আর্ডভার্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আর্ডভার্ক
Orycteropus afer
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
উপপর্ব: Vertebrata
শ্রেণী: Mammalia
অধঃশ্রেণী: Eutheria
বর্গ: Tubulidentata
পরিবার: Orycteropodidae
গণ: Orycteropus
প্রজাতি: Orycteropus afer
দ্বিপদী নাম
Orycteropus afer
(Pallas, 1766)
আর্ডভার্কের চিত্র
আর্ডভার্কের আলোকচিত্র

আর্ডভার্ক (বৈজ্ঞানিক নাম: Orycteropus afer)[২][৩][৪][৫] নিম্ন সাহারা অঞ্চলে বসবাসকারী এক ধরনের পতঙ্গভুক স্তন্যপায়ী প্রাণী। এই প্রাণীটি Tubulidentata বর্গের অধীনে Orycteropus গণের অন্তর্ভুক্ত। এরা নিশাচর এবং গর্তে বসবাস করে।

দৈহিক গঠন[সম্পাদনা]

আর্ডাভর্কের গড় দৈর্ঘ্য ১.৮ মিটার। এদের দেহ খাটো এবং পাতলা লোমে আবৃত। এদের দেহের গঠন তাদের অভ্যাসের সাথে সঙ্গতি রেখে পরিবর্তিত হয়েছে। এদের পিঁপড়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে বিধায় বয়স্ক প্রাণীর কর্তন দাঁত এবং ছেদন দাঁত থাকে না। শুধুমাত্র ২০ টি পেষণ দাঁত থাকে। পেষণ দাঁতগুলোর ১০ টি নিচের চোয়ালে এবং ১০ টি উপরের চোয়ালে সন্নিবেশিত থাকে। এদের দাঁতে কোন মূল বা এনামেল নেই এবং এগুলো দেখতে নলাকৃতির। আর সারাজীবন ধরে এদের দাঁত আকারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এজন্যই এই বর্গের নাম হয়েছে Tubulidentata। আর্ডভার্কের সামনের পায়ের নখগুলো চ্যাপ্টা, খাটো এবং শক্তিশালী। এই নখগুলোর সাহায্যে এরা অতি দ্রুত গর্ত খুঁড়ে উইয়ের ঢিবির মধ্যে ঢুকে যেতে পারে। আর এদের মাথা লম্বা ও সরু। মাথার শীর্ষে নলের মত একটি তুণ্ড তথা snout থাকে। জিহ্বাটিও নলের মত লম্বাকৃতির। এটি মুখ থেকে বেরিয়ে ৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে।

আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব[সম্পাদনা]

Orycteropus নামক এই গণে মোট কয়টি প্রজাতি আছে তা নিশ্চিত করে বলা যাবেনা। মূলত আফ্রিকায় এদের দেখতে পাওয়া যায়। আফ্রিকা মহাদেশের কোন কোন অঞ্চলের অধিবাসীরা আর্ডভার্ক শিকার করে খায়। এছাড়া আদের চামড়া বেশ পুরু হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Orycteropus afer"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। 2008। সংগ্রহের তারিখ 24/10/2012  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. Wilson, Don E., and DeeAnn M. Reeder, eds. (1992) , Mammal Species of the World: A Taxonomic and Geographic Reference, 2nd ed., 3rd printing
  3. (1998) , website, Mammal Species of the World
  4. Wilson, Don E., and DeeAnn M. Reeder, eds. (2005) , Mammal Species of the World: A Taxonomic and Geographic Reference, 3rd ed., vols. 1 & 2
  5. Wilson, Don E., and F. Russell Cole (2000) , Common Names of Mammals of the World

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]