ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি
![]() | এই নিবন্ধটিকে উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে এর বিষয়বস্তু পুনর্বিন্যস্ত করা প্রয়োজন। (মার্চ ২০১৬) |
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/d/d9/%D0%9F%D0%BE%D0%B7%D0%B8%D1%82%D0%B8%D0%B2%D0%BD%D0%B5_%D0%BC%D0%B8%D1%81%D0%BB%D0%B5%D0%BD%D0%BD%D1%8F.png/220px-%D0%9F%D0%BE%D0%B7%D0%B8%D1%82%D0%B8%D0%B2%D0%BD%D0%B5_%D0%BC%D0%B8%D1%81%D0%BB%D0%B5%D0%BD%D0%BD%D1%8F.png)
ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি একটি ধারণা যা সর্বপ্রথম প্রকাশ পায় Think and Grow Rich by Napoleon Hill এর বইয়ের মাধ্যমে, যার ইংরেজি প্রকাশকাল ১৯৩৭ সনে। যদিও বইটিতে সরাসরি শব্দাবলী প্রয়োগ করা হয়নি তবুও সাফল্য অর্জনের জন্য ইতিবাচক চিন্তা যে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূত্র এবং ইহা গঠন করা অত্যাবশ্যক তা সম্বন্ধে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময় নেপোলিয়ন হিল এবং ডব্লিও ক্লেমেন্ট স্টোন, আরও একটি বই রচনা করেন যাতে সরাসরি ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গিকে সাফল্য অর্জনের জন্য মুখ্য উপাদান রূপে উল্লেখ করেন, ইহা চারিত্রিক গুণাবলীর একটি অতিরিক্ত অংশ যা একজনের চরিত্রকে দৃঢ় করে তোলে। ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি দ্বারা এমন কিছু শব্দ বোঝা হয় যেমন আস্থা, সততা, আশা, সাহস, প্রাথমিক আরম্ভ, প্রত্যাশা, সৌজন্যতা, ধৈর্য, কৌশল, দয়া এবং ভালো সাধারণ অণুভূতিগুলো।
সাফল্য সাময়িকীতে[১] জনাব জস ইলিছ বলেছেন, “সাধারণ লোকজনের অসাধারণ জীবন যাপন।” ইহাকে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে যে সাধারণ লোকজনেরও সমস্যা থাকে, বাধা, দুঃখ, হতাশা, সম্পদের অভাব থাকে কিন্তু তারপরও তারা ইতিবাচক চিন্তা এবং সেই অনুযায়ী ইতিবাচক কাজ করে জীবনে সামনে এগিয়ে যায়। ইহাই জীবন। জীবনে সমস্যা থাকবেই কিন্তু সমস্যার কারণে, নেতিবাচক চিন্তা করে, ভয়ে ভীত হয়ে বসে থাকা যাবে না এগিয়ে যেতে হবে ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি সাথে নিয়ে।
পরবর্তী সময় ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে জনাব নরম্যান ভিন্সেন্ট পেইলী একটি বই রচনা করেন - ইতিবাচক চিন্তার ক্ষমতা। বইয়ে তিনি উল্লেখ করেন, “সুখ অর্জনের পথ হচ্ছেঃ আপনার হৃদয়কে ঘৃণা থেকে দূরে রাখুন, আপনার মনকে উদ্বিগ্নতা থেকে দূরে রাখুন। সহজভাবে বাঁচুন, অল্প প্রত্যাশা করুন, বেশি প্রদান করুন। সূর্যরশ্মির আলোকিত কিরণ দেখুন, নিজেকে ভুলে যান, অন্যান্যদের কথা চিন্তা করুন। একটি সপ্তাহের জন্য ইহা চেষ্টা করে দেখুন এবং আপনি বিস্মিত হবেন।”[২]
ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি হচ্ছে একটি দর্শন যা প্রতিটি অবস্থা, পরিস্থিতি বা ঘটনা থেকে আশাবাদী দিক চিন্তা করতে পরামর্শ দেয় এবং এই দিক নিয়ে সাফল্য অর্জনের পথে পরিচালিত হতে তাড়া দেয়। প্রতিটি বাধা, বিপত্তি বা ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য, নিজের আকাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়ার জন্য অবিরত অধ্যবসায় চালিয়ে নেওয়ার প্রতি ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি অণুপ্রেরণা দিয়ে যায়। ইতিবাচক মানসিক ভঙ্গি গঠনের জন্য আশাবাদ এবং প্রত্যাশা অত্যন্ত জরুরী।