ইন্দোনেশীয় মোমবাতি নাচ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোমবাতি নাচ
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় পরিবেশিত তারি লিলিন বা মোমবাতি নাচ
উৎসইন্দোনেশিয়া, সুমাত্রা

মোমবাতি নাচ যা স্থানীয় ভাষায় তারি লিলিন নামে পরিচিত, একটি ইন্দোনেশিয়ান নৃত্য যা একদল নর্তক ও একদল সঙ্গীতশিল্পী একত্রে পরিবেশন করে। নর্তকীরা প্রতিটি হাতের তালুতে রাখা থালায় বা পাত্রে আলোকিত মোমবাতি স্থাপন করে নৃত্য পরিবেশন করে। নর্তকরা দলে দলে নাচেন ও নাচের সময় প্লেটগুলিকে সাবধানে ঘোরান যাতে প্লেটটি সর্বদা অনুভূমিক থাকে এবং মোমবাতিগুলি নিভে না যায়। এই নাচের শৈলীর উৎপত্তি ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায়[১][২][৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

এই নৃত্যের উৎস স্থানীয় লোককাহিনী। লোককাহিনীতে লেখা আছে যে প্রাচীনকালে একটি মেয়ে ছিল যাকে তার হবু স্বামী ব্যবসার জন্য ফেলে রেখে চলে গিয়েছিল। একদিন মেয়েটি তার বাগদানের আংটি হারিয়ে ফেলে, তারপর সে একটি প্লেটে রাখা মোমবাতি ব্যবহার করে গভীর রাত পর্যন্ত এটির সন্ধান করেছিল। এখান থেকেই তারি তিলিন বা মোমবাতি নাচের জন্ম এবং গ্রামের মেয়েদের মধ্যে পরিচিতি শুরু হয়।

পরিবেশনা[সম্পাদনা]

মোমবাতি নাচ শুধুমাত্র ঐতিহ্যগত অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়। এই নাচের মাধ্যমে স্থানীয় সম্প্রদায় ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা করে। সময়ের সাথে সাথে এই নাচ এখন শুধুমাত্র ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানের জন্যই নয়, শিল্প এবং বিনোদন হিসাবেও পরিবেশিত হয়।

এই নৃত্যের বৈশিষ্ট্য এবং অনন্যতা হল মোমবাতির। নৃত্যশিল্পীরা উভয় হাতেই জ্বলন্ত মোমবাতিসহ একটি ছোট প্লেট ধারন করে।[৪] নর্তকীরা দলে দলে মোমবাতি সম্বলিত প্লেটটিকে সাবধানে ঘুরিয়ে নৃত্য পরিবেশন করে। প্লেটটি যেন পরে না যায় এবং সর্বদা নর্তকীর তালুর উপরে থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য এটি করা হয়।[৪]

এই মোমবাতি নাচের সাথে ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র এবং বেশ কিছু আধুনিক বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হয়। বাদ্যযন্ত্রগুলি হল গিটার, বেহালা, অ্যাকর্ডিয়ান, গং, টোক-টোক, ড্রাম এবং বনং।[৪]


তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Tari Lilin", warisanbudaya.kemdikbud 
  2. "Tari Lilin Asal Sumatera Barat: Sejarah, Fungsi, Gerakan, dan Busana", Kompas 
  3. "Mengenal Sejarah Tari Lilin dari Sumatera Barat dan Jenisnya", Katadata 
  4. "Tari Lilin: Sejarah, Makna, Gerakan, Pola Lantai, Properti & Musik Pengiring"