আবুল খায়ের গ্রুপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আবুল খায়ের গ্রুপ
ধরনবেসরকারি কোম্পানি
শিল্প
  • স্টিল
  • সিরামিকস
  • সিমেন্ট
  • তামাক
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৫৩; ৭১ বছর আগে (1953)
প্রতিষ্ঠাতাআবুল খায়ের
সদরদপ্তরচট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
বাণিজ্য অঞ্চল
ওয়েবসাইটabulkhairgroup.com
আবুল খায়ের গ্রুপের‌ প্রধান অফিস, চট্টগ্রাম

আবুল খায়ের গ্রুপ বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। এটির সদর দপ্তর বাণিজ্যিক রাজধানী চট্রগ্রামে অবস্থিত এবং এর কার্যক্রম বর্তমানে বহু-ব্যবসায় রূপান্তরিত হয়েছে। এটি স্টিল, সিরামিকস,খাদ্যদ্রব্য,সিমেন্ট ও তামাকজাত পণ্য উৎপাদন করে থাকে।[১][২] এটি ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৩] এসব ব্যবসায় এর জন্য প্রচুর পরিমানে বৈদেশিক পণ্য আমদানি করে থাকে এই গ্রুপটি। উল্লেখ্য,আমদানি ও রাজস্ব দেওয়ার শীর্ষে আবুল খায়ের গ্রুপ।[৪][৫]

শুরুর কথা[সম্পাদনা]

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় আবুল বিড়ি কোম্পানি থেকে এ গ্রুপের ব্যবসা শুরু হয়। ১৯৫৩ সালে বিড়ি ব্যবসা দিয়ে যাত্রা হয় গ্রুপটির। ১৯৭৮ সালে এর প্রতিষ্ঠাতা আবুল খায়ের মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত বিড়ি ও ট্রেডিংই ছিল এটির মূল ব্যবসা।[৬]

বাণিজ্যিক বিকাশ[সম্পাদনা]

আবুল খায়েরের উত্তরসূরিরা পরে গড়ে তুলে স্টিল মিল, সিমেন্ট কারখানা, চা বাগান, ডেইরি প্রডাক্টসহ অনেক প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৩ সালে আবুল খায়ের গ্রুপ স্টারশিপ কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে দুগ্ধ খাতে নাম লেখায়। এরপর ১৯৯৬ সালে যোগ হয় স্টারশিপ ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার। ১৯৯৭ সালে আসে মার্কস ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার এবং সিলন চা নিয়ে বাজারে আসে ২০০৪ সালে। দেশের সিমেন্ট খাতের বেশির ভাগ চাহিদা পূরণে সক্ষম আবুল খায়েরের প্রতিষ্ঠান শাহ সিমেন্ট। ১৯৯৩ সালে আবুল খায়ের গরু মার্কা ঢেউটিন দিয়ে ইস্পাত শিল্পে নাম লেখায়। অতিসম্প্রতি তারা বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে একেএস টিএমটি ৫০০ডব্লি¬উ ইস্পাতের রড উৎপাদনে।

ভারী শিল্পে রয়েছে আবুল খায়েরের আধিপত্য। দেশের সিমেন্ট খাতের বেশির ভাগ চাহিদা পূরণে সক্ষম আবুল খায়েরের প্রতিষ্ঠান শাহ সিমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ৫০ লাখ টন। দেশে বিদেশী কয়েকটি সিমেন্ট কোম্পানি থাকলেও তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যবসা করছে শাহ সিমেন্ট।[৬]

১৯৯৩ সালে আবুল খায়ের গরু মার্কা ঢেউটিন দিয়ে ইস্পাত শিল্পে নাম লেখায়। এর পর প্রতিষ্ঠানটি করুগেটেড কালার কোটেড ঢেউটিন উৎপাদন শুরু করে, যা বর্তমানে ২০টির বেশি দেশে রফতানি হচ্ছে। অতিসম্প্রতি[কখন?] তারা বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে একেএস টিএমটি ৫০০ডব্লিউ ইস্পাতের রড উৎপাদনে।[৬]

১৯৯৩ সালে আবুল খায়ের গ্রুপ স্টারশিপ কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে দুগ্ধ খাতে নাম লেখায়। এর পর ১৯৯৬ সালে যোগ হয় স্টারশিপ ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার। ১৯৯৭ সালে আসে মার্কস ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার। আর সিলন চা নিয়ে বাজারে আসে ২০০৪ সালে।[৬]

প্রতিষ্ঠান সমূহ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ET Bureau (২০ জুলাই ২০১৪)। "Ex JSPL CEO VR Sharma joins Bangladesh Steel and Power Company"The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৮ 
  2. Sajjadur Rahman (৯ নভেম্বর ২০১৫)। "Businesses sell off oceangoing ships as freight rates fall"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৮ 
  3. "ESIA & ESMP Study Report" (পিডিএফ)www.giek.no। ২৭ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৮ 
  4. "আমদানি ও রাজস্ব দেওয়ার শীর্ষে আবুল খায়ের গ্রুপ"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. প্রতিবেদক, প্র বাণিজ্য। "আবুল খায়ের গ্রুপের আমদানি বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১০-০৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. রিপোর্টার, সিনিয়র। "আরো বাড়ছে আকিজ, আবুল খায়ের ও স্কয়ার গ্রুপ | Daily StockBangladesh"। ২০১৯-০৭-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৬