আজারবাইজান-জিবুতি সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আজারবাইজান-জিবুতি সম্পর্ক
মানচিত্র Azerbaijan এবং Djibouti অবস্থান নির্দেশ করছে

আজারবাইজান

জিবুতি

আজারবাইজান-জিবুতি সম্পর্ক আজারবাইজানজিবুতি এর মধ্যকার বর্তমান এবং ঐতিহাসিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। আজারবাইজানে জিবুতির কোন স্থায়ী দূতাবাস নেই[১] এবং একইসাথে, জিবুতিতেও আজারবাইজান এর কোন স্থায়ী দূতাবাস নেই। [২] উভয় দেশই জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন এর সদস্য।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৯৬ সালে, জিবুতি প্রজাতন্ত্র, আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি জানায় এবং এর ফল হিসেবেই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯৯৬ সালের ২২ অক্টোবর আজারবাইজান ও জিবুতি এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।[৩] ২০১৬ সালের পর, এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের আরও উন্নতি হয়েছে এবং তাদের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। ২০১৭ সালে, জিবুতির পার্লামেন্টের স্পিকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আজারবাইজান সফরে যান। সেই সফরের উদ্দেশ্য ছিল, একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা এবং আন্তঃসাংস্কৃতিক বিষয়ে আলোচনা করা।[৪]

আন্তঃসংসদীয় সম্পর্ক[সম্পাদনা]

২০১৭ সালের ১৪ এপ্রিল, আজারবাইজানের পার্লামেন্ট, জিবুতির সাথে আন্তঃসংসদীয় সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আজারবাইজান পার্লামেন্টের সদস্য ভুসাল হুসেইনভ এই গ্রুপের প্রধান হিসেবে কাজ করেন।

২০১৭ সালের ৩ মে, জিবুতির পার্লামেন্টের প্রধান মহাম্মদ আলি হুমেদ এর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল আজারবাইজান সফরে যায়। পরে আজারবাইজান পার্লামেন্টের স্পিকার ওগতে আসাদোভ, সেই দলটির সাথে বৈঠক করেন।[৫]

ত্রাণকাজে অংশীদারিত্ব[সম্পাদনা]

২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল, ত্রাণ বহনকারী বিমান আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে জিবুতিতে যায়। আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতির নির্দেশে জরুরি অবস্থা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই ত্রাণ পাঠায়।[৬] ত্রাণের মাঝে ছিল, খাবার পানি, চিনি, চা, সূর্যমুখীর তেল, ভুট্টার তেল, ম্যাকারণি, সেমাই ইত্যাদি।[৭]

বেসামরিক বিমান চলাচলে অংশীদারিত্ব[সম্পাদনা]

২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর, আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতির জিবুতি সফরের সময়, আজারবাইজান এয়ারলাইনস এবং জিবুতি এয়ারলাইনস এর মাঝে, সমন্বয় বাড়ানোর উপর একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। এছাড়াও, বাকু-জিবুতি মালবাহী বিমান চালুর জন্য একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয় এবং এর পাশাপাশি এই ব্যাপারে আজারবাইজান এয়ারলাইনস ও জিবুতি এয়ারলাইনস এর মধ্যে যুগ্ম পরিবহন কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।[৮]

খোজালি গণহত্যার স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে, জিবুতির পার্লামেন্ট, একটি প্রস্তাব পাস করে, যার মাধ্যমে জিবুতি, ১৯৯২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সংগঠিত খোজালি গণহত্যা কে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দেয়। এই ঘটনা একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এছাড়াও, আজারবাইজানের অন্তর্ভুক্ত কিছু অঞ্চলের উপর আর্মেনিয়ার দখলদারিত্বের বিষয়টিও এই প্রস্তাবের অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Djibouti Embassies and Consulates"গো অ্যাব্রোড.কম। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. "Azerbaijan Embassy in Djibouti"আজারবাইজান ইমিগ্রেশন 
  3. FS। "Siyasət"www.mfa.gov.az। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-০৪ 
  4. "President of Djibouti`s National Assembly visits Azerbaijan" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-২৪ 
  5. "Azərbaycan-Cibuti əlaqələri inkişaf edir" (আজারবাইজানী ভাষায়)। ২০১৭-০৫-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-০৪ 
  6. "Silk Way Airlines implements first Baku-Djibouti cargo flight – Heemaal News Network"হিমালনিউজ.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-০৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "Azerbaijan sends humanitarian aid to Djibouti" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৪-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-০৪ 
  8. সম্পাদকীয়। "Azerbaijan and Djibouti reached important agreements in civil aviation"ফিনচ্যানেল.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-০৪ 
  9. "Djibouti's parliament passes resolution on Khojaly genocide" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-০৪