আচেহ সুনামি জাদুঘর
Museum Tsunami Aceh | |
স্থাপিত | ২০০৯ |
---|---|
অবস্থান | সুলতান ইস্কান্দর মোদা রোড, ১নং ব্লাং পেদাং, বান্দা আচেহ, আচেহ, ইন্দোনেশিয়া |
স্থানাঙ্ক | ৫°৩২′৫১.৮″ উত্তর ৯৫°১৮′৫৪.৩″ পূর্ব / ৫.৫৪৭৭২২° উত্তর ৯৫.৩১৫০৮৩° পূর্ব |
খোলার সময় | প্রতিদিন সকাল ১০টা - দুপুর ১২টা, বিকাল ৩টা- বিকাল ৫টা |
আচেহ সুনামি জাদুঘর(ইংরেজি: Aceh Tsunami Museum) ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের রাজধানী বান্দা আচেহতে অবস্থিত। ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরের ভূমিকম্প ও সুনামির বিপর্যয়ের প্রতীকী স্মারক হিসাবে তৈরি একটি সংগ্রহশালা।[১] পাশাপাশি এটি একটি শিক্ষাকেন্দ্র। একটি জরুরী দুর্যোগ আশ্রয়স্থলও এটি যদি অঞ্চলটি কখনও আবার সুনামির আঘাতের শিকার হয়।[২]
নকশা
[সম্পাদনা]আচেহ সুনামি জাদুঘরটি ইন্দোনেশীয় স্থপতি রিদওয়ান কামিল (পশ্চিম জাভার বর্তমান গভর্নর) ডিজাইন করেছিলেন। জাদুঘরটি একটি ২,৫০০ বর্গ মিটার চারতলা বিশিষ্ট একটি কাঠামো; এর দীর্ঘ বাঁকানো দেয়াল জ্যামিতিক কারুশিল্পে আচ্ছাদিত। ভিতরে, দর্শনার্থীরা একটি অন্ধকার পানির দুটি উচ্চ প্রাচীরের মধ্যে সরু করিডোর দিয়ে প্রবেশ করে-এর দ্বারা সুনামির শব্দ এবং আতঙ্ককে পুনরায় তৈরি করা হয়। সামান নৃত্য পরিবেশন করা মানুষের চিত্রগুলির সাথে জাদুঘরের দেওয়ালগুলি অলঙ্কৃত, এটি প্রতীকী অঙ্গভঙ্গি যা আচেনিজ জনগণের শক্তি, শৃঙ্খলা এবং ধর্মীয় বিশ্বাসকে বুঝা যায়। উপরে থেকে, ছাদ সুনামির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। সুনামি থেকে বেঁচে থাকার জন্য যে ধরনের ঐতিহ্যবাহী আচেনিজ বাড়িগুলি ছিল, তার ভিত্তিতে নিচতলা তৈরি করা হয়েছে।
সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন লোকদের নাম ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের বেঁচে থাকা সদস্যদের নাম যাদুঘরের অভ্যন্তরীণ কক্ষগুলির একটিতে খোদাই করা আছে।
যারা মারা গিয়েছিলেন তাদের জন্য স্মৃতিসৌধ হিসাবে এটির ভূমিকা অত্যধিক। তা ছাড়াও জাদুঘরটি ভবিষ্যতে এই জাতীয় দূর্ঘটনার জন্য আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করবে।[৩]
সংগ্রহ
[সম্পাদনা]জাদুঘরের প্রদর্শনীতে ২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের ভূমিকম্প এবং সুনামির একটি বৈদ্যুতিক সিমুলেশন রয়েছে। পাশাপাশি দুর্গতদের ছবি, কুরআন শরীফ এবং দুর্যোগ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের গল্পের প্রদর্শনী করা হয়েছে।
রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবহার
[সম্পাদনা]আচেহ সুনামি জাদুঘর রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা হয়নি।[৪] জাদুঘরটি "সুনামি সম্পদ"গুলির মধ্যে একটি। এটির যথাযথ আইনি মালিকানা নিয়ে ২০০৯ সাল থেকে ইন্দোনেশিয়ান সরকারের বিভিন্ন স্তরে বিরোধ রয়েছে। ২০১০ সালের শেষের দিকে, জাদুঘরটি মাঝে মধ্যে কেবলমাত্র উন্মুক্ত ছিল এবং এটির পৃষ্ঠপোষকতা খুব কম ছিল।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ http://www.worldarchitecturenews.com/index.php?fuseaction=wanappln.projectview&upload_id=11248 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ মার্চ ২০১২ তারিখে | accessdate = 2011-02-12
- ↑ https://www.tripadvisor.com/Attraction_Review-g317109-d3688916-Reviews-Aceh_Tsunami_Museum-Banda_Aceh_Aceh_Sumatra.html
- ↑ https://www.bbc.com/news/world-asia-32347308
- ↑ 'Post-reconstruction Aceh: Leftover Problems, The Jakarta Post, 26 Dec 2009