ইয়েমেনি নারী সঙ্ঘ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইয়েমেনি নারী সঙ্ঘ (ওয়াইডব্লিউইউ) ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে নারীদের নাগরিক অধিকার প্রচার করা এবং ইয়েমেনে নারীদের ক্ষমতায়ন করা। ইয়েমেনি মহিলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারপারসন হলেন ফাথিয়ে আবদুল্লাহ। [১]

সম্পর্কিত[সম্পাদনা]

ওয়াইডব্লিউইউ-এর সদর দপ্তর সানায় অবস্থিত এবং ইয়েমেন জুড়ে এদের ২২টি বিভিন্ন শাখা অফিস এবং ১৩২টি ছোট অফিস রয়েছে।[২] প্রতিটি শাখা মহিলাদের ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প, সাক্ষরতা, স্বাস্থ্য সেবা এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রদান করে। [৩] শাখাগুলি বাণিজ্যিক এবং কর আইন নিয়ে মহিলাদের জন্য আইনি কর্মশালাও পরিচালনা করেছে।[৪] অন্যান্য কর্মশালায় বিবাহ আইনের সংশোধনী এবং মহিলাদের হেফাজত অধিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।[৫]

নির্বাহী অফিসে প্রায় বত্রিশ জন কর্মী এবং দশজন "নির্বাচিত স্বেচ্ছাসেবক" রয়েছেন। [২] ওয়াইডব্লিউইউ-এর অনেক শাখায় পুরুষদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা উল্লেখ করেছে যে ইয়েমেনে নারীদের সমস্যা "পুরুষদের সমর্থন ছাড়া সমাধান করা যাবে না।" [৬]

ওয়াইডব্লিউইউ হিংস্র বা অপমানজনক পারিবারিক পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে আসা মহিলাদের রক্ষা করার জন্য অজ্ঞাত স্থানে আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করে।[৭] ওয়াইডব্লিউইউ একটি হটলাইনও চালায় যা মহিলাদের গার্হস্থ্য নির্যাতনের প্রতিবেদন করার অনুমতি দেয় যাতে তাদের "একটি নিরাপদ বাড়িতে স্থানান্তরিত করা যায় এবং একজন আইনজীবি নিয়োগ করা যায়।"[৮]

ওয়াইডব্লিউইউ মিশনের জন্য সাক্ষরতা এবং শিক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। সংস্থাটি ইয়েমেনের সমস্ত সাক্ষরতা ক্লাসের ১০% এরও বেশি পরিচালনা করে এবং মহিলাদের শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করে। [৯]

ওয়াইডব্লিউইউ ২০০৫ সালে একচেটিয়াভাবে মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত দেশের প্রথম আটক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে এবং ২০০৪ এবং ২০০৫ সালে ৪৫০ জন মহিলাকে পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে।[১০] ওয়াইডব্লিউইউ এমন একটি আইন পরিবর্তনে সহায়তা করেছিল যাতে বলা ছিল কোন "একজন পুরুষ অভিভাবক না নিতে এলে" কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া যাবেনা। [১১]

ওয়াইডব্লিউইউ রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় বিষয়েও সক্রিয়। ২০০৮ সালে মুসলিম আলেমরা যখন নির্বাচনে অংশ নেওয়া নারীদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেন, তখন ওয়াইডব্লিউইউ-এর সাবেক চেয়ারপারসন রামজিয়া আল-ইরিয়ানি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন যে ফতোয়াটি "ইসলামের বিরুদ্ধে, কুরআন দ্বারা নির্ধারিত পুরুষ ও নারীর মধ্যে সমতার বিরুদ্ধে"। [১২] ওয়াইডব্লিউইউ রাজনৈতিকভাবে জড়িত আরেকটি বিষয় হচ্ছে কাত ব্যবহার এবং চাষের অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নে।[১৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

 

  1. Al-Mohattwari, Asma (১ মার্চ ২০১৫)। "Yemeni Women Dream of an Equal, Modern and Stable State"National Yemen। ৩০ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৫ 
  2. "Yemeni Women's Union"Nakweh। ৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৫ 
  3. Talhami, Ghada Hashem (২০১৩)। Historical Dictionary of Women in the Middle East and North Africa। Scarecrow Press, Inc.। পৃষ্ঠা 362আইএসবিএন 9780810868588 
  4. Department of State (২০০৬)। Country Reports on Human Rights Practices for 2006। United States Government। পৃষ্ঠা 2236। আইএসবিএন 9781437905229। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৫ 
  5. "YWU, German Embassy Discuss YWU Projects"Arabia 2000। ২৪ আগস্ট ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৫ – Newspaper Source - EBSCO-এর মাধ্যমে। 
  6. Elsanousi, Madga Mohammed (২০০৪)। "Strategies and Approaches to Enhance the Roles of Men and Boys in Gender Equality: A Case Study from Yemen"। Gender Equality and Men: Learning from Practice। Oxfam GB। পৃষ্ঠা 169–170। আইএসবিএন 0855985143 
  7. Murray, Rebecca (৫ জানুয়ারি ২০১৩)। "Yemeni Women Struggle to Step Forward"Inter Press Service। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৫ 
  8. Qaed, Samar (২৭ মে ২০১৩)। "Need Help? Hotlines Provide Safe Space for Yemeni Women"Yemen Times। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৫ 
  9. "Yemen Long Battle With Illiteracy"Yemen Post। ৭ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৫ 
  10. Raab, Michaela (নভেম্বর ২০১২)। Ending Violence Against Women: An Oxfam Guide। Oxfam International। পৃষ্ঠা 6। আইএসবিএন 9781780772318। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৫ 
  11. Green, Duncan (২০০৮)। From Poverty to Power: How Active Citizens and Effective States Can Change the World। Oxfam International। পৃষ্ঠা 98আইএসবিএন 9780855985936 
  12. "Yemeni Group Slams Fatwa Banning Female MPs"Al Arabiya News। ২১ জুলাই ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৫ 
  13. Al-Sakkaf, Nadia (২৮ আগস্ট ২০১৪)। "Politics of Qat by Peer Gatter: The Long Awaited Conference on Qat - 2002"Yemen Times। ১৪ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]