আলাপ:বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ওবায়দুল হাসান (জন্ম:১১ জানুয়ারি ১৯৫৯) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারক।[১]

জন্ম ও পরিচয়ঃ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানাধীন ছয়াশী (হাটনাইয়া) গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তাঁর বাবার নাম আখলাকুল হোসাইন আহমেদ এবং মায়ের নাম বেগম হোসনে আরা হোসাইন। তাঁর পিতা আখলাকুল হোসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি গণপরিষদ সদস্য হিসেবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। পারিবারিক জীবনঃ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের স্ত্রী নাফিসা বানু বর্তমানে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য (ফিন্যান্স) হিসেবে কর্মরত আছেন। তাদের সন্তান ব্যারিস্টার আহমেদ শাফকাত হাসান। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ডারহাম থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএল.এম. ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শিক্ষাজীবনঃ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.এস.এস.(অনার্স), এম.এস.এস.(অর্থনীতি), এলএল.বি. ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনঃ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদ প্রাপ্ত হন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি সহকারী এটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ৫ (পাঁচ) বছর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২০০৯ সালের ৩০ জুন যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তিনি ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে উক্ত ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ কর্মরত থাকাকালীন তার সহকর্মী বিচারকদের সাথে ১১টি মামলার রায় প্রদান করেন। তিনি ২০২০ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।[৩][৪] তিনি ১৯৯১ সালে হংকং এ অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে সিঙ্গাপুরে একটি আইন সম্মেলনে যোগদান করেন এবং বুয়েন্স আয়ার্স, আর্জেন্টিনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক একটি কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও ২০১৫ সালের আগস্ট মাসের শেষ দিকে নেদারল্যান্ডস এর হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তৎকালীন যুগোস্লোভিয়া এর বিচারকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন। তিনি ‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্রঃ একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য’ [৫] এবং 'বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশঃ একজন যুদ্ধশিশুর গল্প ও অন্যান্য' [৬] নামক দু'টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তথ্যসূত্রঃ 1. ↑ "বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট"। ww2.supremecourt.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৯। 2. ↑ "সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে শপথ নিলেন দুই বিচারপতি"। চ্যানেল আই অনলাইন। ২০২০-০৯-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৯। 3. ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "বিচারপতি ওবায়দুলের 'চিন্তা' মানা হলো?"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] 4. ↑ "জাতির পিতার সমাধিতে দুই বিচারপতির শ্রদ্ধা"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৯। 5. ↑ "মুক্তিযুদ্ধের ওপর বিচারপতির লেখা বই গৌরবের: প্রধান বিচারপতি"। SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৭। 6. ↑ "বাংলাদেশ কোনো খুনির দেশ নয় : প্রধান বিচারপতি"। https://wwww.jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-২৭।