অতিপ্রকটতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

অতিপ্রকটতা (Overdominance) হচ্ছে জিনতত্ত্বের একটি অবস্থা যেখানে হেটেরোজাইগোটের ফিনোটাইপ উভয় হোমোজাইগাস পিতামাতার ফিনোটিপিকাল রেঞ্জ এর বাইরে অবস্থান করে। অতিপ্রকটতাকে হেটেরোজাইগোট সুবিধাও বলা যায়, যেখানে হেটেরোজাইগাস প্রাণীর মধ্যে হোমজাইগাস প্রাণীর চেয়ে অধিক যোগ্যতা বিদ্যমান থাকে।

মানুষের ক্ষেত্রে এর একটি উদাহরণ হচ্ছে সিকল সেল এনিমিয়া। এই অবস্থাটি একটি একক পলিমরফিজম দ্বারা নির্ধারিত হয়। ক্ষতিকারক এলিলের অধিকারীদের মধ্যে নিম্ন গড় আয়ু দেখা যায়, এক্ষেত্রে হোমোজাইগোট ব্যক্তিরা খুব কমই ৫০ বছর পার করতে পারে। যাই হোক, এই এলিল ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে কিছু প্রতিরোধ দেখায়। তাই যেসব অঞ্চলে ম্যালেরিয়ার শক্তিশালী সিলেক্টিভ প্রেশার বিদ্যমান, সেখানে ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে আংশিক প্রতিরোধী ব্যবস্থার জন্য সিকল সেল এনিমিয়া অবস্থাটি জনগণের মধ্যে নির্বাচিত হয়। যেখানে হোমোজাইগোটের বেলায় হয় ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে কোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা না দেখা যায়, বা এর কারণে সিকল সেল এনিমিয়ার প্রবণতা দেখা যায়, হেটেরোজাইগোটের ক্ষেত্রে কিছু মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব এবং ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে আংশিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা দেখা যায়।[১]

গিলেস্পি মডেল[সম্পাদনা]

পপুলেশন জেনেটিসিস্ট জন এইচ. গিলেস্পি নিম্নোক্ট মডেলটি তৈরি করেছেন:[২]

জিনোটাইপ: A1A1 A1A2 A2A2
আপেক্ষিক যোগ্যতা: 1 1-hs 1-s

যেখানে h হচ্ছে হেটেরোজাইগোট প্রভাব এবং s হচ্ছে প্রচ্ছন্ন এলিল প্রভাব। তাই ০ থেকে ১ এর মধ্যে s এর যেকোন মানের জন্য (অর্থাৎ: 0<s<1) নিম্নোক্ত তথ্য পাওয়া যায়:

h=0 A1 প্রকট, A2 প্রচ্ছন্ন
h=1 A2 প্রকট, A1 প্রচ্ছন্ন
0<h<1 অসম্পূর্ণ প্রকটতা
h<0 অতিপ্রকটতা
h>1 অবপ্রকটতা

সিকল সেল এনিমিয়ার ক্ষেত্রে গিলেস্পি মডেলের h<0 অবস্থাটি কাজ করে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

টীকা[সম্পাদনা]

  1. Aidoo, M., D. J. Terlouw, M. S. Kolczak, P. D. McElroy, F. O. ter Kuile, S. Kariuki, B. L. Nahlen, A. A. Lal, and V. Udhayakumar. 2002. “Protective Effects of the Sickle Cell Gene Against Malaria Morbidity and Mortality.” Journal Article. Lancet 359 (9314): 1311–2. doi:10.1016/S0140-6736(02)08273-9.
  2. Gillespie 2004

তথ্য়সূত্র[সম্পাদনা]