আলাপ:আগ্নেয়গিরিজাত শিলা

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পৃথিবী সৃষ্টির সময় উত্তপ্ত ও তরল অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে তাপ বিকিরণ করে ভূত্বকের মধ্যে ও ওপরে প্রথম যে কঠিন শিলা সৃষ্টি হয় তাকে আগ্নেয় শিলা বা প্রাথমিক শিলা বলে। ভূ-অভ্যন্তরের বিভিন্ন ধাতব পদার্থ যেমন সিলিকন, লোহা, নিকেল, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, প্রভৃতি উত্তপ্ত ও গলিত অবস্থায় ম্যাগমা রূপে থাকে। এই ম্যাগমা ভূ-অভ্যন্তরের প্রবল চাপে লাভা রূপে ভূপৃষ্ঠে উঠে এসে বা ভূ-অভ্যন্তরেই ধীরে ধীরে শীতলও কঠিন হয়ে জমাট বেঁধে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি করে। • এই আগ্নেয়শিলা কে উৎপত্তি অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা যায় , যথা -- নিঃসারী আগ্নেয় শিলা ও উদবেধী আগ্নেয় শিলা। নিম্নে আমরা নিঃসারী আগ্নেয় শিলার অন্যতম শিলা ব্যাসল্ট নিয়ে আলোচনা করব। ব্যাসল্ট  :: • ভূত্বক: প্রধানত এই আগ্নেয় শিলায় মহাসাগরীয় ভূত্বক গঠিত। ব্যাসল্ট শিলা গঠিত অঞ্চল সাধারণত চেপ্টাকৃতি হয়। • গঠনকারী খনিজ: ব্যাসল্ট গঠনকারী প্রধান খনিজ গুলি হল কোয়ার্টজ , ফেল্ডসপার, অলিভিন ও পাইরক্সিন। • প্রকৃতি : এই শিলা খুব ভারী ও শক্ত হয়। ক্ষয় প্রতিরোধী এই শিলা গাঢ় ধূসর থেকে কালো রংয়ের হয়। • বৈশিষ্ট্য: ব্যাসল্ট শিলা উলম্ব দারণ ও ফাটলের সংখ্যা খুব বেশি। এই শিলার প্রবেশ্যতা যথেষ্ট বেশি। খুব দ্রুত জমাট বেঁধে গঠিত হওয়ায় এর দানা গুলো বেশ সূক্ষ্ম হয়। ব্যাসল্ট এর দানার ব্যাস 1 মিলিমিটার এর কম। • ব্যবহার: রেললাইনে ব্যাসল্ট শিলা ব্যবহার করা হয়। এই শিলা দিয়ে বিভিন্ন ঘর সাজানোর জিনিসও বানানো হয়ে থাকে। • রূপান্তরিত রূপ: ব্যাসাল্ট এর রূপান্তরিত রূপ হল অ্যাম্ফিবোলাইট ।