আমারজে (হ্রদ)
| আমারজে | |
|---|---|
| আমার হ্রদ | |
 ২০০৬ সালের শীতে আমারজে হ্রদ | |
 মানচিত্র | |
| অবস্থান | ব্যাভারিয়ার উচু অঞ্চল |
| স্থানাঙ্ক | ৪৮°০০′ উত্তর ১১°০৭′ পূর্ব / ৪৮.০০০° উত্তর ১১.১১৭° পূর্ব |
| স্থানীয় নাম | Ammersee {{স্থানীয় নামের পরীক্ষক}} ত্রুটি: প্যারামিটারের মান ত্রুটিপূর্ণ (সাহায্য) |
| প্রাথমিক অন্তর্প্রবাহ | আমার নদী |
| প্রাথমিক বহিঃপ্রবাহ | আম্পের |
| অববাহিকা | ৯৯৩.০ কিমি২ (৩৮৩.৪ মা২) |
| অববাহিকার দেশসমূহ | জার্মানি |
| সর্বাধিক দৈর্ঘ্য | ১৬.২ কিমি (১০.১ মা) |
| সর্বাধিক প্রস্থ | ৫ কিমি (৩.১ মা) |
| পৃষ্ঠতল অঞ্চল | ৪৬.৬ কিমি২ (১৮.০ মা২) |
| গড় গভীরতা | ৩৭.৮ মি (১২৪ ফু) |
| সর্বাধিক গভীরতা | ৮১ মি (২৬৬ ফু) |
| বাসস্থান সময় | ২.৭ বছর |
| পৃষ্ঠতলীয় উচ্চতা | ৫৩৩ মি (১,৭৪৯ ফু) |
| দ্বীপপুঞ্জ | সোয়েডেনিসেল |
| জনবসতি | হ্যারশিং, ডিসেন আম আমেসী |
অবৈধ উপাধি | |
| মনোনীত | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ |
| সূত্র নং | ৯৩[১] |
আমারজে (আমার হ্রদ) জার্মানির বায়ার্ন রাজ্যের উচ্চ অঞ্চলে অবস্থিত একটি জিভঅববাহিকা হ্রদ। এটি মিউনিখের দক্ষিণ-পশ্চিমে হ্যারশিং ও ডিসেন আম আমেসী শহরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ৪৭ বর্গকিলোমিটার (১৮ মা২)। এটি জার্মানির ৬ষ্ঠ বৃহত্তম হ্রদ। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৩৩ মিটার (১,৭৪৯ ফু) উচ্চতায় অবস্থিত এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ৮১ মিটার (২৬৬ ফু)। ব্যাভারিয়ার অন্যান্য হ্রদের মত আমারজে হ্রদও বরফ যুগের হিমবাহ গলে সৃষ্টি হয়েছে। আমারজে হ্রদে আমার নদী এসে মিলিত হয়েছে। এছাড়া আম্পের নদী এই হ্রদ থেকে সৃষ্টি হয়েছে। নিকটবর্তী স্টার্নবার্গ হ্রদের মত এটিও জল ক্রীড়ার একটি জনপ্রিয় স্থান।
আমারজে ও আম্পের উভয়েই ব্রেনের গিরিপথগামী প্রাচীন কেল্টিক আম্বের বাণিজ্যপথের অংশ। আমার শব্দটি আম্পের-এর ১৩শ শতাব্দীর সংস্করণ। কেল্টিক *আম্ব্রা শব্দটি ইন্দো-ইউরোপীয় *ombh-, *mbh- "wet, Water" শব্দ থেকে উদ্ভূত।[২]
১৮৭৯ সাল থেকে হ্রদে যাত্রীসেবা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে বায়েরশে সিনশিফাখর্ট কোম্পানি সাবেকি প্যাডেল স্টিমার ও মোটরচালিত জাহাজ সহযোগে এই সেবা প্রদান করে থাকে।[৩][৪]
বাস্তুতন্ত্র
[সম্পাদনা]১৯৬০-এর দশকে হ্রদে একটি চক্রাকার পানি নিষ্কাশন প্রক্রিয়া চালু হয় যার ফলে হ্রদের পানির মান যথেষ্ট উন্নত। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্ত দূষিত পানিকে হ্রদ থেকে এখিন অবস্থিত একটি নিষ্কাশন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
আমারজেতে মাছের প্রাচুর্য রয়েছে।[৫] এছাড়াও এই হ্রদ গভীর জলের সংকটাপন্ন প্রজাতির মাছ সালভেলিনাস এভেসেসের আবাসস্থল।[৬]
গভীর জলের সালভেলিনাস পানির মানের পরিবর্তনের প্রতি অধিক মাত্রায় সংবেদনশীল। সালভেলিনাস নিউকোমেনসিস ও সালভেলিনাস প্রোফান্ডাসের মত কিছু প্রজাতি সাম্প্রতিককালে অন্যান্য ইউরোপিয় হ্রদ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।[৭]
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
পূর্ব উপকূল -
শরতকাল -
হ্রদে ভাসমান ডিসেন নামক প্যাডেল স্টিমার
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Ammersee"। Ramsar Sites Information Service। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ Dieter Berger: Duden - Geographische Namen in Deutschland. 2nd ed., Dudenverlag, 1999, আইএসবিএন ৯৭৮-৩-৪১১-০৬২৫২-২.
- ↑ "Bayerische Seenschifffahrt" (জার্মান ভাষায়)। Bayerische Seenschifffahrt। ১১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৯।
- ↑ "Geschichtliche Hintergründe" [ঐতিহাসিক পটভূমি] (জার্মান ভাষায়)। Bayerische Seenschifffahrt। ১০ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৯।
- ↑ The Penny Cyclopaedia of the Society for the Diffusion of Useful Knowledge। Charles Knight। ১৮৩৫।
- ↑ Revue Suisse de Zoologie - Salvelinus evasus[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]; accessed 24 January 2018.
- ↑ "Red List - Volume 1: Vertebrates (2009) - General assessment for the vertebrate groups"। ২০১৩-০৬-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১২-২৯।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
- নিক্সড্রিফ, বি.; ও অন্যান্য (২০০৪), "আমারজে", Dokumentation von Zustand und Entwicklung der wichtigsten Seen Deutschlands (জার্মান ভাষায়), বার্লিন: Umweltbundesamt, পৃষ্ঠা ৮
- আমারজে হ্রদের ছবি
| সাধারণ | |
|---|---|
| জাতীয় গ্রন্থাগার | |
| অন্যান্য | |
