আইনু জনগোষ্ঠী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আইনু জনগোষ্ঠী

১৯০২ সালের ছবি একদল আইনু নৃগোষ্ঠী
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
 Japan২৫,০০০–২০০,০০০
 Russia১০৯[১]–1000  Kamchatka Krai: ৯৪ -৯০০[১]
ভাষা
ঐতিহাসিক ভাবে আইনু ভাষায় কথা প্রচলিত আছে। অধিকাংশ আইনুজাপানি বা রুশ ভাষায় কথা বলেন.[২]
ধর্ম
অ্যানিমিজম, বৌদ্ধ, রুশ অর্থডোক্স খ্রিষ্টধর্ম
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী
কামচাদাল

আইনু জনগোষ্ঠী (আইনু アィヌ Aynu; জাপানিজ: アイヌ Ainu; রুশ: Айны Ajny) জাপানের নৃগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম এক গোষ্ঠী। জাপানের হোক্কাইদো ও রাশিয়ার শাখালিন ও কুরিল দ্বীপেই তাদের জনগোষ্ঠীর বসবাস। ঐতিহাসিক ভাবে, এই জনগোষ্ঠীর ভাষা আইনু। বর্তমানে খুব কম মানুষ এ ভাষায় কথা বলেন। বর্তমানে মোট কত জন আইনু অধিবাসী আছেন তার হিসেব অপ্রকাশিত। ধারণা করা হয়, আনুষ্ঠানিক নথিপত্র হিসেবে আইনু অধিবাসীদের সংখ্যা ২৫ হাজারের মত। বেসরকারী হিসেবে এই সংখ্যা ২ লাখের কিছু বেশি বলে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা যায়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

A group of Ainu people (between 1863 and early 1870s)

প্রাক-আধুনিক[সম্পাদনা]

সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা যায়, আইনু সংস্কৃতিক উদ্ভব হয়েছিল ওখোৎস্ক ও সাৎসুমন সংস্কৃতির সংকরায়নের ফলে।[৪] ১২৬৪ সালে আইনুরা চীনের ইয়ুয়ান সাম্রাজ্যের অধীনস্থ নিভখ জনগোষ্ঠীর ভূখণ্ড আক্রমণ করে বলে জানা যায়।[৫] জাপানি ওয়াজিন নৃগোষ্ঠী ও হোক্কাইদোর বা প্রাচীন ইজোচির আইনুদের মধ্যে সংযোগ হয় ১৩ শতকে।[৬] এসময়েই শিকারী আইনু গোষ্ঠীর উদ্ভব হয়। সে সময় থেকে আইনুদের প্রধান পেশা মৎস্যশিকার আর প্রকৃত নির্ভর ধর্ম গ্রহণের প্রবণতা দেখা যায়।[৭]

মুরোমাচি সময়ে (১৩৩৬–১৫৭৩), জাপানের মূল ভূখণ্ডের অধিবাসী ও আইনুদের মধ্যে সংঘাত পরিস্থিতির ইতিহাস জানা যায়। Takeda Nobuhiro আইনু নেতা কোসামাইনকে হত্যা করেন। ১৪৫৬ সালের জাপানিদের অগ্রাসনে আইনুরা জাপানের শাসনে আসে।

তোকুগা সময়ে (১৬০০–১৮৬৮) আইনুরা হোক্কাইদো শহরে বাণিজ্যে আগ্রগামী ভূমিকা পালন করে।

মাৎসুমে ও শোগুনেট শাসনামলে আইনুদের সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে।[৮] অনেক যুদ্ধে আইনুরা পরাজিত হয়ে দাস হিসেবে অধিগ্রহণের শিকার হয়।[৯]

মেইজি পুনরূদ্ধার ও পরবর্তী ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৮৬৮ সালে হোক্কাইদোতে ১৫ হাজার, সাখালিনের ২ হাজার ও কুড়িল দ্বীপে ১০০ জন আইনু অধিবাসী বাস করতেন।[১০] ১৮৭৩ সালে এই সংখ্যা ১৬ হাজারে এসে দাড়ায়। [১১] আইনুরা অন্য গোষ্ঠীর সদস্যদের বিয়ের কারণে তাদের সংখ্যা কমতে থাকে।[১২]

১৮৬৯ সালে নতুন মেইজি সরকার ক্ষমতায় এসে হোক্বাইদোর নামকরণ করে এজো। এসময় আইনু ভাষাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৮৯৯ সালে জাপানি সরকার মেইজিদের আদিবাসী হিসেবে ঘোষণা দেয়।[১৩]

আইনুদের ভাল্লুক বলির ছবি, সময়কাল ১৮৭০

নামকরণ[সম্পাদনা]

আইনু শব্দের অর্থ মানুষ, যা কামুই শব্দ থেকে উদ্ভুদ্ধ।

জাপানে আনুষ্ঠানিক পরিচয়[সম্পাদনা]

Map of Ainu in Hokkaido

২০০৮ সালের ৬ জুন জাপানের ডায়েটে আইনুদের আনুষ্ঠানিক ভাবে আদিবাসী হিসেবে ঘোষণা করে।"[১৪]

উৎপত্তি[সম্পাদনা]

Ainu man, circa 1880.

