আলাপ:মধুপুর আনন্দমঠ

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: আলি মুহম্মদ ইদরৃস কর্তৃক ২ বছর পূর্বে "আনন্দমঠ" অনুচ্ছেদে

আনন্দমঠ[সম্পাদনা]

আনন্দমঠ টাঙ্গাইল (বিভক্ত ময়মনসিংহ) জেলার মধুপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থাপত্য প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শন।

ধারণা করা হয়, ঊনবিংশ শতকের ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত আনন্দমঠ (১৮৮২ খ্রিস্টাব্দ) উপন্যাস নামকরণ ও রচনার মূল পটভূমি এই আনন্দমঠ।

ইতিহাস:

ব্রিটিশ শাসনামল ( ১৭৬০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহীদের অন্যতম আস্তানা ছিল এটি। আনন্দমঠটির অবস্থান একটি বহুকোঠা বিশিষ্ট অট্টালিকা সমৃদ্ধ বাড়িতে হলেও এটা তৈরিকারী ও পরবর্তীকালে ব্যবহারকারীদের যে পরিমন্ডল গড়ে উঠেছিল তা  ছিল বেশ কয়েকটি বাড়ির সমষ্টি।

ইট, চুন ও সুড়কি দ্বারা নির্মিত প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ফুট উঁচু গোলাকার উপরের দিকে ক্রমশ সরু মূল মঠটির অবস্থান নদীর (বংশাই বা বংশী) পশ্চিম পাড়ে এবং বাকিগুলো ছিল নদীর পূর্বপাড়ে (প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে) যা বর্তমানে বোয়ালী রাজবাড়ি নামেই পরিচিত।মূলমঠের (প্রবশেদ্বার)সঙ্গে বাড়িগুলো সংযোগ ছিল সুড়ঙ্গ পথে । যা বংশাই নদীর তলদেশ দিয়ে ব্যাপৃত ছিল।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানিরা এই মঠটি গুড়িয়ে দিলেও ফকির-সন্ন্যাসী আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার শেষচিহ্ন (বোয়ালী গ্রামে অবস্থিত) টি মুছে ফেলা হয়েছে ২০১১ খ্রিস্টাব্দে।

বিবরণ:

৩* ২ ফুট এবং ৩ ইঞ্চি পুরু লাল ইটের তৈরি স্থাপনার দরোজা কড়িতে নান্দনিক কারুকার্য অঙ্কিত ছিল। কী উদ্দেশ্যে শালবন সমৃদ্ধ ঘন অরণ্যঘেড়া এই অঞ্চলে স্থাপনাটি গড়ে উঠেছিল তা জানা যায়নি। ঐতিহাসিকগণ মনে করেন, সুলতান-মোঘল আমলের স্থাপত্যশৈলি সুস্পষ্ট।।


আলোচনার জন্যে নোট: আনন্দমঠ একটি ঐতিহাসিক প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শন।ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের ঐতিহাসিক গুরত্বের কারণে ঊনবিংশ শতাব্দীর ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাসটিই আলোচনায় আসে। সেক্ষেত্রে প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শন তেমন গৃরত্ত্ব পায়নি। -- আলি মুহম্মদ ইদরৃস (আলাপ) ০৮:২৬, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ (ইউটিসি)উত্তর দিন