায়, তারপর উক্ত বিষয়ে নিজেকে বিশেষজ্ঞ দাবী করে। উইকিতে এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নেই। তবে তার লেখা যদি পণ্ডিত মহলে গৃহীত হয়ে যায় তাহলে কোন অসুবিধা নেই, উইকিতে গ্রহণীয় হবে।

রেফারেন্স সংগ্রহের বিষয়তালিকা[সম্পাদনা]

  1. স্বাধীনতা যুদ্ধ কেন হয়েছিল?
  2. যুদ্ধে কে আক্রমণ করেছিল প্রথম। - মুহাম্মদ
  3. যুদ্ধটা কি Civil War, কিংবা insurgency নাকি international war? - তানভী
  4. মৃতের এবং ধর্ষিতের সংখ্যা।
  5. বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষন যে ঘটেছিল সেই নয় মাস সময়কালে
  6. যুদ্ধকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক তৎপরতা: রাষ্ট্রীয় এবং বেসরকারী পর্যায়ে এবং মিডিয়ায়।
  7. ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রবেশ এবং পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর।
  8. যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে সরকারের পরবর্তী বিভিন্ন চুক্তি এবং পদক্ষেপসমূহ। (যেমন: ত্রিদেশীয় চুক্তি, দালাল আইন, ৭২ এর ইনডেমনিটি আইন)।