আইনুরা বিশ্বাস করে তারা জাপানের জোমন গোষ্ঠী থেকে আগত সম্প্রদায়।[১৫] আইনুদের বিশ্বাস অনুসারে তারা সূর্যের সন্তানের বংশধর।[১৬] সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা যায়, আইনুরা অখোৎস্ক সংস্কৃতির অংশ ছিল।[১৭][১৮]

ভাষা[সম্পাদনা]

সাম্প্রতিক হিসেবে মাত্র ১০০ জন মানুষ আইনু ভাষায় কথা বলেন।[১৯] বিভিন্ন গবেষণায় এই সংখ্যা ১৫ জন বলে প্রকাশ করা হয়।[২০]

ধর্ম[সম্পাদনা]

Ainu traditional ceremony, circa 1930

আইনুরা ঐতিহাসিকভাবে অ্যানিমিস্ট।

আবাসন[সম্পাদনা]

Ainu houses (from Popular Science Monthly Volume 33, 1888)
Plan of an Ainu house
The family would gather around the fireplace

আইনুদের ভাষায় গ্রামকে কোটান বলা হয়। আর তারা বাড়িকে সিজে বলে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Organize section

সূত্র[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র ও বিস্তারিত গবেষণা[সম্পাদনা]

চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Ainu"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Russian Census 2010 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে:_ Population by ethnicity ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে (রুশ)
  2. Gordon, Raymond G., Jr. (ed.) (২০০৫)। Ethnologue: Languages of the World (15th সংস্করণ)। Dallas: SIL International। আইএসবিএন 1-55671-159-Xওসিএলসি 224749653 . ওসিএলসি ৬০৩৩৮০৯৭.
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৫ 
  4. Sato, Takehiro; ও অন্যান্য (২০০৭)। "Origins and genetic features of the Okhotsk people, revealed by ancient mitochondrial DNA analysis"। Journal of Human Genetics52 (7): 618–627। ডিওআই:10.1007/s10038-007-0164-zপিএমআইডি 17568987 
  5. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" 第59回 交易の民アイヌ Ⅶ 元との戦い (Japanese ভাষায়)। Asahikawa City। জুন ২, ২০১০। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২, ২০১১ 
  6. Weiner, M. (eds) 1997, Japan’s Minorities: The Illusion of Homogeneity, Routledge, London.
  7. "NOVA Online – Island of the Spirits – Origins of the Ainu". Retrieved on May 8, 2008.
  8. Conquest of Ainu Lands: Ecology and Culture in Japanese Expansion, 1590-1800 By Brett L. Walker [১]
  9. Postmodernism and Race edited by Eric Mark Kramer [২]
  10. David Howell. "The Meiji State and the Logic of Ainu 'Protection'", In New Directions in the Study of Meiji Japan, edited by Helen Hardacre, 1997. p. 614.
  11. Meeting the First Inhabitants "Encyclopedia of genocide and crimes against humanity"google.co.uk 
  12. [৩]
  13. Loos, N. & Osani, T. 1993, Indigenous Minorities and Education, Sanyusha Publishing Co., Ltd., Tokyo.
  14. Ito, M (জুন ৭, ২০০৮)। "Diet officially declares Ainu indigenous"The Japan Times। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৫, ২০১৫ 
  15. Denoon, Donald; Hudson, Mark (২০০১)। Multicultural Japan: palaeolithic to postmodern। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 22–23। আইএসবিএন 0-521-00362-8 
  16. Sjöberg, Katarina V. (১৯৯৩)। The Return of the Ainu: Cultural Mobilization and the Practice of Ethnicity in Japan। Studies in Anthropology and History। 9। Chur: Harwood Academic Publ.। আইএসবিএন 3-7186-5401-6ওসিএলসি 27684176 
  17. Sato, Takehiro; ও অন্যান্য (২০০৭)। "Origins and genetic features of the Okhotsk people, revealed by ancient mitochondrial DNA analysis"। Journal of Human Genetics52 (7): 618–627। ডিওআই:10.1007/s10038-007-0164-zপিএমআইডি 17568987 
  18. Lee, S; Hasegawa, T (২০১৩)। "Evolution of the Ainu Language in Space and Time"। PLoS ONE8 (4): e62243। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0062243 
  19. Hohmann, S. 2008, "The Ainu's modern struggle" in World Watch, Vol 21., No. 6, pp. 20–24.
  20. Vovin, A. 1993, A Reconstruction of Proto-Ainu, Brill, p. 3