আগ্নেয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আগ্নেয়া (সংস্কৃত: आग्नेयी, আইএএসটি: Āgneyī) অর্থ অগ্নিশ্বরের কন্যা। এটি প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ এবং সংস্কৃত গ্রন্থ থেকে উদ্ভূত। আগুনের হিন্দু দেবতা অগ্নি বৈদিক কাল থেকে আধুনিক যুগাবধি পুরো ভারতীয় উপমহাদেশে শ্রদ্ধা ও পূজা পেয়ে আসছেন।

হিন্দু মতে আগ্নেয়ার অর্থ "আগুনের দেবী"। সংস্কৃত ভাষায় আগ্নেয়ার আক্ষরিক অর্থ "আগুন থেকে জাত" বা "আগুন দিয়ে শুচিকৃত"। প্রাচীন বৈদিক সাহিত্যে নামটির উৎপত্তির সন্ধান পাওয়া যায় যেখানে আগ্নেয়াকে ঐশ্বরিক এবং শক্তিশালী দেবী হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী ও আধ্যাত্মিক গ্রন্থগুলোতে আগ্নেয়াকে অগ্নি এবং তাঁর স্ত্রী স্বাহার কন্যা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাস্তুশাস্ত্রে "দক্ষিণ পূর্ব" দিক রক্ষাকারী দেবী হিসাবে অগ্নির পূজা করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র হল একটি প্রাচীন পুঁথি যা প্রতিটি বাড়িতে দক্ষিণ পূর্ব কোণে রান্নাঘর তৈরির পরামর্শ দেয়। বর্তমান সময়েও সনাতনী হিন্দুরা অগ্নি উপাসনা করে রান্না শুরু করেন এবং অগ্নি ও আগ্নেয়ার কাছে খাবার তৈরির আশীর্বাদ চেয়ে রান্নাঘরের চুলা জ্বালিয়ে থাকেন।

কিছু হিন্দু গ্রন্থে আগ্নেয়াকে এখন অবধি "পবিত্র শক্তি" তৈরির সবচেয়ে শক্তিশালী রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হিন্দুরা "আগ্নেয় অস্ত্র" বা আগ্নেয়াস্ত্রকে প্রাচীন পারমাণবিক শক্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে বিশ্বাস করে থাকে। হিন্দু গ্রন্থগুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রকে এক বিলিয়ন ট্রিলিয়ন সূর্যের তুলনায় অধিক শক্তিসম্পন্ন, উজ্জ্বল, তাপ ও আলো প্রদানকারীর পাশাপাশি এক অনন্ত শক্তির উৎস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

আগ্নেয়ার পুংলিঙ্গ আগ্নেয় একটি জাতিবাচক বিশেষণ যার অর্থ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে অগ্নিদাহ্য, অগ্নিসদৃশ, অগ্নিশুচি, অগ্নি দ্বারা শাসিত ইত্যাদি।[১] এটি অগ্নিপুরাণ, আগ্নেয়াস্ত্র এবং দক্ষিণ-পূর্ব মৌলিক দিকের নামবাচক বিশেষ্য উপাধি হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। স্ত্রীবাচক শব্দ আগ্নেয়ী শুধুমাত্র নামবাচক বিশেষ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয় [২]

হিন্দু ধর্মে তাৎপর্য[সম্পাদনা]

আগ্নেয়ী প্রাচীন বৈদিক সাহিত্যে আগ্নেয়া নামে পরিচিত যেখানে তিনি ঐশ্বরিক এবং শক্তিশালী দেবী হিসাবে সংজ্ঞায়িত হয়েছেন। তাঁর মাকে অগ্নির সঙ্গী বা স্বাহা ও আগ্নেয়ি (যার অর্থ "অগ্নির স্ত্রী") হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]